শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » গোপালগঞ্জে কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, ১৪৪ ধারা জারি
প্রথম পাতা » রাজনীতি » গোপালগঞ্জে কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, ১৪৪ ধারা জারি
২৬ বার পঠিত
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গোপালগঞ্জে কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট, ১৪৪ ধারা জারি

এম এ মাইকেলঃ
---
গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক অস্থিরতা চরমে পৌঁছেছে। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় গোটা শহরজুড়ে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে এনসিপির একটি কেন্দ্রীয় সমাবেশ শেষে মাদারীপুরের পথে যাত্রাকালে নেতাদের গাড়িবহরের ওপর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ শহর ত্যাগ করার মুহূর্তে এনসিপি নেতাদের বহরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার পরপরই এনসিপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। এর রেশ গিয়ে পড়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার পর্যন্ত। সন্ধ্যার দিকে সংঘবদ্ধ একটি দল কারাগারের মূল ফটকে হামলা চালায়। তাদের বাধা দিতে গিয়ে কয়েকজন কারা রক্ষী আহত হন। এ সময় হামলাকারীরা কারাগারের সামনে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ভাঙচুর চালায় কারাগারের গেটসহ আশপাশের স্থাপনায়।

পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায় চলে যায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শহরের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি অভিযান জোরদার করা হয়।

একপর্যায়ে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট ও সেনাসদস্যদেরকে এনসিপি নেতাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে শুরু হয়েছে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ এবং গোয়েন্দা নজরদারি।

ঘটনার পর গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন শহরজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করে সকল ধরনের রাজনৈতিক জমায়েত, মিছিল-মিটিং ও সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি জানান, “পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সে লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।”

এদিকে গোটা শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগেভাগেই বন্ধ হয়ে যায়। শহরের প্রধান সড়কগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন।

এনসিপি নেতারা একে পরিকল্পিত হামলা বলে দাবি করে দ্রুত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, “সরকারপন্থী সংগঠনগুলো আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার জন্যই এই বর্বর হামলা চালিয়েছে।”

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গোপালগঞ্জে পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে। শহরজুড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।



এ পাতার আরও খবর

বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথ: ঘরে ঘরে সংঘাত, সেনা শাসন নাকি নতুন গণতান্ত্রিক বিন্যাস? বাংলাদেশের রাজনৈতিক গতিপথ: ঘরে ঘরে সংঘাত, সেনা শাসন নাকি নতুন গণতান্ত্রিক বিন্যাস?
Bangladesh’s Political Trajectory: Neighborhood Unrest, Military Rule, or Democratic Reinvention? Bangladesh’s Political Trajectory: Neighborhood Unrest, Military Rule, or Democratic Reinvention?
ঢাকায় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড: আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুনরায় সক্রিয়তা নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভাঙন? ঢাকায় প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড: আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুনরায় সক্রিয়তা নাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থার ভাঙন?
কারফিউয়ে ঢাকা গোপালগঞ্জ, থমথমে রাস্তাঘাট কারফিউয়ে ঢাকা গোপালগঞ্জ, থমথমে রাস্তাঘাট
ঢাবিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি স্লোগান-মিছিল ঢাবিতে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মুখোমুখি স্লোগান-মিছিল
পারমাণবিক মতবাদ অপরিবর্তিত, পশ্চিমাদের প্রতি রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি পারমাণবিক মতবাদ অপরিবর্তিত, পশ্চিমাদের প্রতি রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি
উত্তাল গোপালগঞ্জ: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কারফিউর নিস্তব্ধতা উত্তাল গোপালগঞ্জ: রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কারফিউর নিস্তব্ধতা
বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন: গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ও সংঘাত: আত্মপ্রত্যয়ের বিপর্যয় নাকি বিরোধিতার বিস্ফোরণ? বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন: গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ও সংঘাত: আত্মপ্রত্যয়ের বিপর্যয় নাকি বিরোধিতার বিস্ফোরণ?
সেনা-পুলিশ পাহারায় অক্ষত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা সেনা-পুলিশ পাহারায় অক্ষত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ছাড়লেন নাহিদ-হাসনাতরা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)