
সোমবার, ৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার জনপ্রিয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার জনপ্রিয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার আগামী ১৯ মে লন্ডনে একটি ইউরোপীয় সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন। এই সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্য-ইইউ সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং উভয় পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
সম্মেলনের মূল লক্ষ্যসমূহ
নতুন কৌশলগত অংশীদারিত্ব : যুক্তরাজ্য ও ইইউ একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পরিকল্পনা করছে, যা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এবং মুক্ত বাণিজ্যের প্রতি উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করবে।
যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি: সম্মেলনে একটি ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা উভয় পক্ষের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করবে।
যুব মবিলিটি স্কিম ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবকদের জন্য কাজ বা অধ্যয়নের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি যুব ভিসা চুক্তি প্রস্তাব করা হয়েছে, যা উভয় পক্ষের মধ্যে সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত বিনিময় বাড়াবে। [3]
বাণিজ্য ও নিয়ন্ত্রক সংহতি: কৃষি পণ্যের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সহজ করার জন্য একটি পশুচিকিৎসা চুক্তি এবং পেশাগত যোগ্যতার পারস্পরিক স্বীকৃতি নিয়ে আলোচনা হবে।
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট: স্টারমার স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, তিনি যুক্তরাজ্যকে আবার ইইউর সদস্যপদে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে নন, তবে তিনি সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। এই পদক্ষেপগুলি যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। [4]
চ্যালেঞ্জ ও প্রতিক্রিয়া
ইইউর কিছু সদস্য রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নির্দিষ্ট শর্ত আরোপ করতে পারে, যেমন ইইউ বাজেটে অবদান রাখা বা ইইউর নিয়মাবলীর সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখা। এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের দিক থেকেও এই পদক্ষেপগুলি কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে, বিশেষ করে যদি যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংহতি বৃদ্ধি পায়। [5]
এই সম্মেলনের মাধ্যমে স্টারমার ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করার একটি সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও এটি ব্রেক্সিট সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার প্রচেষ্টা নয়, তবে এটি একটি বাস্তববাদী পদক্ষেপ যা উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক হতে পারে।