শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ১৩ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরী বন্ধ থাকায় হাজারো যাত্রীর দূর্ভোগ
প্রথম পাতা » জেলার খবর » লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরী বন্ধ থাকায় হাজারো যাত্রীর দূর্ভোগ
২৯৬ বার পঠিত
বুধবার, ১৩ মে ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লক্ষ্মীপুর নৌরুটে ফেরী বন্ধ থাকায় হাজারো যাত্রীর দূর্ভোগ


---
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

টানা তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে লক্ষীপুর-ভোলা-বরিশাল রুটের ফেরী চলাচল। প্রবল কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া ফেরীর পন্টুন র‌্যাম সচল না হওয়ায় পারাপার করা যাচ্ছে না ওই রুটে কোন প্রকার যানবাহন। ফলে লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাট পাড়ে দেখা দিয়েছে দীর্ঘ যানজট। এতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী যানবাহন। আজ (বুধবার) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফেরী চলাচল বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুকি নিয়ে ছোট ছোট নৌকা ও ট্রলার যোগে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ডেঞ্জার জোনে উত্তাল মেঘনায় পাড়ি দিচ্ছে শত শত যাত্রী। যে কোন মূহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অশংকা করছেন স্থানীয়রা।
খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ২১টি জেলার সাথে সড়ক পথে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের নৌ-পথে ফেরী সার্ভিস। তাই এ রুটে প্রতিদিন শত শত বাস, ট্রাক, কাভার ভ্যানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যবাহী যানবাহন চলাচল করে। গত ১১ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে হঠাৎ করে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হলে প্রচন্ড ঢেউ আর বাতাসের তোরে ইলিশা ফেরিঘাটের পল্টুনের র‌্যাম ছিড়ে নদীতে পড়ে যায়। যার ফলে সোমবার থেকে লক্ষীপুর-ভোলা রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাট পাড়ে আটকে আছে শত শত বাস, ট্রাক, কবারভ্যানসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। চরম দুর্ভোগে পড়েতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী, চালক ও পরিবহন শ্রমিকদের।
ঘাটে বাবার লাশ নিয়ে এক যাত্রী জানায়, গতকাল রাতে আমার বাবার লাশ নিয়ে চট্রগ্রাম থেকে ভোলার উদ্দ্যেশে রওনা হই। মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাটে এসে জানতে পারি ফেরী চলাচল বন্ধ। বাবার লাশ নিয়ে আমার খুব চিন্তিত।
চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা এক বাস চালক জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্রগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে ভোলার উদ্দোশে রমনা হলে রাতে মজুচৌধুরীর হাট ফেরী ঘাটে  যাত্রী নিয়ে দীর্ঘ লাইনে পড়ে আছি। কখন ফেরি ঘাটের সমস্যা সমাধান হবে বলা যাচ্ছে না। এখানে নেই কোন থাকার ব্যবস্থা সেই স্বাস্থসম্মত খাওয়ার ব্যবস্থা। বহু কষ্টে রাতটা পার করছি।
লক্ষ্মীপুর-ভোলা ফেরি সার্ভিস সহব্যবস্থাপকের কার্যলয়ের (সহব্যবস্থাপক ব্যনিজ্য) মোঃ ফয়সাল জানান, ভোলা ফেরী ঘাটে যে সমস্যটা ছিলে তা সমাধানের পথে। আশা করি আজ থেকে স্বাভিবিক নিয়মে ফেরি চলাচল চলবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)