
মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » “জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নেই”-ড. ইউনূসকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ফরহাদ মজহার
“জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নেই”-ড. ইউনূসকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন ফরহাদ মজহার
পক্ষকাল প্রতিবেদক | ১২ আগস্ট ২০২৫
জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার ড. ইউনূসের ঘোষণাপত্রকে আইনগতভাবে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “ড. ইউনূস শেখ হাসিনার সংবিধানের অধীনে একজন উপদেষ্টা মাত্র। তার কোনো সাংবিধানিক বা গণতান্ত্রিক অধিকার নেই জনগণের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র দেওয়ার।”
সভায় ফরহাদ মজহার অভিযোগ করেন, ছাত্রদের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র দেওয়ার চেষ্টা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে, এবং প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. ইউনূস সেই প্রচেষ্টাকে ‘মিথ্যা কথা বলে’ থামিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “ঘোষণাপত্র দেওয়া জনগণের অধিকার। সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।”
সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব ও ঘোষণাপত্র বিতর্ক
ফরহাদ মজহার দাবি করেন, গত বছরের ৮ আগস্ট সরকার গঠনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যা একটি “সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব”। তিনি বলেন, “যদি এই গণ-অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়, তাহলে আবারও গণ-অভ্যুত্থান ঘটবে। পৃথিবীতে ভূরি ভূরি উদাহরণ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি নতুন গঠনতন্ত্র চেয়েছি, কিন্তু আইনের কথা বলে তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনার সংবিধান রেখে সরকার গঠন করা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।”
১৯৭২-এর সংবিধান ও বিএনপির অবস্থান
১৯৭২ সালের সংবিধান নিয়ে ফরহাদ মজহার বলেন, “জিয়াউর রহমান সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন। তিনি সমাজতন্ত্র বা ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য যুদ্ধ করেননি।” তিনি বিএনপিকে প্রশ্ন করেন, “আপনারা কেন ১৯৭২-এর সংবিধান ধরে রাখতে চাইছেন? জিয়াউর রহমান বা খালেদা জিয়া তো তা চাননি।”
নির্বাচন ও রাজনৈতিক ঐক্য
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন আয়োজন গ্রহণযোগ্য নয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সাদেক রহমান। সঞ্চালনায় ছিলেন অধ্যাপক ড. দেওয়ান সাজ্জাদ। বক্তব্য দেন কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান, আইনজীবী ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এ টি এম জিয়াউল হাসান, সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, এবং গণমুক্তি জোটের মহাসচিব আখতার হোসেন।