শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » স্রোতের বিপরীতে একজন অধ্যাপক ফারুক, রাষ্ট্রের মন্ত্রী সচিব এবং আমরা…
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » স্রোতের বিপরীতে একজন অধ্যাপক ফারুক, রাষ্ট্রের মন্ত্রী সচিব এবং আমরা…
৪৯৯ বার পঠিত
শনিবার, ১৩ জুলাই ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্রোতের বিপরীতে একজন অধ্যাপক ফারুক, রাষ্ট্রের মন্ত্রী সচিব এবং আমরা…

মে মাসে হাইকোর্ট বাজার থেকে ৫২টা পণ্য সরিয়ে নিতে বলেন। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে সরিষার তেল, চিপস, খাবার পানি, নুডলস, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, আয়োডিন যুক্ত লবণ, লাচ্ছা সেমাই, চানাচুর, বিস্কুট এবং ঘি।

মোটামুটি একটা মধ্যবিত্ত সংসারের যাবতীয় সব নিত্যদরকারি পণ্য এসব। তীর, রুপচাঁদা, ফ্রেশ, এসিআই সহ বেশিরভাগই ভাল ব্র‍্যান্ডের পন্য সেসব। নিম্নমানের এই পন্য বাজার থেকে সরিয়ে ধ্বংস করে ফেলার নির্দেশনা ছিল। নতুন করে মানোত্তীর্ণ না হলে এসব পণ্য বাজারজাতকরণের নিষেধও করা হয়েছিল।

শিল্পমন্ত্রী এতে দুক্ষু পেয়েছেন। তিনি বলেন, ভুল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এসব পণ্যকে ভেজাল বলা ঠিক নয়। নিম্নমান বলা যেতে পারে। ভেজাল শব্দটা খুবই খারাপ তার মতে।

*

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক দুধ নিয়ে গবেষণা করলেন। তিনি দেখালেন এই দুধ সেই দুধ নয়, এই দুধে আছে স্পেশাল ম্যাজিক। এন্টিবায়োটিক সমৃদ্ধ এসব দুধে নাকি ডিটারজেন্ট ও পাওয়া গেছে। ব্র‍্যান্ডগুলো সব আপনার আমার চেনা, সুপ্রতিষ্ঠিত। মিল্কভিটা, প্রাণ, আড়ং, ফার্মফ্রেশ….

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টার এবং ফার্মেসি অনুষদের বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে এসব খাদ্যপণ্যের গুণগত মান পরীক্ষা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব খাদ্যপণ্যের উপর পরীক্ষাকৃত ফলাফল উপস্থাপন করেছিলেন বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক এবং ফার্মেসি অনুষদের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। একই দিন বিএসটিআই হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে তারা দাবি করেে দুধের নমুনায় কোনো ক্ষতিকর উপাদান পাওয়া যায়নি। অথচ এখন তারাই স্বীকার করছেন দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কি নেই এই পরীক্ষা করার মুরোদই তাদের নেই অর্থাৎ এই উপাদানগুলো সনাক্ত করার সক্ষমতা এই মুহুর্তে নেই প্রতিষ্ঠানটির!

অধ্যাপক ফারুক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হয় না, শিক্ষকরা সব অর্থব কাজে সময় ব্যয় করে এই কথা বলতে বলতে অনেকের মুখে লোল পড়ে। কিন্তু একজন সত্যানুসন্ধানী গবেষকের বিড়ম্বনা কি হয় সেটা কি তাদের জানা আছে? তাদের অবগতির জন্য জানাই, এই গবেষণা করার ফলে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারের একজন সচিব ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়েছেন। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য তো এই গবেষণাকে মিথ্যা বলে চিহ্নিত করেছেন। তার খুব কষ্ট, দুধকে কেন বলা হয়েছে নষ্ট? তিনি এটাকে দুধের বিরুদ্ধে অপপ্রচার বলেও বক্তব্য রাখেন।

তারচেয়ে অবাক করা ব্যাপার খোদ ফার্মেসি অনুষদের চেয়ারম্যান ডিপার্ট্মেন্টের প্যাডে এই বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়াল বক্তব্য প্রকাশ করেন। সেখানে বিভাগটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বলেন, মন্ত্রী যে বলেছেন ফার্মেসি অনুষদের গবেষণা ফলাফল মিথ্যা এই দায় বিভাগ নেবে না। ওই গবেষণাটি গবেষকের একান্ত নিজস্ব গবেষণালব্ধ ফল।

কি অসাধারণ না? আমরা প্রশ্ন করতে চাই, এই সমন্বিত লিয়াজুঁ কার স্বার্থে?

অথচ, এখানে গবেষক কিংবা ব্র‍্যান্ডগুলোর সাথে দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার কোনো ব্যাপার নয়। ব্র‍্যান্ডগুলো নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে, সুনাম অর্জন করেছে তাদের পণ্যের কারণে। সেই পণ্যের মান, গুণগত উপাদান ঠিক রাখা একটি চলমান বিষয়। গবেষকরা এখানে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে যেসব ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছেন ব্র‍্যান্ডগুলো সেটাকে আমলে নিয়ে নিজেদের পরিশুদ্ধ করবে, ভোক্তার কল্যাণে, নিজেদের ব্র‍্যান্ড সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে। সরকার গবেষণার রিপোর্ট আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় তদারকি করবে। স্বাভাবিকভাবে এটাই হওয়া কি যৌক্তিক নয়?

কিন্তু স্বাভাবিকতা এখন কোথায় আছে? সরকারের প্রতিনিধি এটাকে দিব্যি অপপ্রচার বলে প্রচার করছে। ব্র‍্যান্ডগুলোও বলছে ইহা অপপ্রচারই বটে। তাদের দুধ খুবই খাঁটি। বরং, গবেষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও কথা উঠেছে, সচিব জানিয়েছেন গবেষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সেই শিক্ষক দ্বিতীয়বার আবারো পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। এবারে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ। এবারে দশটি নমুনার দশটিতেই এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে! এই হলো অবস্থা। অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, জনস্বার্থে ভবিষ্যতেও এরকম পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করতে পিছপা হবেন না। তিনি আশা করেন এই গবেষণা দুধ বাজারজাতকরণ কোম্পানিগুলোকে গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। তিনি এই আশাও করেন, সরকারি দায়িত্বশীল সংস্থা দুধে পাওয়া এন্টিবায়োটিক হালকাভাবে না নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করবে। তিনি মনে করেন, যদি সমস্যাকে সমাধানের লক্ষ্যে উদ্যোগী হয়ে তারা কাজ করেন তাহলে কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে এসব গবেষণায় বিদেশী চক্রান্ত খুঁজতে হবে না।

কিন্তু, আমরা ভয় করি, যেভাবে নিরীহ একটি গবেষণার ফলকে আক্রমণ করা হয়েছে, প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে সেটার মাধ্যমে কি উৎসাহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে আসলে? এই শিক্ষক হয়ত বিবেকের তাড়নায় জনস্বার্থে ফলাফল প্রকাশ করেছেন। ভয় হুমকি আমলে নেননি। কিন্তু, আমরা কেউই সরাসরি স্বীকার করি বা না করি, আমরা জানি এখনকার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া কি, তারা গবেষণার চেয়েও কোন কোন জায়গায় আগ্রহী, শ্রেণীকক্ষে পাঠদানের চেয়েও বিভিন্ন রঙয়ের রাজনীতির প্রতি কেন তাদের আগ্রহ সেই কথাও কারো অজানা নয়। ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যানের স্ট্যান্ড থেকেই কিছুটা ধারণা আমরা পাই।

এই সময়ে এসে গবেষণার প্রতি আগ্রহের চেয়ে স্রোতের সাথে মিশে বাড়তি সুবিধা আদায় নিয়েই বেশিরভাগের আগ্রহ। এরকম অবস্থায় একজন শিক্ষক যখন স্রোতের বিপরীতে গবেষণা করেন, জনস্বার্থের কথা ভাবেন তাকে হুমকি দেয়া, গবেষণাকে ঢালাওভাবে প্রত্যাখ্যান করা খুব বাজে উদাহরণ। আমাদের তাই অধ্যাপক ফারুকের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা উচিত। আমাদের বার্তা দেয়া উচিত জনস্বার্থে যে কাজ যারাই করবেন জনগণ তার পাশে দাঁড়াবে।



