
শুক্রবার, ২ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » » ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও আরাকান সংকট: দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা ও আরাকান সংকট: দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকির মুখে
বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তান-ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়বা ও তাদের সহযোগী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে দায়ী করেছে, যদিও পরবর্তীতে TRF দায় স্বীকার করে প্রত্যাহার করে।
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর গুলিবিনিময় চলছে। ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে ইন্দাস জলচুক্তি স্থগিত করেছে এবং পাকিস্তানি কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। পাকিস্তান পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে, বাণিজ্য সীমিত করেছে এবং আকাশসীমা বন্ধ করেছে। এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, ভারত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (FATF)-এর কাছে পাকিস্তানের ঋণ ও সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের জন্য আরাকান সংকট নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি (AA) নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে, যা বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রচেষ্টাকে জটিল করে তুলেছে।
বাংলাদেশ এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের মানবিক করিডোর প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে, যদিও কিছু রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগে সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী ও বর্তমান পরিস্থিতি
বুলগেরিয়ান ভবিষ্যদ্বক্তা বাবা ভাঙ্গা ২০২৫ সালে ইউরোপে যুদ্ধ এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে, পূর্বের একটি যুদ্ধ পশ্চিমকে ধ্বংস করবে, যা বর্তমান ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, এই যুদ্ধ মানব সভ্যতার পতনের সূচনা হতে পারে।
পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের উত্তেজনা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলেছে। যদিও যুদ্ধের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বর্তমান পরিস্থিতির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হওয়ায়, অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এই সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।