আমু নানকের অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী মিলন এর কুকীর্তি পর্ব ২

আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে  ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে? (পর্ব-২)

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

১২ মে ২০২৫ ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে “”আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে”" শিরোনাম  একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর পর মিলন খন্দকার তার আরেক সহযোগী ও মিলন খন্দকার পক্ষ নিয়ে এই প্রতিবেদককে হুমকি প্রদানকারী বর্তমানে কারাবন্দি সাবেক মন্ত্রী  শাজাহান খানের দোসর মানিক’র মাধ্যমে ঝালকাঠি জেলার বিএনপির স্থানীয় নেতাদের সাথে গোপন সমঝোতার বিনিময়ে রাজধানী ঢাকা ও ঝালকাঠিতে নিজের ঠিকাদারি ব্যবসার বিল উত্তোলনসহ ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন যাহা ঝালকাঠি সদর এলাকায় ওপেন সিক্রেট।

প্রশ্ন জাগে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মিলন খন্দকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঝালকাঠি সদর এলাকায় টেন্ডারবাজি দখল বাজি চাঁদাবাজি অস্ত্র ব্যবসা এবং  জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উপর যেই অত্যাচার  নির্যাতন চালিয়েছিলেন সেই শহর টাচ নির্যাতনের ক্ষত এখনো শরীরে বয়ে বাড়ানো নেতাকর্মীদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে মিলন খন্দকার’র মত বিএনপি নেতারা পৃষ্ঠপোষকতা করা মানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নীতি আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক। আমু নানক’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক  মিলন খন্দকারের ক্ষমতার অপব্যবহার অনিয়ম দুর্নীতি বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর হামলা মামলার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন’র প্রথম পর্ব ১২মে-০২৫ ইং তারিখে প্রকাশিত হওয়ার পর ঝালকাঠি সদর এলাকার বিএনপি ও সাধারণ মানুষদের অনুরোধ পত্রিকার প্রতিনিধি আবারও সারা জমিনে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা এলাকায় গিয়ে বিএনপি ও সাধারণ মানুষদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়।আমু নানক’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা’র সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিএনপির রঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী নির্যাতিত স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঝালকাঠি সদর উপজেলা বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী এই প্রতিবেদককে আক্ষেপের সুরে বলেন,শুধু কি মিলন খন্দকার কে আমাদের নেতারা পৃষ্টপোষকতা করছেন তা নয় মিলন খন্দকারের মতো ঝালকাঠি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি খান আরিফুর রহমান এর মতো দুর্নীতিবাজ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনদের টাকার বিনিময়ে বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছেন স্থানীয় বিএনপি ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র এক প্রভাবশালী নেতা।আমরা তৃণমূল বিএনপি নেতা কর্মীরা সতের বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত নিপীড়িত জেল জুলুম সহ্য করার পরেও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নীতি আদর্শের সাথে বেইমানি করিনি,কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের নেতারা আমাদের রক্তের সাথে বেইমানি করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের লোকজনদের নিজেদের  স্বার্থের বিনিময়ে বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র ক্ষুবের সৃষ্টি হয়েছে। তাই আমরা স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিএনপি ঢাকা চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ভাই এর কাছে আহ্বান জানাবো যারা ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও ঝালকাঠি জ্বালায় আওয়ামী লীগের লোকজনদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন নিজেদের স্বার্থের জন্য তাদের বিরুদ্ধে  তদন্তের মাধ্যমে বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

( ঝালকাঠি উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ও ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি খান আরিফুর রহমান এর অনিয়ম দুর্নীতি ও  ৫ই আগস্ট-০২৪ এর পর নব্য বিএনপি হয়ে ওঠা ও তার পৃষ্ঠপোষকতাকারীদের নিয়ে বিস্তারিত অচিরেই প্রকাশিত হবে জাতীয় দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকায়)

