শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | পোশাক শিল্প | বিশ্ব সংবাদ | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ » কানাডায় বাংলাদেশের অর্থ পাচার লুটপাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানব্বন্ধন
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | পোশাক শিল্প | বিশ্ব সংবাদ | ব্যাংক-বীমা | ব্রেকিং নিউজ » কানাডায় বাংলাদেশের অর্থ পাচার লুটপাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানব্বন্ধন
১৪০৪ বার পঠিত
সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কানাডায় বাংলাদেশের অর্থ পাচার লুটপাটের বিরুদ্ধে বাংলাদেশী অভিবাসীদের মানব্বন্ধন

 ---

সাওগাত আলি সাগরের ফেসবুক ওয়াল থকে-আগের দিনই শহরজুড়ে বয়ে গেছে বরফ ঝড়।১৫ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বরফের নীচে চাপা পরা শহরটা এখনো গা ঝাড়া দিয়ে ওঠতে পারেনি। তার ওপর তাপমাত্রা হিমাংকের প্রায় ১২/১৩ (মাইনাস ১২/১৩) ডিগ্রী নীচে। তবু এই মানুষগুলো এসে রাস্তায় দাঁড়িয়ে গেছে।কারো কারো হাতে কাগজে লেখা পোষ্টার, সেই সব পোষ্টারে দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে ধিক্কার, বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে বিশাল অংকের টাকা লুট করে আসা চোর ডাকাত আর লুটেরাদের বিরুদ্ধে ধিক্কার।বিদেশ বিভূঁইয়ে জন্মভূমি থেকে টাকা পাঁচারের বিরুদ্ধে সাধারন নাগরিকদের এমন অবস্থান- আগে কি কেউ কখনো দেখেছে!

---
২. না, এটি কোনো পরিকল্পিত, সংগঠিত উদ্যোগ ছিলো না। বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে শত শত, হাজার কোটি টাকা লুট করে কতিপয় দুর্বৃত্তের কানাডায় এসে বসতি গড়ার খবর বেরিয়েছে ঢাকার পত্রিকায়। সেই খবরেই ক্ষুব্দ হয়ে ওঠে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ‘একটা মানব বন্ধন করলে হয় না!’—এমন একটা ফিস ফাস হচ্ছিলো সবার মনেই। আবৃত্তি শিল্পী আহমেদ হোসেন (Ahmed Hossain) তো ফোন করে বলেই ফেললেন- একটা কিছু করতেই হবে, সেটা গানে কবিতায় প্রতিবাদ হলেও। অর্থ পাঁচার, লুটপাটের বিরুদ্ধে ‘গানে, কবিতায় প্রতিবাদের’ কর্মসূচী রয়েছে ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। রাজিবুর রহমান (Rajibur Rahman) ’১৯ জানুয়ারি মানব বন্ধনের কথা জানিয়ে ফ্লায়ার ছেড়ে দেন ফেসবুকে। ব্যাস, মানুষের সমর্থন পেতে থাকে এই ঘোষনাটা। কোনো সংগঠন নেই, আয়োজক নেই, একটি ফ্লায়ারকে ঘিরেই সবাই উৎসাহী হয়ে ওঠে। এর মাঝে অন্টারিও আ্ওয়ামী লীগ বৈঠকে বসে যায়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, অর্থ পাঁচারের বিরুদ্ধে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে তারাও মানববন্ধনে অংশ নেয়ার ঘোষনা দেয়।অর্থ পাঁচারের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক দলের সক্রিয় হয়ে ওঠা আমাদের উৎসাহী করে তুলে।
৩. কতো মানুষ এসেছিলো মানববন্ধনে?-না, এই প্রশ্নটা আমাদের কাছে একদমই গুরুত্বপূর্ণ না। মাইনাস ১২/১৩ ডিগ্রীর হাড় কাঁপানো শীতে, বরফস্তুপের উপর দাড়িয়ে থেকে বাংলাদেশের লুটেরাদের বিরুদ্ধে, অর্থ পাঁচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানোর এই বিরল দৃশ্যটাই আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । আমরা কি কখনো এমন একটি দৃশ্যের কল্পনা করতে পেরেছি?
৫০/৬০ কিলোমিটার পথ গাড়ি চালিয়ে এসে কোনো নারী যখন মানবন্ধনে দাঁড়িয়ে যায়, আর বলে- আপনাদের সাথে সহমর্মিতা জানাতে এলাম,শহরের অপর প্রান্ত থেকে কেউ যখন পুরো পরিবারকে নিয়ে এসে মিছিলে দাঁড়িয়ে যায়- তখন আমাদের সাহসটা আরো অনেকগুন বেড়ে যায়। তখন আর আমরা সংখ্যা গোনার প্রয়োজনয়িতা হারিয়ে ফেলি। আমরা তখন গলা ছেড়ে বলতে শুরু করি, ‘আসছে ফালগুনে আমরা দ্বিগুন হবো”।
৪. জন্মভূমি বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাঁচারের বিরুদ্ধে, লুটেরাদের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলনের যে সূচনা হয়েছে, আজকের মানব বন্ধনের পর- আমাদের সাহস এবং ভরসা দুই ই বেড়েছে। এই আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সব খানেই ছড়িয়ে যাবে- সেই বিশ্বাসের ওপর আমরা দাড়িয়ে আছি।শুধু আপনাকে, আপনাদের সঙ্গে চাচ্ছি বন্ধু, প্লিজ আপনার হাতটা বাড়িয়ে দিন ।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)