
শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তির রক্ষা-জিএমআরবি হুমকির প্রেক্ষাপট
প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তির রক্ষা-জিএমআরবি হুমকির প্রেক্ষাপট
কুয়ালালামপুর, ৫ জুলাই ২০২৫
জিএমআরবি নামক উগ্রবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেটওয়ার্ক ভাঙচুরের ঘটনায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভাবমূর্তি নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, গোষ্ঠীটি সিরিয়া ও বাংলাদেশে আইএসের জন্য অর্থ সংগ্রহ ও সদস্য নিয়োগে লিপ্ত ছিল।
মালয়েশিয়া পুলিশের তথ্য বলছে, গোষ্ঠীটির সদস্য সংখ্যা ১০০-১৫০ জনের মধ্যে এবং প্রত্যেকে বার্ষিক ৫০০ রিঙ্গিত করে ফি জমা করত। সমর্থকের অগ্রগামী অবস্থা অনুযায়ী অতিরিক্ত দান নিতেও তারা বাধ্য ছিল।
হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামকে দফায় দফায় ব্যবহার করে সদস্য সংগ্রহ, বাইআত গ্রহণ ও গোপন ধর্মীয় ক্লাস চালানো হচ্ছিল। প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে, অনলাইনে আনুগত্য স্বীকারকারী ব্যক্তিদের ‘সেল লিডার’ পদে প্রমোশন দেওয়ার সিস্টেম গড়ে উঠেছিল।
এই নেটওয়ার্ক মালয়েশিয়ায় হামলার পরিকল্পনা অস্বীকার করলেও এখানে অর্থ সংগ্রহ ও নিয়োগ কার্যক্রম দীর্ঘদিন চলে এসেছে। স্থানীয় কমিউনিটি পর্যবেক্ষণ এবং দূতাবাসের তৎপরতা যথেষ্ট ছিল না বলে পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগ স্বীকার করেছে।
পর্যালোচনা: কোথায় ছিদ্র ধরা পড়ল?
দেশান্তরের শ্রমীকদের নিয়োগ কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে প্রায়শই বাদ পড়ে যায়। কারখানা, নির্মাণস্থল ও পেট্রোল স্টেশনে কাজ করা মানুষের ব্যস্ততার মাঝেই এসব উগ্রবাদের বীজ ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাহিনী যতই সক্রিয় হোক না কেন, সাংগঠনিক সচেতনতা এবং সামাজিক যোগাযোগের তথ্যবিনিময় প্রক্রিয়া দুর্বল হলে অনুসন্ধান কঠিন হয়ে পড়ে।
করণীয়
দূতাবাস ও শ্রমিক সংগঠনগুলোকে নিয়মিত ও সাশ্রয়ী পর্যায়ে কমিউনিটি মিটিং আয়োজন করতে হবে
বিদেশগামী কর্মীদের জন্য বিশেষ মনস্তাত্ত্বিক ও ধর্মীয় সচেতনতা প্রশিক্ষণ চালু করতে হবে
সন্দেহজনক কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ও তথ্য বিনিময়ের স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে
মালয়েশিয়ার হোম অফিস ও বাংলাদেশি দূতাবাসের মধ্যে নিয়মিত ফোকাস গ্রুপ আলোচনা চালাতে হবে
প্রবাসী বাংলাদেশিদের সুনাম রক্ষায় সরকার, কমিউনিটি নেতারা এবং স্বতন্ত্র ব্যক্তিদের সক্রিয় ভূমিকা আবশ্যক। একজনের অপরাধ পুরো জাতির ওপর ছায়া ফেলে-এটি আমরা চালিয়ে যেতে পারি না