শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » রাজনীতি » যুগ যুগ শোষিত-বঞ্চিতদের সাহস দেবে সাতই মার্চ: প্রধানমন্ত্রী
প্রথম পাতা » রাজনীতি » যুগ যুগ শোষিত-বঞ্চিতদের সাহস দেবে সাতই মার্চ: প্রধানমন্ত্রী
২৯৬ বার পঠিত
শনিবার, ১২ মার্চ ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

যুগ যুগ শোষিত-বঞ্চিতদের সাহস দেবে সাতই মার্চ: প্রধানমন্ত্রী

 ---

পক্ষকাল প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধু সাতই মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়ে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে যেভাবে স্বাধীনতা সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তা ইতিহাসে বিরল ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘কালোত্তীর্ণ ভাষণ: প্রস্তুতি ও প্রভাব’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, “একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় তিনি উদ্বুদ্ধ করে নিয়ে এলেন। এমন ঘটনা ইতিহাসে বিরল। আর সেই পথ ধরেই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “এই ভাষণকে যতভাবেই বিশ্লেষণ করা যাক, প্রতিনিয়তই যেন নতুনভাবে আমাদের সামনে চলে আসছে।

“৪৬ বছর ধরে একটি ভাষণ এখনও মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। এর আবেদন কখনও শেষ হয় না।”

বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

পাকিস্তান আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রথমে পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য, সেই মুসলিগ লীগ গঠন করা, পাকিস্তান সৃষ্টি করা। পাকিস্তান হওয়ার সাথে সাথে তিনি বুঝলেন, এই ১২০০ মাইলের ব্যবধানে এবং যেখানে ভাষা, সংস্কৃতি, আচার-আচরণে মিল নেই, তাদের সাথে এক হয়ে চলা বা এক হয়ে থাকা এটা অসম্ভব।

“বাঙালিকে আলাদা জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা, আলাদা রাষ্ট্র দেওয়া এই স্বপ্নটাই ছিল জাতির পিতার।”

সাতই মার্চের ভাষণের পেছনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “অনেকে বক্তৃতার পয়েন্ট লিখে ফেললেন, হাতে দিয়ে গেলেন। অনেকে এসে বললেন, আজকে এটা বলতেই হবে, না হলে মানুষ হতাশ হয়ে ফিরে যাবে। আজকে সেইদিন, এদিন না বললে আর বলা যাবে না।

“আমরা মা একথাটাই বলেছিলেন যে, অনেকে অনেক কথা বলবে। এই মানুষের জন্য সারাজীবন তুমি কষ্ট স্বীকার করেছ। তুমিই জানো কী বলতে হবে, তুমি জানো কী করতে হবে। অনেকে অনেক কিছু বলবে, কারও কথা শোনার কোনো প্রয়োজন নাই।”

শেখ হাসিনা বলেন, “উনি (বঙ্গবন্ধু) যে ভাষণ দিয়েছেন, উনার হাতে কিন্তু কিছু নেই। উনি সোজা দাঁড়ালেন। জনতার সামনে গেলেন। যা বলার বলে দিলেন।”

লাখ লাখ মানুষকে স্বাধীনতার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের জন্য, গেরিলাযুদ্ধের জন্য ‘সবরকম প্রস্তুতি-নির্দেশনা’ ওই ভাষণে দেওয়া হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।

“কী কী করতে হবে প্রত্যেকটা কথা কিন্তু তিনি বলে দিলেন। দিক নির্দেশনা দিয়ে দিলেন। এমনভাবে তিনি বললেন, মানুষ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে যার যার জায়গায় চলে গেল।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালির স্বাধীন সত্ত্বা ও আত্মপরিচয়ের পথটা বঙ্গবন্ধু দেখিয়ে দিয়েছিলেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর এই ভাষণ প্রচারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞার থাকার কথাও অনুষ্ঠানে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা।

সেই সময় থেকে ‘ইতিহাস বিকৃতি’ ও বঙ্গবন্ধুর ‘নাম মুছে ফেলার’ নানা প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “একটা প্রজন্ম তো জানতেই পারেনি কীভাবে একটা দেশ স্বাধীন হলো। আমরা যুদ্ধ করে বিজয়ী জাতি- সেই গর্ব করার জায়গাটাই যেন হারিয়ে গিয়েছিল।”

তবে এসব অপপ্রয়াস সফল হয়নি মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারেনি।”

