শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন অধ্যায়
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন অধ্যায়
২ বার পঠিত
বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড: বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার নতুন অধ্যায়

---
ঢাকা, ২ জুলাই ২০২৫ - বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (ICT)-১ আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এক নতুন আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-জনতার ব্যাপক আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর তিনি দেশত্যাগে বাধ্য হন। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়। সর্বশেষ মামলাটি ছিল আদালত অবমাননার, যার সূত্রপাত একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকে।
ফাঁস হওয়া ফোনালাপ ও অভিযোগ
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি অডিও ক্লিপে শেখ হাসিনাকে শোনা যায় বলছেন:
“আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই আমার ২২৭ জনকে মারার লাইসেন্স আছে।”
এই বক্তব্যকে আদালত অবমাননাকর ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই রায় ঘোষণা করেন।
সহ-অভিযুক্ত: শাকিল আকন্দ বুলবুল
ফোনালাপে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলছিলেন সাবেক গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা শাকিল আকন্দ বুলবুল। তাকেও আদালত অবমাননার দায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
মুহাম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার
শেখ হাসিনার পতনের পর ৮৪ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। তার নেতৃত্বে সরকার দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সরকারের বিরুদ্ধে বিচার কার্যক্রম শুরু করে।
আওয়ামী লীগের বহু নেতা ও মন্ত্রী বর্তমানে কারাগারে বা পলাতক।
ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত শতাধিক ছাত্র ও নাগরিকের জন্য বিচার দাবি করছে নতুন সরকার।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
আওয়ামী লীগের প্রতিক্রিয়া: দলটি এই রায়কে “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা” বলে অভিহিত করেছে এবং বলেছে এটি একটি “ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায়”।
সরকারের অবস্থান: ইউনুস সরকারের মতে, “আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা রক্ষার জন্য এই রায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
বিশ্লেষণ ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
এই রায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই রায়:দেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ রাজনীতি ও নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।
আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের চিত্র নতুনভাবে উপস্থাপন করবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)