
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » “ছুটির আড়ালে কূটনৈতিক বাণিজ্য: খলিলুর রহমানের নীরব ‘সফর’ ও স্বচ্ছতার অভাব”
“ছুটির আড়ালে কূটনৈতিক বাণিজ্য: খলিলুর রহমানের নীরব ‘সফর’ ও স্বচ্ছতার অভাব”
রটনা ঘটনা
বাংলাদেশের NSA খলিলুর রহমান যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন-‘ছুটি’ ও ‘সরকারি সফর’ একইসাথে!
ঢাকা, ১৬ জুন ২০২৫ - জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) খলিলুর রহমান আজ রাতেই যুক্তরাষ্ট্র উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, যা নিয়ে অফিস থেকে আকষর্নীয় ঘোষণা দেয়া হয়: তিনি ১৬-২৬ জুন পর্যন্ত “ছুটিতে” থাকবেন, তবে একইসাথে তার “সরকারি সফরও” রয়েছে এবং বিশেষভাবে “উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা”দের সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ।
সরকারি আদেশে উল্লেখ রয়েছে যে, এই সফরের সব খরচ ঢাকা থেকে বহন করা হবে [1] । এছাড়া জানা গেছে, তিনি প্রথমে দুবাই হয়ে আমেরিকা যাচ্ছেন-যেখানে এমিরেটস ফ্লাইট EK-587 তিনি বেছে নিয়েছেন ।
এই সফরের একটি বিশেষ দৃষ্টিকোণ হলো: আনুষ্ঠানিকভাবে ছুটি গ্রহণ করে একটি “গোপন” সফর করতে যাওয়ার ছকের অস্পষ্টতা ও যোগিয়েছে প্রশ্নের ঊর্ধ্বগতি। একই মাসে তিনি চিন সফরেরও পরিকল্পনা করছেন, যা ইঙ্গিত দেয় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক অবস্থান নিয়ে ঢাকার গভীর পরিকল্পনার প্রভাবশালী ব্যবস্থা চলছে ।
সংলাপের অবস্থা
খলিলুর রহমান গত ৬ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণলয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা রাষ্ট্র হিসাবে আমাদের স্বার্থে যেকোন গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব… বহির্বিশ্বের কেউ যা-ই বলুক তা আমাদের গাইড করবে না” ।
আনুষ্ঠানিক ‘ছুটির’ আড়ালে ঘনিষ্ঠ বৈठকের সম্ভাবনা, যা শান্তির নাম করে রাষ্ট্রক্ষমতার শারীরিক বদলে রাজনৈতিক প্রভাবের ক্ষেত্র বিস্তৃত করছে। সফরের সর্বস্ব খরচ সরকারি কোষাগারে, যা জনবল ভোটদাতাদের অর্থায়নের দায় প্রশ্নে দেয়।
আন্তর্জাতিকভাবে এই ধরনের গোপন সফরে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা অস্পষ্ট হওয়ায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উদ্বেগ সৃষ্টি করছে।
☑ উপসংহার
এই ধরনের নিয়ন্ত্রণহীন সফর ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একান্ত বৈঠকের ঝুঁকি তোলার মাধ্যমে জনমতকে বঞ্চিত করা হচ্ছে - এটি জাতীয় কূটনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জনগণের বিশ্বাসে ধাক্কা দেয়। দেশের স্বাধীন কূটনৈতিক নীতি ও সরকারি স্বচ্ছতার মানদণ্ডে এ-ধরণের কর্মকান্ড প্রশ্নবিদ্ধ।
আজকের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কূটনীতি এমন এক মোড়শিতে খুঁজছে যেখানে সরকারি চেয়ার থেকে ‘ছুটির নামে’ গোপন মিশনের আয়োজন সহজ। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের ১৬-২৬ জুন যুক্তরাষ্ট্রের সফর-ছুটি নাকি ‘সরকারি ভ্রমণ’-এই বিভাজন ঘিরেই রাজনৈতিক ও জনমত উভয়ে প্রশ্ন ফোটাতে বাধ্য করেছে।
সরকারি কোষাগারের টাকা-টাকায় দেশ ছেড়ে যাওয়া, ‘গোপন বৈঠক’ ও অস্বচ্ছ সিদ্ধান্ত-প্রक्रিয়ার সুবিধাসমূহ-এসব কীভাবে কোনো গণতান্ত্রিক পদক্ষেপের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারে?
দেশবাসী অধিকার করে স্বচ্ছ গ্লোবাল কূটনীতি ও দায়িত্ব-পরিপূর্ণ নেতৃত্ব দেখতে!