
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » সরকারি স্বীকৃতি: ঢাকা-আরাকান আর্মির সাক্ষাৎ অব্যাহত
সরকারি স্বীকৃতি: ঢাকা-আরাকান আর্মির সাক্ষাৎ অব্যাহত
আন্তর্জাতিক সংবাদ-
বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান গতকাল ঘোষণা করেছেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ বর্তমানে এখন আর সরকারি সেনাবাহিনীর হাতে নেই, বরং সেখানে প্রভাব বিস্তার করছে না-রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বাহিরের বিভিন্ন দল, যার অন্যতম হল আরাকান আর্মি (AA)। বাংলাদেশ সরকার সীমান্তের নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ রক্ষার জন্য AA-র সঙ্গে পরামর্শ ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে ।
প্রকাশিত সরকারি নথিতে দেখা গেছে, খলিলুর রহমানকে গত ১৫ জুন ১৬-২৬ জুন তারিখে “ছুটিসহ USA অফিসিয়াল সফর” এর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সফরের সব ব্যয় ধরা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের অফিসিয়াল বাজেটে । এ সফরের উদ্দেশ্য ছিলো “সিনিয়র মার্কিন কর্মকর্তাদের” সঙ্গে বৈঠক, যা AA-র প্রসঙ্গেও আংশিকই হলেও নির্দেশ করে বাংলাদেশের বহুমুখী কূটনৈতিক পরিকল্পনার দিকে ।
এর আগেই, আন্তর্জাতিক সংস্থা International Crisis Group (ICG) বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, সময়োপযোগী কূটনৈতিক ও কৌশলগত কারণে AA-র সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব নিতে । ICG উল্লেখ করেছে, রাখাইনে AA যেভাবে সম্ভাব্য “proto-state” (স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মতো) গড়ে ফেলছে-এতে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণশীল সীমান্ত শহরগুলোর অবস্থা প্রভাবিত হতে পারে ।
বিশ্লেষকরা বলেন, বর্তমানে পাচঁ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে, তাঁদের নিরাপত্তা ও ফেরত প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখাইনে AA-র ভূমিকায় বাংলাদেশকে নজর রাখতে হবে। ঠিক সেখানে কূটনৈতিক ‘এনগেজমেন্ট’ রাখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ।
তবে এই পদক্ষেপ নৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিচিত নয়। কিছু সমালোচক মনে করেন, রাষ্ট্রীয় স্বায়ত্তশাসন ও জনগণের আবেগ মূল উৎসে রাখবো না, তিনি বলেন, “সরকারের যেকোন নির্বাচনে স্বাক্ষর করার অধিকার নেই”-এমন মন্তব্য সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
এদিকে Devdiscourse খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবির থেকে যেকোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী AA-র বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গড়াতে পারে, যা দেশের ভেতর ও রাখাইনে পরিস্থিতি জটিলতর করে তুলতে পারে । ফলে বাংলাদেশ সরকারের কৌশল ‘স্থায়ী শান্তি’ গড়ে তুলতে AA-র সঙ্গে সংলাপ বজায় রাখা-এ বিষয়টিতে আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সুরক্ষায় সতর্ক থাকতে হবে।
সুত্র নর্থ নিউজ