বড়পুকুরিয়া মামলার রুল শুনানি শেষ, রায় ১০ মার্চ
![]()
পক্ষকাল্প প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি শেষ হয়েছে। এর রায় দেওয়ার জন্য আগামী ১০ মার্চ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) তিনদিনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার (৩ মার্চ) থেকে শুনানি শুরু হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, বুধবার আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন জানালেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এছাড়া তারা আর আসেননি। ফলে গত তিনদিনে আমরাই শুনানি করেছি। আগামী ১০ মার্চ রায় দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। এতে চারদলীয় জোট সরকারের স্থানীয় সরকার, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মরহুম), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মরহুম), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল।
পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন। পরে সময়ে সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক শামসুল আলম। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।





আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ তিতাস গ্যাস পিয়ন হেলাল কি আইনের ঊর্ধ্বে?
বেতন-বোনাস’র টাকায় তিতাস গ্যাস পিয়ন হেলাল’র কয়েক কোটি টাকার সম্পদ
বরিশাল সোনালী ব্যাংক: দুর্নীতিতে জর্জরিত, গোপালের পথে হাটছেন জিএম মাহমুদুল হক
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
. ইউনূসকে ‘জঙ্গি, হত্যাকারী ও অর্থলোভী’ বললেন শেখ হাসিনা
পদোন্নতির রমরমা বাণিজ্য: সচিবের চেয়ার পেতে শত কোটি টাকার চুক্তি
ডলার প্রতারক চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার
বেকারত্ব বাড়াচ্ছে চুরি-ছিনতাই
পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর
ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন