
সোমবার, ৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সার্বভৌমত্বর ইস্যুকে চাপা দিতে নারী ইস্যু উস্কে দিয়েছে
অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সার্বভৌমত্বর ইস্যুকে চাপা দিতে নারী ইস্যু উস্কে দিয়েছে
শফিকুল ইসলাম কাজল :অন্তর্দৃষ্টির চোখ দিয়ে দেখা!
রাখাইন সীমান্তে চলমান সংঘাত ও করিডর ইস্যু বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য এক জটিল ও গভীর সংকট তৈরি করেছে। এই সংকটের মুখে নারী কমিশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে গোলকধাঁধার মতো রাজনৈতিক চাপ ও বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার প্রশ্নে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
সীমান্তে আগুন: রাখাইন থেকে বাংলাদেশের দিকে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনা ও আরাকান আর্মির (AA) মধ্যে চলমান সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে গুলি, মর্টার শেল ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটছে। এতে নাইকংছড়ি ও টেকনাফসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন, অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও মানবিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে।
করিডর ও সার্বভৌমত্ব: একটি রাজনৈতিক ফাঁদ?
রাখাইন সীমান্তে করিডর প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য একটি স্পষ্ট হুমকি। এই করিডর ব্যবহার করে মিয়ানমার ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তি নিজেদের স্বার্থে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে পারে, যা আমাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করতে পারে। এই প্রস্তাবের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে, যা নারী কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বিভ্রান্ত করে মূল ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে চায়।
আন্তর্জাতিক চাপ ও কূটনৈতিক ব্যর্থতা
বাংলাদেশ সরকার মিয়ানমারকে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণে রাখতে আহ্বান জানালেও, মিয়ানমার সরকার এই আহ্বানে সাড়া দিচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন, তবে এখন পর্যন্ত তা পর্যাপ্ত নয়। এই ব্যর্থতা আমাদের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জাতীয় ঐক্য ও প্রস্তুতি
এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের জাতীয় ঐক্য, সচেতনতা ও প্রস্তুতি জরুরি। নারী কমিশনসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে রাজনৈতিক গোলকধাঁধা থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় স্বার্থে কাজ করতে হবে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
আহ্বান: জাতীয় স্বার্থে একসাথে
এই সংকটের মুখে আমাদের সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। রাজনৈতিক বিভাজন ও বিভ্রান্তি পরিহার করে, জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আমাদের স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা সুরক্ষিত থাকে।
এই সংকট আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। আমাদের এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে, নয়তো ভবিষ্যতে আরও বড় সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের দৃঢ়, সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।