শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » এবার চালের বাজারে আগুন
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » এবার চালের বাজারে আগুন
২৫৩ বার পঠিত
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এবার চালের বাজারে আগুন

---

পক্ষকাল সংবাদ-

পেঁয়াজের ঝাঁজে দিশেহারা মানুষের জন্য এবার আরেক দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য চাল। পেঁয়াজের পর চালের বাজারে আগুন লাগতে শুরু করেছে। খারাপ উদ্দেশ্যে নিয়ে সক্রিয় হচ্ছে চালের নতুন সিন্ডকেট। সূত্র জানায়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বড় ফসলহানি নেই, চালের মজুত ও সরবরাহে সংকট নেই, বোরোতে ছিল বাম্পার ফলন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত উত্তরের জেলাগুলোতে চলছে আমনের মৌসুম। এ অবস্থাতেও রাজধানীসহ সারা দেশে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। পাইকারি বাজারে ধরন ভেদে কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা এবং খুচরায় বেড়েছে ৪ থেকে ৫ টাকা।

রোববার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরায় প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়। এছাড়া ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হওয়া নাজিরশাইল দাম বেড়ে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, ৩৩ থেকে ৩৪ টাকার বিআর-২৮ চাল বিক্রি হয়েছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকায় এবং ৩০ থেকে ৩২ টাকার স্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায়। তবে পোলাওয়ের চাল বা চিনিগুঁড়া কেজিপ্রতি ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ চালের ক্রেতা অনেক কম।

কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানি আনোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন ধরে পেঁয়াজের দামের কারণে ক্রেতার প্রশ্নে অস্থির অবস্থা। এখন নতুন করে যোগ হয়েছে চালের বাড়তি দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ভেদে প্রতি বস্তায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি দাম নিচ্ছেন পাইকাররা। দাম বাড়লে বা কমলে খুচরা বিক্রেতাদের তেমন লাভ নেই। দাম যা-ই হোক না কেন, তারা প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ টাকা লাভ করেন।

রাজধানীর বাবুবাজারের চালের আড়তের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি বাজারে চালের দাম বেড়েছে। কারণ পাইকাররাও মোকাম মালিকদের কাছ থেকে বেশি দরে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। শনিবার পাইকারিতে মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ২ হাজার ৩০০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২ হাজার ১০০ থেকে ২ হাজার ১৫০ টাকা। নাজিরশাইল প্রতি বস্তা বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬৫০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকা। ১ হাজার ৫০০ টাকার বিআর-আটাশ চাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭০০ টাকায় এবং ১ হাজার ৫৫০ টাকার স্বর্ণা চাল বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৬৫০ টাকায়। চিনিগুঁড়া কেজিপ্রতি ৭ থেকে ৮ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দাম বাড়ার পেছনে তারা মিল মালিকদেরই কারসাজির আশঙ্কা করছেন।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত চাল মজুত আছে। বোরো মৌসুমে বাম্পার ফলন হয়েছে। কদিনে চালের বাজারে ঘাটতিও দেখা দেয়নি, এমনকি চাল সরবরাহে তৈরি হয়নি কোনো সংকট। তাই হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া অযৌক্তিক। অতি এবার অস্থির চালের মুনাফার লোভে মিল মালিকদের কারসাজিতে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হলে বাজারে চালের দাম কমে আসতে পারে। দাম যেন আর না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এজন্য বিশেষভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)