
মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে?
অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে?
অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর ভৈত্তিক সম্পত্তির দাবিদারকে?
এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
* অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে:- দুদক।
* আদাবরে বেশ কয়েকটি আলিশান ভবন।
* সকল সম্পদ স্ত্রীর নামে।
* রয়েছে নিজস্ব সন্ত্রাসী গ্রুপ।
* অনিয়ম দুর্নীতির টাকা বাসায় লেনদেন।
বিগত সরকারের আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে,দেশের সরকারি,আধা সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি মরণব্যাধি ক্যান্সার এর রূপ ধারণ করেছিল।বিগত সরকারের সময়ে জন্ম নেওয়া মহা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী,এমপি,আমলা,শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা সালমান এফ রহমান,ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা এস আলম গ্রুপ এর মালিক শামসুল আলম,ছাগল কাণ্ডে আলোচিত এনবিআর এর সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান,বন খেকো মোশারফ,বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারির হোতা আবেদ আলী,পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ,সিআইডি সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া গংদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি একে একে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে আসার পর এইবার বেরিয়ে আসলো অবসরে যাওয়া শিক্ষা অধিদপ্তর এর চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী আহমদ আলীর নাম।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক’র কার্যালয়ে পিএ পদে চাকরিকালিন বর্তমানে অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর বিরুদ্ধে চাকরিতে থাকা অবস্থায় নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিয়তমা স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে বেনামে রাজধানী ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও বিভিন্ন ব্যাংকের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা এফডিআরও সঞ্চয়পত্র গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগের সূত্র ধরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়।লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়ন লক্ষীর পাড়া গ্রামের মরহুম শামসুল হক পাটোয়ারী ও মরহুমা কুলসুম বানু দম্পতির আট ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী চতুর্থ। দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী’র শ্বশুর বাড়ি মাঝির গাঁও পাটোয়ারী বাড়ি।প্রিয়তমা স্ত্রীর ডাক নাম হাসনা।সংসার জীবনে মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী এক ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জনক।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায় শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক’র পিএ পদ থেকে অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী চাকরি জীবনে নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় রাজধানী ঢাকার আদাবর এলাকায় প্রিয়তমা স্ত্রী হাসনার নামে গড়ে তোলেন একাধিক বাড়ী। অনুসন্ধানে আদাবর ১০ নং রোডের মাথায় গিয়ে মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর আলিশান দুইটি ভবন ও নির্মাণাধীন আরেকটি ভবনের সন্ধান পাওয়া যায়।
আদাবর ১০ নং রোডের মাথায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের আনুমানিক চার কাঠা জমির উপর ৫ তলা আলীশান ভবন। আদাবর ১০নং রোডের মাথায় কয়েক কোটি টাকা মুল্যের ৭ তলা আলীশান আরএকটি ভবন,একই রোডে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে আরও একটি বাড়ী নির্মাণাধীন। অনুসন্ধানকালে আদাবর ১০ নং রোডের মাথায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায় শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালকের পিএ পদে চাকরি করাকালিন সময়ে আহমদ আলী অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কয়েক শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন।মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকার গরমে আদাবর এলাকায় গড়ে তুলে বিশাল অত্যাধুনিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী বাহিনী,আহমদ আলীর সন্ত্রাসী বাহিনীর দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ ভয় কেউ আহমদ আলীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পেত না।অনুসন্ধান কালে আদাবর ১০ নং রোডের বাসিন্দারা নেয়ামত উল্লাহ এই প্রতিবেদক কে জানান একজন সামান্য সরকারি অফিসের পিয়ন হয়ে আহমদ আলী কি করে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন অবশ্যই অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পদ করেছেন,তাই রাষ্ট্রের উচিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের মাধ্যমে তদন্ত করে দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর সকল সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্র অবকাঠামো উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা উচিত।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় বড় মেয়েকে উচ্চশিক্ষার জন্য আয়ারল্যান্ডে পাঠান বর্তমানে বড় মেয়ে আয়ারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী প্রচারণার মাধ্যমে আপন বড় ভাই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফয়জুল হক এর নামে থাকা জায়গা আত্মসাৎ করেছেন বলে বড় ভাই অভিযোগ করেন। মহা দুর্নীতিবাজ সু চতুর আহমদ আলী একমাত্র বোনের ছেলে বর্তমানে সৌদি আরব প্রবাসী জাকির হোসেনের সাথে ফ্ল্যাট এর মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ।মহা দুর্নীতিবাজ প্রতারক আহমদ আলী সম্পত্তির লোভে আপন ছোট ভাই মোস্তফা কামাল (বর্তমানে ফেনী জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার)এর সাথে ও প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় মহা দুর্নীতিবাজ সুচতুর আহমদ আলী’র শ্বশুরবাড়ির অর্থনৈতিক অবস্থা মধ্যবিত্ত। আহমদ আলীর এক মাত্র ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বর্তমানে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু। প্রশ্ন জাগে অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর ভৈত্তিক সম্পত্তির দাবিদার কে?
পরবর্তীতে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর কার্যালয়ের পিএ পদে চাকরি থেকে অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী’র চাকরিতে থাকা অবস্থায় নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী হাসনা’র নামে কয়েক কোটি টাকার সম্পাদ গড়ে তোলার বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন অভিযোগ পেলে অবশ্যই আহমদ আলী’র বিরুদ্ধে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরবর্তীতে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে জানতে আহমাদ আলী’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন আমি এখন ব্যস্ত আছি মিটিংয়ে যাব আপনাকে দুই দিন পরে কল করে বক্তব্য জানাবো।মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলী’র কথামতো প্রতিবেদক দুইদিন পর আবারো তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছি বলে প্রতিবেদকের মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।পরবর্তীতে আহমদ আলী’র স্ত্রী হাসনা’র ব্যবহৃত মুঠোফোন নাম্বার যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে প্রতিবেদক কে জানান আমি আহমাদ আলী সাহেবের মেহমান আমি ওনার ওয়াইফ নই এই বলে তিনি ও প্রতিবেদকের মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মহা দুর্নীতিবাজ আহাম্মদ আলী’র অনিয়ম দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান,,,,,