এ পাতার আরও খবর

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘ডেড’ নয়, ‘লাইফ’ ইস্যু: ফখরুল
মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের অবসানের লক্ষ্যে ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা এবং বাম গণতান্ত্রিক জোটের যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা।
ইউনিভার্সাল  রেকর্ড ফর্মে প্রথম বাংলাদেশ হিসেবে ইউনিভার্সাল বুকেনাম। অন্তর্ভুক্ত করলেন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী গ্র্যান্ডমাস্টার কারাতে ডক্টর মোহা : গোলাম জাকারিয়া ইউনিভার্সাল রেকর্ড ফর্মে প্রথম বাংলাদেশ হিসেবে ইউনিভার্সাল বুকেনাম। অন্তর্ভুক্ত করলেন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী গ্র্যান্ডমাস্টার কারাতে ডক্টর মোহা : গোলাম জাকারিয়া
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ  নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে
প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি বাংলাদেশের বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে ৬ কংগ্রেসম্যানের চিঠি বাংলাদেশের বাহিনীকে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নিষিদ্ধ করার আহবান
সেবক থেকে শোষক জনগন সেবা বঞ্চিত সেবক থেকে শোষক জনগন সেবা বঞ্চিত
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্স নিয়ে সিপিডির সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা রেমিট্যান্স নিয়ে সিপিডির সন্দেহ
কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত      by আন্তর্জাতিক ডেস্ক      Published: 27 Maকাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত      by আন্তর্জাতিক ডেস্ক      Published: 27 May 2023      Last Updated: 27 May 2023   ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।  jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক  ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।  ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement  ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়।  ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।  ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়।  ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।  ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।y 2023      Last Updated: 27 May 2023   ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর।  jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক  ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড।  ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement  ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়।  ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে।  ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়।  ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে।  ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 27 Maকাশ্মিরের স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চায় ভারত by আন্তর্জাতিক ডেস্ক Published: 27 May 2023 Last Updated: 27 May 2023 ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর। jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড। ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়। ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।y 2023 Last Updated: 27 May 2023 ভারতের শীর্ষ সন্ত্রাসবিরোধী তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আবারও জম্মু কাশ্মিরের একজন নেতৃস্থানীয় স্বাধীনতাপন্থী নেতার মৃত্যুদণ্ড চেয়েছে। গত শুক্রবার এনআইএ দিল্লির হাইকোর্টে এ আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই স্বাধীনতাপন্থী নেতা হলেন কাশ্মির লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) প্রধান ইয়াসিন মালিক। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের খবর। jklfজেকেএলএফ চেয়ারম্যান ইয়াসিন মালিক ভারত-শাসিত কাশ্মিরের একজন সিনিয়র নিরাপত্তা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এনআইএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী সোমবার শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে। টিআরটি ওয়ার্ল্ড। ইয়াসিন মালিক সরকারনিযুক্ত আইনজীবী গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। বিচার চলাকালে তিনি অভিযোগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে একজন মুক্তিযোদ্ধা বলে দাবি করেন। চলতি মাসে আদালতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-সম্পর্কিত অভিযোগগুলো বানোয়াট এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার সংগঠন কাশ্মিরের স্বাধীনতা চায়। advertisement ইয়াসিন বিচারককে বলেন, যদি স্বাধীনতা চাওয়া অপরাধ হয়, তাহলে আমি এই অপরাধে অপরাধী এবং এর পরিণতি মেনে নিতে প্রস্তুত। আদালত এনআইএর মৃত্যুদণ্ডের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ড এমন একটি শাস্তি যা সমাজের সমষ্টিগত চেতনাকে ধাক্কা দেয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীরা ভারতকে স্বাধীনতা দিলেও কাশ্মির নিয়ে তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করে দেয়। উভয় দেশই এই অঞ্চলটিকে নিজেদের দাবি করে এবং কাশ্মিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দুদেশের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। ইয়াসিন মালিকের জেকেএলএফ ১৯৮৯ সালে কাশ্মিরের ভারত শাসিত অংশে একটি সশস্ত্র বিদ্রোহে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাতে আরও বিদ্রোহী গোষ্ঠী যুদ্ধে যোগ দেয়। এরপর ভারত বড় সামরিক অভিযান চালায়। সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, সৈন্য এবং বিদ্রোহী নিহত হয়। ভারতে এ পর্যন্ত কাশ্মিরে ৫ লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। কাশ্মির এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সামরিকায়ন করা অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটিতে পরিণত হয়েছে। কাশ্মিরিরা দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা দাবি করে আসছে। ইয়াসিন মালিক ১৯৯৪ সালে স্বাধীনতার জন্য শান্তিপূর্ণ প্রচারণা চালাতে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিত্যাগ করেন। পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ভারতের দুই প্রধানমন্ত্রীসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তাকে বারবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। কাশ্মিরের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার কয়েক মাস আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতরা বিশেষ প্রটোকল পাবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী: শর্তসাপেক্ষে রাষ্ট্রদূতরা বিশেষ প্রটোকল পাবেন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)