বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর » টেন্ডার, চাঁদাবাজি, প্রত্যয়ন বাণিজ্য-মেহেরপুরে সাবেক মেয়র মতু ও বিএনপি নেতার জোটে ‘সাজানো রাজনীতি
টেন্ডার, চাঁদাবাজি, প্রত্যয়ন বাণিজ্য-মেহেরপুরে সাবেক মেয়র মতু ও বিএনপি নেতার জোটে ‘সাজানো রাজনীতি
প্রকাশিত: ১০ জুলাই ২০২৫, রাত ১০:২০
প্রতিনিধি, মেহেরপুরঃ
![]()
মেহেরপুরে সাবেক পৌর মেয়র মোতাসিম বিল্লা মতুকে জোর করে বিএনপি নেতা বানানোর নোংরা নাটক এখন সবার সামনে। যার পেছনে স্পষ্টভাবে জড়িয়ে পড়েছেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ। অভিযোগ উঠেছে, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য, এবং রাজনৈতিক প্রত্যয়নপত্র বেচাকেনা করে তারা মিলে তৈরি করছেন ‘দলীয় সেল্টার ব্যবসা’।
সাবেক মেয়র মতুর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা, দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, সাংবাদিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ইতিহাস রয়েছে। এখন তিনি সব দাগ মুছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের খোঁজে বিএনপিকে ব্যবহার করতে চাচ্ছেন।
অভিযোগের তালিকা বিশাল-এক নজরে মতু ও ফয়েজ জোটের কীর্তি:
টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া (পৌর মেয়র থাকাকালে)।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা ও হুমকি।
বিএনপি নেতাদেরকে বাদ দিয়ে ‘টাকাওয়ালা’ সুবিধাবাদীদের প্রত্যয়নপত্র বিক্রি।দলীয় পরিচয়ের নামে নতুন ‘চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট’ গঠন। পুলিশি মামলায় ফেঁসে যাওয়ার ভয়ে বিএনপি পরিচয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা।
স্থানীয় বিএনপির একাধিক নেতা ও কর্মী স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, ‘ফয়েজ মোহাম্মদ এখন প্রত্যয়ন বাণিজ্যে মত্ত। টাকা দিলেই বিএনপি বানিয়ে দিচ্ছেন। এতে প্রকৃত ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত, অপমানিত ও ক্ষুব্ধ।’
“মতু বিএনপি না, টাকার প্যাকেট”-নেতাকর্মীদের ক্ষোভ
বিএনপির মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় একাধিক নেতাকর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মতুকে কেউ কোনো দিন বিএনপির কোনো মিছিলেও দেখেনি। তিনি ফরহাদ হোসেনের লোক ছিলেন। এখন মামলায় পড়ে প্রাণ বাঁচাতে এসে বিএনপি সেজেছেন। আর ফয়েজ মোহাম্মদ তাকে সনদ দিয়ে দিয়ে নিজের ব্যবসা করছেন।’
তারা আরও বলেন, ‘এই অপকর্ম বন্ধ না করলে মেহেরপুরে বিএনপি নিজের পায়ে কুড়াল মারবে।’
???? ফয়েজ মোহাম্মদ: “বিএনপির সনদ বিক্রেতা” হিসেবে পরিচিত?
জানা গেছে, ফয়েজ মোহাম্মদ শুধু মতুই নন, আরও একাধিক বিতর্কিত লোককে টাকার বিনিময়ে বিএনপির প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। তৃণমূল নেতারা বলছেন, ‘দলীয় সনদের দাম এখন ফয়েজ নির্ধারণ করছেন। এটা রাজনীতি না, বাজার!’
এ বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ফয়েজ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমি কিছু জানি না।’
তবে তার নামে চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট বানানোর অভিযোগ নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোচনা চলছে।
* দুদক তদন্ত ও দলীয় ব্যবস্থা চেয়ে স্থানীয়দের দাবি
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, মোতাসিম বিল্লা মতুর দুর্নীতির দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। তিনি টেন্ডার বাণিজ্য, ক্ষমতার অপব্যবহার, সাংবাদিক হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের দায়ে অভিযুক্ত। তার সমস্ত সম্পদের হিসাব দুদক দিয়ে তদন্ত করা উচিত।
একইভাবে, ফয়েজ মোহাম্মদের ‘প্রত্যয়ন ব্যবসা’ ও রাজনৈতিক সুবিধা বিক্রির বিষয়েও উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করা হয়েছে।
জনমত: “দুর্নীতিবাজদের রাজনীতিতে ঢুকতে দিলে বিএনপির অস্তিত্বই প্রশ্নের মুখে পড়বে।”
- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা জানান মতু এবং সাবেক দানব আওয়ামি লীগের মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল মুলত দুই জনাই ভয়ংকর অপরাধী এরা মেহেরপুর জেলার মানুষ কে জিম্মি করে রেখেছে এদের কোন শাস্তি হয়না এখন ফয়েজের ঘাড়ে ভর করেছে।




বরিশাল সোনালী ব্যাংক: দুর্নীতিতে জর্জরিত, গোপালের পথে হাটছেন জিএম মাহমুদুল হক
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
. ইউনূসকে ‘জঙ্গি, হত্যাকারী ও অর্থলোভী’ বললেন শেখ হাসিনা
পদোন্নতির রমরমা বাণিজ্য: সচিবের চেয়ার পেতে শত কোটি টাকার চুক্তি
ডলার প্রতারক চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার
বেকারত্ব বাড়াচ্ছে চুরি-ছিনতাই
পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর
ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন: সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে প্রেরণ
বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে?