শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিস্টরা
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিস্টরা
৩০০ বার পঠিত
শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

রামপাল প্রকল্পের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার আন্তর্জাতিক অ্যাক্টিভিস্টরা

------
পক্ষকাল ডেস্ক ঃ রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হয়েছে আন্তর্জাতিক  অ্যাক্টিভিস্ট । ৭০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক অধিকারবাদী ও পরিবেশবাদী গ্রুপ সুন্দরবনের কাছে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এই প্রকল্প রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসভূমিকে ধ্বংস করবে, পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে এবং লাখ লাখ মানুষ জীবিকা হারাবে। ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থান সুন্দরবনের প্রান্ত ঘেঁষে ১,৩২০ মেগাওয়াটের রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর সামান্য দূরে একটি কিছু ছোট প্লান্টও বসানো হচ্ছে।

মুম্বাই থেকে রয়টার্স পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ২০ এপ্রিল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির কাছে লেখা সুইডেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জাপানসহ বিভিন্ন দেশের সক্রিয়বাদী গ্রুপের লেখা এক চিঠিতে বলা হয়, ‘এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, প্রস্তাবিত রামপাল এবং অরিয়ন বিদ্যুৎ প্লান্টগুলো সুন্দরবনের প্রতিবেশের ওপর মারাত্মক ও অপূরণীয় ক্ষতি করবে।’

চিঠিতে আরো বলা হয়, প্রস্তাবিত কয়লা বিদ্যুৎ প্লান্টটি লাখ লাখ মানষের স্বাস্থ্য ও জীবিকা হুমকিগ্রস্ত করবে। লবণ-সহিষ্ণু সুন্দরবনে থাকা ছোট ছোট দ্বীপে নানা প্রজাতির পাখি ও প্রাণী বাস করে। আর আছে বিশ্ববিখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

রামপাল প্রকল্পটি প্রায় পাঁচ লাখ মানষের জীবিকা সরাসরি নষ্ট করতে পারে। এদের মধ্যে আছে জেলে, কৃষক ও বনজীবী। এছাড়া বন ধ্বংস হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে আরো লাখ লাখ মানুষ অরক্ষিত হয়ে পড়বে বলে মনে করছে স্থানীয় তেল, গ্যাস খনিজসম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।

ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সরকার ২০২২ সালের মধ্যে ২৫টি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। এর বিরুদ্ধে আয়োজিত প্রতিবাদ অনেক স্থানে সহিংসতায় রূপ নেয়। চলতি বছরের প্রথম দিকে চীন-সমর্থিত ২শ ৪ কোটি ডলারের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার সময় একজন নিহত এবং প্রায় এক ডজন মানুষ আহত হন। গত বছর প্লান্টটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় পুলিশের গুলিতে অন্তত চারজন নিহত হন।

চলতি বছরের প্রথম দিকে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোরের সমালোচনার জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, বাংলাদেশের অতি জরুরি প্রয়োজন বিদ্যুতের, আর প্রস্তাবিত প্লান্টটি সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে।

পরিবেশবাদীরা বলছেন, প্রকৃতি এবং জনসাধারণের জীবিকায় জীবাস্ম-জ্বালানিভিত্তিক প্লান্টের ঝুঁকি এখনো পরিমাপ করা হয়নি।

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটির কাছে লেখা চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, এসব প্রকল্পের কারণে নারীরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। কারণ উচ্ছেদের ফলে জেন্ডার বা নারী-পুরুষের সহিংসতা বেড়ে যায়। এতে করে নারীরা পাচার ও পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হওয়ার শঙ্কায় থাকে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)