শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » যার মজুমদারের বিপ্লবী উক্তি
প্রথম পাতা » রাজনীতি » যার মজুমদারের বিপ্লবী উক্তি
৯৬ বার পঠিত
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যার মজুমদারের বিপ্লবী উক্তি

 ---

শফিকুল ইসলাম কাজল (কাজল ফকির)

চারু মজুমদার (১২ মার্চ ১৯১৮ - ২৮ জুলাই ১৯৭২) ছিলেন ভারতের একজন বিপ্লবী কমিউনিস্ট নেতা, যিনি নকশালবাড়ি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান সংগঠক এবং ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)-এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি “হিস্টোরিক এইট ডকুমেন্টস” নামে পরিচিত আটটি প্রবন্ধের মাধ্যমে ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের তাত্ত্বিক ভিত্তি স্থাপন করেন।
চারু মজুমদারের বিপ্লবী উক্তিসমূহ
“অস্ত্র ছাড়া ক্ষমতা দখলের চিন্তা নিছক অলীক কল্পনা।”
এই উক্তি দ্বারা তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম অপরিহার্য।
গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকরণের মার্কসবাদী সত্য হলো, পার্টির উচ্চ নেতৃত্বের নির্দেশ পালন করতে হবে।
তিনি পার্টির শৃঙ্খলা ও ঐক্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
পার্টির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করে সমালোচনা করা পার্টি শৃঙ্খলা লঙ্ঘনের গুরুতর অপরাধ।
এটি পার্টির অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান।
একই ভাষায় সাধারণ ধারণা প্রচার করতে শিখুন।
তিনি প্রচারের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ভাষা ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছেন।
চারু মজুমদারের বিপ্লবী জীবন
চারু মজুমদার সিলিগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এবং কৈশোরেই বিপ্লবী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি কৃষক ও শ্রমিকদের সংগঠিত করে নকশালবাড়ি আন্দোলনের সূচনা করেন, যা পরবর্তীতে ভারতের নকশাল আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে। তিনি ১৯৭২ সালে কলকাতার লালবাজার পুলিশ লকআপে মৃত্যুবরণ করেন।
চারু মজুমদারের রচনাসমগ্র
তার রচনাসমগ্র, বিশেষ করে “হিস্টোরিক এইট ডকুমেন্টস”, ভারতের বিপ্লবী আন্দোলনের তাত্ত্বিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এই প্রবন্ধসমূহে তিনি ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থাকে বুর্জোয়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান জানান।
চারু মজুমদার ছিলেন একজন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বিপ্লবী, যিনি শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করেছেন। তার চিন্তা ও আদর্শ আজও বিপ্লবী আন্দোলনের পথপ্রদর্শক হিসেবে বিবেচিত হয়।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)