
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | রাজনীতি » গোপন সফর, দ্ব্যর্থহীন ভাষা ও প্রশ্নবিদ্ধ স্বচ্ছতা: খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
গোপন সফর, দ্ব্যর্থহীন ভাষা ও প্রশ্নবিদ্ধ স্বচ্ছতা: খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
গোপন সফর, দ্ব্যর্থহীন ভাষা ও প্রশ্নবিদ্ধ স্বচ্ছতা: খলিলুর রহমানের যুক্তরাষ্ট্র যাত্রা কী ইঙ্গিত দিচ্ছে?
রটনা ঘটনা আজব গুজবঃ
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের হঠাৎ করে যুক্তরাষ্ট্র সফর এবং সেই সফরের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অফিসের পক্ষ থেকে জারি করা আদেশ—যেখানে সফরকে একদিকে “ছুটি” আবার অন্যদিকে “সরকারি”—বলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে প্রশ্ন তুলছে রাষ্ট্রীয় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ওপর।
সরকারি অর্থে, জনগণের করের টাকায় একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন, আবার একই আদেশে বলা হচ্ছে তিনি ছুটিতে থাকবেন। অথচ এই সময়েই উল্লেখ রয়েছে তিনি “সিনিয়র ইউএস অফিসিয়ালদের” সঙ্গে বৈঠক করবেন। তাহলে এটি কি ছুটি, নাকি কূটনৈতিক মিশন?
এরচেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এই কর্মকর্তা সম্প্রতি লন্ডনে বিএনপি নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছেন বলে তথ্য রয়েছে, যার মধ্যে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে নানা আলোচনা ও জল্পনা-কল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছে। এরপরই তাঁর এই যুক্তরাষ্ট্র সফর—যা আবারও জনমনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে—সরকার কি জানে না এই ধরনের দ্ব্যর্থবোধক অফিসিয়াল ভাষা মানুষের আস্থাহীনতা তৈরি করে? না কি এটি ইচ্ছাকৃত অস্পষ্টতা, যাতে দায়িত্ব এড়িয়ে আন্তর্জাতিক শক্তির সঙ্গে ক্ষমতার ছায়া-আলোচনায় অংশ নেওয়া যায়?
জনগণের টাকা দিয়ে এমন “দ্বৈত উদ্দেশ্যের সফর” যদি সত্যিই জাতীয় স্বার্থে হয়ে থাকে, তাহলে কেন তা খোলাসা করা হলো না? যদি এটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থে হয়, তবে তার দায় কে নেবে?
রাষ্ট্রের আস্থার ভিত্তি তৈরি হয় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে। খলিলুর রহমানের সফর যদি রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক চুক্তির অংশ হয়, তাহলে তা জনসমক্ষে ব্যাখ্যা দিতে হবে। আর যদি এটি একক গোপন এজেন্ডা নিয়ে হয়ে থাকে, তবে সেটি নিঃসন্দেহে রাষ্ট্রীয় স্বার্থবিরোধী।
এই সফর আসলে এক প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সরকারকে: রাষ্ট্র নাকি ব্যক্তিগত স্বার্থ? সার্বভৌমত্ব নাকি আপসের রাজনীতি?
এখন সময় এসেছে, সরকার স্পষ্টভাবে জানাক—দেশের ভেতর ও বাইরে কী আলোচনা চলছে, আর কী পরিকল্পনায় দেশকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তা না হলে, জনগণের সন্দেহ ক্রমেই নিশ্চিত বিশ্বাসঘাতকতায় রূপ নিতে পারে