“আমি আশাবাদী এখন যে, আজকে মানুষের ভেতরে অনেক পরিবর্তন এসেছে।

বিশেষ করে আমাদের নতুন প্রজন্ম..,” বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “সাতই মার্চের ভাষণটাই কিন্তু আমাদের প্রেরণা। সাতই মার্চের ভাষণইতো আমাদেরকে পথ দেখিয়ে গেছে। এই সাতই মার্চের প্রত্যেকটি শব্দ আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

“সাতই মার্চের ভাষণটা আমাদের সেই চেতনাটা এনে দেয়। মাথা উঁচু করে চলার মনোবল আমাদের দেয় এবং যে কোনো অবস্থা মোকাবিলা করার, শত্রুকে দমন করার পথ দেখায়।”

শেখ হাসিনা বলেন, “পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণের মধ্যে এই ভাষণ স্থান পেয়েছে; অথচ এই বাংলাদেশেই একদিন এই ভাষণের ওপর অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছিল যে, এই ভাষণ বাজানো যাবে না, শোনা যাবে না।”

এজন্য একটা প্রজন্ম এই ভাষণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে করেন শেখ হাসিনা।

তবে ভবিষ্যতে সেই বঞ্চনার ‘বোঝা’ বাঙালি জাতিকে ‘বইতে’ হবে না- এমন আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আর কেউ ভবিষ্যতে দাবায়ে রাখতে পারবে না। এই ভাষণ যুগ যুগ ধরে শোষিত, বঞ্চিত মানুষদেরকে প্রেরণা দেবে, শক্তি যোগাবে, সাহস যোগাবে।

“আমি আশা করি, আমাদের যুব সমাজ, বিশেষ করে আজকে যারা ছাত্র, তরুণ; আগামী দিনে যারা এই দেশের কর্ণধার হবে, তারা এই ভাষণটাকে আরও বারবার শুনবে, প্রেরণা পাবে, নিজেদেরকে তৈরি করবে, যে কোনো অবস্থা মোকাবিলা করবার মতো শক্তি, সাহস নিয়ে তারা এ দেশকে গড়ে তুলবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাস, মৌলবাদ, আগুন দিয়ে পোড়ানোসহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও তার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

আলোচনা অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লেখক ও সাংবাদিক আবুল মোমেন।

তিনি বলেন, “বাংলার লোকগান শুনে তাতে রস না পেলে যেমন বাঙালি হওয়া যায় না, তেমনি সাতই মার্চের ভাষণ শুনে অনুপ্রাণিত বোধ না করলে সেও মনে হয় খাঁটি বাঙালি হতে পারবে না।”

শহীদ মিনার ও সৃতিসৌধের মতোই সাতই মার্চের ভাষণও অফুরন্ত প্রেরণার উৎস বলে মনে করেন আবুল মোমেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নাট্য সংগঠক রামেন্দু মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের অধ্যাপক মশিউর রহমান ও বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমান।



এ পাতার আরও খবর

রাজশাহী প্রেসক্লাবের দখলদার ও স্বঘোষিত সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজশাহী প্রেসক্লাবের দখলদার ও স্বঘোষিত সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার
বাংলাদেশে মবের শাসন: যখন রাষ্ট্র নীরব, তখন জনতা হয়ে ওঠে জল্লাদ বাংলাদেশে মবের শাসন: যখন রাষ্ট্র নীরব, তখন জনতা হয়ে ওঠে জল্লাদ
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আগ্রহী, নাকি কৌশলগত স্বার্থে? যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আগ্রহী, নাকি কৌশলগত স্বার্থে?
ভিআইপি রুম না পেয়ে যুবদল নেতার অনুসারীদের বার ভাঙচুর, নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ ভিআইপি রুম না পেয়ে যুবদল নেতার অনুসারীদের বার ভাঙচুর, নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ
কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান সফল, নিহত ‘মেজর’সহ উদ্ধার বিপুল অস্ত্র কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান সফল, নিহত ‘মেজর’সহ উদ্ধার বিপুল অস্ত্র
মুরাদনগরে মাদক সন্দেহে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে মাদক সন্দেহে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
গুমে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলেই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সেনাবাহিনী গুমে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলেই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সেনাবাহিনী
গত ১০ মাসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় মব ঘটছে। ন্যায় বিচার কার্যকর করা হলে মবের প্রয়োজন নেই-আহম্মেদ শাকিল গত ১০ মাসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় মব ঘটছে। ন্যায় বিচার কার্যকর করা হলে মবের প্রয়োজন নেই-আহম্মেদ শাকিল

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)