শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’: আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’: আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে
রোহিঙ্গাদের ‘যুদ্ধ প্রস্তুতি’: আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়ছে
কক্সবাজার, বাংলাদেশ | ২৭ জুন ২০২৫ ঃ
![]()

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি অংশ মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (AA) বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে-এমন তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক কয়েকটি সরেজমিন প্রতিবেদনে2।
কী ঘটছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে?
আরসা (ARSA), আরএসও (RSO), ইসলামিক মাহাজ ও আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA)-এই চারটি গোষ্ঠী কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে তরুণদের সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।
ক্যাম্পে নিয়মিত ঘরোয়া বৈঠক, জিহাদ ও স্বাধীনতা অর্জনের বার্তা, এবং সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে।
কিছু রোহিঙ্গা যুবক প্রকাশ্যে বলেছে: “আমরা যুদ্ধ করব, আরাকান আর্মির সঙ্গে। আমরা স্বাধীনতা চাই।”
প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি -ক্যাম্পের ভেতরে অস্ত্র ছাড়া শারীরিক অনুশীলন ও ড্রিল হচ্ছে।কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে মিয়ানমারে গিয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
আরসা ও আরএসও-র নিজস্ব সীমান্ত প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ,ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) সতর্ক করেছে: এই বিদ্রোহ সফল হওয়ার সম্ভাবনা নেই, বরং এটি বাংলাদেশ, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
আরাকান আর্মি মনে করে, বাংলাদেশ সরকার হয়তো এই গোষ্ঠীগুলোর প্রতি নীরব সমর্থন দিচ্ছে-যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বড় বাধা।
বাংলাদেশের অবস্থান
বাংলাদেশ সরকার স্পষ্টভাবে বলেছে: “আরসা বা আরএসও বাংলাদেশের সংগঠন নয়” এবং “ক্যাম্পে কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠীর অস্তিত্ব স্বীকার করা হয় না”।
সম্প্রতি আরসা ও আরএসও-র প্রধানদের গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে, যা সরকারের কঠোর অবস্থানের প্রমাণ।
এই পরিস্থিতি শুধু নিরাপত্তা নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতি, মানবিক সংকট ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিক থেকেও গভীর উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠছে। আপনি চাইলে আমি এই সংকটের সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রভাব বা কূটনৈতিক সমাধান নিয়েও বিশ্লেষণ করতে পারি।
বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর একাংশ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীঘনিষ্ঠ সশস্ত্র গোষ্ঠী **আরাকান আর্মি (AA)**-এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে একাধিক তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে। পরিস্থিতি ঘিরে দেশি-বিদেশি নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
ক্যাম্পে সশস্ত্র সক্রিয়তা
সরেজমিন প্রতিবেদন ও স্থানীয় প্রশাসনের ভাষ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা যুবকদের একটি অংশ র্যাডিকাল সংগঠন যেমন **আরসা (ARSA), আরএসও (RSO), ইসলামিক মাহাজ ও আরাকান রোহিঙ্গা আর্মি (ARA)-এর আহ্বানে সীমান্তে “লড়াইয়ের প্রস্তুতি” নিচ্ছে।
প্রশিক্ষণ: ক্যাম্পের ভেতরে শরীরচর্চা, ফিজিক্যাল ড্রিল, গোপন বৈঠক ও মনস্তাত্ত্বিক অনুশীলন চলছে।
সদস্য সংগ্রহ: বিভিন্ন ব্লকে ‘আন্দোলনের নামে’ সদস্য সংগ্রহ, কিছু রোহিঙ্গা মিয়ানমারের ভেতরে গিয়ে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছে বলেও ধারণা।
বার্তা: কিছু যুবক সরাসরি বলেছেন-”আমরা যুদ্ধ করবো, স্বাধীনতা চাই।”
সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশ সরকার এখনো ক্যাম্পে “সশস্ত্র সংগঠনের অস্তিত্ব” স্বীকার করেনি, তবে চলমান অভিযানে আরসা ও আরএসও-র শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিজিবি ও এপিবিএন যৌথভাবে ক্যাম্পে নজরদারি বাড়িয়েছে
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢোকা-বের হওয়া সীমিত করার জন্য ‘মুভমেন্ট ম্যানেজমেন্ট জোন’ চালু হয়েছে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্যাম্পভিত্তিক অস্ত্র ও মাদক তল্লাশি অভিযানে গতি আনছে
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের উদ্বেগ
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (ICG) ওHuman Rights Watch (HRW)সতর্ক করেছে:
“এই সংঘর্ষ প্রয়াস শুধু অকার্যকর নয়, এটি বাংলাদেশকেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।”
মিয়ানমারের সরকার আরাকান আর্মির মাধ্যমে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগ তুলতে পারে প্রতিবেশী কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনে পড়তে পারে আশ্রয়প্রদানকারী রাষ্ট্র
-রোহিঙ্গা সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধানের পথ আরও জটিল হয়ে উঠবে
ভবিষ্যৎ প্রেক্ষাপট
সন্ত্রাসবিরোধী আন্তর্জাতিক সমন্বয়** জোরদার করতে পারে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা যুবকদের পুনঃবাসন, শিক্ষাগত প্রবেশ ও কর্মশিক্ষা** ব্যবস্থা বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই
সাইবার এবং সীমান্ত গোয়েন্দা সহযোগিতা** মিয়ানমার ও তৃতীয় পক্ষগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (UNHCR) সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচিত হবে ক্যাম্পে মৌলবাদ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা নেওয়া
রোহিঙ্গা সংকটের নতুন এই মাত্রা শুধু মানবিক নয়-এটি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ। এই প্রেক্ষাপটে স্বচ্ছ কূটনীতি, কার্যকর নিরাপত্তা কৌশল এবং সামাজিক অংশগ্রহণই হতে পারে একমাত্র দীর্ঘমেয়াদী সমাধান।
রোহিঙ্গা-আরাকান আর্মি সংঘর্ষ সম্ভাবনার গভীরতর ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষণ সংযুক্ত করলাম, যা মূল খবরে যুক্ত হলে এটি একটি গভীরতর আন্তর্জাতিক সিকিউরিটি ফিচার হিসেবে রূপ পাবে:
আরাকান আর্মির সামরিক ক্ষমতা ও কৌশল
আরাকান আর্মি (AA) মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে সক্রিয় একটি জাতিগোষ্ঠীভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন, যা সামরিকভাবে অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং প্লাটুন-কমান্ড-সাপোর্ট কাঠামোতে গঠিত।
২০১৫ সালের পর থেকে তারা Rakhine Ethnic Armed Organization হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে।
তাদের রয়েছে গেরিলা অপারেশন, ড্রোন, মাইন, ও স্নাইপার টিম ব্যবস্থা।
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তঘেঁষা রাজ্যে মাদক, অস্ত্র ও খনিজ শোষণে অবৈধ সরবরাহ লাইনে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
২০২৩ সাল থেকে সামরিক জান্তার সঙ্গে লড়াইয়ে Three Brotherhood Alliance-এর অংশ হয়ে বৃহৎ অঞ্চলে আধিপত্য স্থাপন করেছে।
মিয়ানমারের ভূরাজনৈতিক অভিপ্রায়
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গাদের ‘নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ দেখিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করেছিল, যা এখন “উল্টো খেলায়” কাজে লাগাচ্ছে:
আরাকান আর্মির ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য রোহিঙ্গা গোষ্ঠীগুলোকে উস্কে দিয়ে ‘ভিতর-বাহির সংঘর্ষ’ সৃষ্টি করার সম্ভাবনা।
সীমান্ত ঘেঁষা সংঘর্ষের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভূকৌশলিক ঝামেলায় জড়ানো ও আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানো কৌশল হতে পারে।
ভারত ও চীন-উভয়কেই আরাকানে বাণিজ্য করিডর ও নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি দিয়ে “বাফার জোন” তৈরির কৌশল চলছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিরাপত্তা ভারসাম্য
রোহিঙ্গা-আরাকান লড়াই বাস্তব হলে অঞ্চলজুড়ে নিম্নলিখিত চিত্র তৈরি হতে পারে:
বাংলাদেশের জন্য দ্বিমুখী হুমকি: অভ্যন্তরীণ: ক্যাম্পভিত্তিক সহিংসতা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা দুর্বলতা বাহ্যিক: সীমান্ত সংঘর্ষ ও আন্তর্জাতিক সমালোচনা
আঞ্চলিক উদ্বেগ বাড়াবে: ভারত চায়না’র মধ্যকার প্রভাব-রাজনীতি হঠাৎ নতুন মাত্রা পাবে, বিশেষ করে ‘Kaladan Corridor’ ও ‘China-Myanmar Economic Corridor’ ঘিরে ASEAN দেশগুলো “Non-traditional Security Threat” হিসেবে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য হবে
জাতিসংঘ ও OIC-এর গ্লোবাল দৃষ্টি: মানবিক হস্তক্ষেপ, Safe Zone তৈরির প্রস্তাব, মিয়ানমারে শান্তিরক্ষী বাহিনীর দাবি জোরালো হতে পারে রোহিঙ্গা সমস্যাকে শুধু মানবিক নয় বরং সন্ত্রাসবিরোধী ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার প্রশ্ন হিসেবে চিহ্নিত করা হবে




“সাম্রাজ্যবাদের পুতুল নয়, প্রকৃত জনগণের সরকার চাই”-বামপন্থী নেতা মোশরেফা মিশু
ভূমি সেবা সত্যিকারার্থে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে: ভূমি সচিব
জরিপ এলাকা গরীব”" সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিল
সেন্ট মার্টিন : পরিবেশ না মানুষ—কাকে বেছে নেবে রাষ্ট্র?
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ
তালিবানের ঘোষণা : “বাগরাম বিমানঘাঁটি কখনই মার্কিনিদের হাতে দেওয়া হবে না”