
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সাংবিধানিক সুরক্ষা, পরিবর্তনে আবশ্যক গণভোট।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সাংবিধানিক সুরক্ষা, পরিবর্তনে আবশ্যক গণভোট।
পক্ষকাল সংবাদঃতত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় সাংবিধানিক সুরক্ষা, পরিবর্তনে আবশ্যক গণভোট। জনমতের অনুমোদন ছাড়া বাতিল নয়: সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অভিমত
বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাঠামো এখনো একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, যা বিলুপ্তির পূর্বে ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। সাম্প্রতিক রাজনৈতিক আলোচনায় আবারও উঠে এসেছে এ ব্যবস্থার সম্ভাব্য পুনঃস্থাপন বা সংস্কারের প্রসঙ্গ।
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু এ ব্যবস্থাকে অতীতে সাংবিধানিকভাবে বাতিল করা হয়েছে, তার পুনঃপ্রবর্তনে বা সংশোধনে জনমতের ভিত্তিতে একটি গণভোট অপরিহার্য।
এদিকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সংগঠন এ ব্যবস্থাকে গণতন্ত্রের নিরপেক্ষতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে পুনরায় চালুর দাবি তুলছে।
তুমি চাইলে আমি আরও বিস্তারিত প্যারাগ্রাফ, বক্তব্য সংযোজন বা আন্তর্জাতিক তুলনামূলক বিশ্লেষণ যোগ করতে পারি। কীভাবে চাইছো পরবর্তী সংস্করণটা: সংবাদের ভাষায়, মতামতের ঢংয়ে, না কি কোনো প্রচারপত্র বা বিশ্লেষণাত্মক টুকরোর মতো?
সংবাদের ভাষায়
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক সুরক্ষা পুনর্বহালে গণভোট আবশ্যক
ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৫ - জাতীয় সংসদে পেশকৃত নতুন সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাবে পুনরায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এই ব্যবস্থা বাতিল বা পরিবর্তনের জন্য সাধারণ জনগণের প্রত্যক্ষ সম্মতি নিশ্চিত করতে হবে গণভোটের মাধ্যমে।
প্রস্তাবনায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৬ সালে ১৩তম সংশোধনের মাধ্যমে প্রথম চালু হওয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে পুনর্বহালে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন এবং সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে নিয়োগকৃত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তাব।
সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, যেকোনো ভবিষ্যৎ সংশোধন বা বিলুপ্তির ক্ষেত্রে জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য গণভোট অপরিহার্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সালেহা আক্তার বলেন, “এ ধরনের জনগণমনোনীত পদ্ধতি গণতন্ত্রের মজবুত ভিত্তি তৈরি করবে।”
অপারগণ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বিরোধী দলগুলোর মধ্যে প্রস্তাবটি সমালোচনার ইঙ্গিত দিলেও মূল বিরোধ তাদের সেই গণভোটে ভোটারদের জনমত গঠনের ক্ষমতায় কেন্দ্রীভূত। সরকার পক্ষৰ দাবি, এটি রাজনৈতিক স্বচ্ছতা ও আস্থা ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ।
এবার সংশোধনী বিলটি সমালোচনা ও মতবিনিময়ের জন্য সংসদের সংশ্লিষ্ট কমিটিতে পাঠানো হবে। কমিটির সুপারিশের পর পার্লামেন্টে পরমোচ্য অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান সম্ভাবনা রয়েছে।