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে জুলাই আগস্ট-০২৪ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঝালকাঠি জেলার বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলাকারী আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলী সদস্য আমির হোসেন আমু ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের পালিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার এতো দিনেও গ্রেফতার না হওয়ায় ঝালকাঠি জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ এর সৃষ্টি হয়েছে। অন্য দিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দুর্নীতিবাজ  মিলন খন্দকার এখনো রাজধানী ঢাকা শহরে প্রকাশ্যে ঘুরে বাড়ানো নিয়ে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মনে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসিন্দা আরিফুর রহমান এর সাথে মিলন খন্দকার এর বিষয় নিয়ে কথা বল্লে, তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন বিগত ১৫ বছরের অধিক সময় ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী নেতা আমির হোসেন আমু ও জাহাঙ্গীর কবির নানক’র অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজ দখলবাজ মিলনের অত্যাচারে ঝালকাঠি সদর উপজেলাবাসী জিম্মি ছিল,পরবর্তীতে জুলাই আগস্ট-০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার পতনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে হামলাকারী মিলন খন্দকার।যে এতো সব অন্যায় অনিয়ম দখলবাজি সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজি নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারী মিলন খন্দকার কে কেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন গ্রেফতার করছে না?তাহলে কি অবৈধ অস্রধারী সন্ত্রাসী টেন্ডারবাজ বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন খন্দকার আইনের আইনের উর্ধ্বে?

অনুসন্ধানী আরও জানা যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার এর বড় ভাই প্রয়াত জাহাঙ্গীর খন্দকার এক সময় দক্ষিণাঞ্চলে সর্বহারা পার্টির নেতা ছিলেন পরবর্তীতে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমির হোসেন আমুর হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগদান করে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ ভাগিয়ে নেন।মিলন খন্দকার বড় ভাই জাহাঙ্গীর খন্দকার’র  ছত্রছায়ায় অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে অল্পতেই আমির হোসেন আমুর বিশ্বস্থতা অর্জন করেন।আরেকদিকে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের স্ত্রী আঞ্জুমান আরা মিলন খন্দকার’র দূর সম্পর্কের ফুফু হওয়ার কারণে ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এলজিইডি,গণপূর্ত ও রোডস এন্ড হাইওয়েতে একচেটিয়া টেন্ডারবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক। ৫ ই আগস্ট-০২৪ আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আমির হোসেন আমুর পালিত অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার বর্তমানে রাজধানী ঢাকায় বনশ্রী এলাকায় বসবাস করছেন বলে সুত্রে জানা যায়।এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ অস্ত্রের বেচাকেনার টাকায় রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার আওতাধীন কাজলা এলাকার কাঁচামালের আড়তে স্থানীয় বিএনপি পন্থী ব্যবসায়ী নেতা মোহাম্মদ হোসেনের আশ্রয়ে অবৈধ সুদের ব্যবসায় কয়েক কৌটি টাকা লগ্নি করে দিব্যি আরাম ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

পরবর্তীতে ওই সকল অনিয়ম দুর্নীতি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার ও বৈষম্য ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলার বিষয়ে জানতে ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকার’র মুঠোফোন ফোন দিয়ে ও খুদে বার্তা পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে প্রথমে কোন সাড়া না দিয়ে পরবর্তীতে জনৈক মানিক হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে প্রতিবেদকের মুঠো ফোন করিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধামকি দেওয়া হয়।প্রতিবেদক জনৈক মানিক হোসেন এর কাছে প্রশ্ন রাখেন যে সাংবাদিকরা তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করার পর সংবাদ প্রকাশিত করার স্বার্থে অভিযুক্ত ব্যক্তির বক্তব্য জানতে চাওয়া কি অন্যায়? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে মিলন খন্দকারের পক্ষে ফোন করা জনৈক মানিক হোসেন উত্তেজিত হয়ে প্রতিবেদককে বলেন আপনি আর কখনো মিলন খন্দকার কে ফোন দিবেন না,আপনি যদি মিলন খন্দকারকে তার অনিয়ম দুর্নীতি সহ যেই কোন বিষয় বক্তব্য জানার জন্য ফোন করে থাকেন তাহলে আপনার নামে থানায় জিডি করা হবে। জনৈক মানিক হোসেনের সাংবাদিকের সাথে এহেন বক্তব্য সাংবাদিকতার সাথে সাংঘর্ষিক নয় কি?

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকারের পক্ষে  প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে হুমকি দেওয়া জনৈক মানিক হোসেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বর্তমানে কারাবন্দী শাহজাহান খানের স্ত্রীকে মা বলে ডাকে। জনৈক মানিক হোসেন শাহজাহান খানের স্ত্রীকে মা বলে ডেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোতে শাজাহান খানের ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা।

জনৈক মানিক হোসেন ও ঝালকাঠি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন খন্দকারের অনিয়ম দুর্নীতি ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলার অনুসন্ধান চলমান,,