বিরাজনৈতিকরনের পথে
আহমেদুর রহমান মুরাদ ভাইয়ের ফেসবুক পোষ্ট থেকে
কালার রেভল্যুশনের গুরত্বপূর্ণ অংশ নিজেদের পাপেট সরকার বসানো, আর সেটা বসাতে জনপ্রিয় দলগুলোকে বিলীন ও বিলুপ্ত করা(ইউক্রেন, মিশর)। যেহেতু কালার রেভল্যুশনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য প্রচলিত জনপ্রিয় দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করা ফলে মাইনাস টু ফর্মুলার প্রয়োগের অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে আম্লীগকে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে, ফলে বাকি থাকলো বিএনপি। এখন বিএনপিকে মাইনাস করার জন্য পোষ্য বুদ্ধিবেশ্যা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করা হবে এবং এই লড়াইটা তাদের জন্য সহজ এইজন্যই যে সোশাল মিডিয়া ওয়ারফেয়ারে আওয়ামী লীগ যতটা স্মার্ট ছিল বিএনপি ততটা নয়, এবং বিএনপির অন্যতম বুদ্ধিবৃত্তিক ঘাটতি হচ্ছে ন্যারেটিভ নির্মাণ বা ন্যারেটিভ কাউন্টার করার মতো থিংক ট্যাংকের অভাব। ফলে বিএনপিকে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে মুক্তিযুদ্ধকে ভিত্তি ধরে জাতীয় স্বার্থের ইস্যু এবং নির্বাচন ইস্যুতে এখনই লোকবল নিয়ে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচীতে মাঠে থাকা শুরু করতে হবে। বিএনপির অনুধাবন করতে হবে যে মাইনাস টু ফর্মুলা প্রয়োগের এখন একমাত্র লক্ষ্যবস্তু তারাই।
কালার রেভল্যুশনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বামপন্থী ও কমিউনিস্টদের বিলীন করে দেয়া। কালার রেভল্যুশন যেহেতু আম্রিকা ঘটায় এবং তার নিজস্ব একটা কায়েমি স্বার্থ থাকে, এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নীতি ও প্রয়োগের বিরুদ্ধে সবসময় কমিউনিস্টরা সোচ্চার থাকে এবং সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রামে কমিউনিস্টরাই দেশবাসীকে একতাবদ্ধ করতে পারে তাই মার্কিন আধিপত্যবাদী কায়েমী স্বার্থ নির্বিঘ্নে সফল করতে সবচেয়ে বড় বাধা কমিউনিস্টদের নিশ্চিহ্ন করা হয় যার প্রমাণ ইউক্রেন, মিশর, তিউনিসিয়ায় দেখা গিয়েছিলো।
বাংলাদেশ কি মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের প্রক্সি যুদ্ধের রণক্ষেত্র এবং মার্কিন প্রেসক্রিপশনের ওয়াহাবি সালাফি ফ্যাসিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে বাতিল ব্যর্থ রাষ্ট্র হবে নাকি বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং আবারও মুক্তিযুদ্ধের ধারায় ফিরবে তা পুরাপুরি নির্ভর করছে বিএনপি এবং দেশের বামপন্থি প্রগতিশীল ও কমিউনিস্টদের কার্যকারিতার উপরে। মোট কথা, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বিএনপি এবংবামপন্থি প্রগতিশীল কমিউনিস্টদের উপরে।