শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » » ভারত-পাকিস্তান যু দ্ধ দেখে অনেকে বলতেছে, বাংলাদেশকে অ স্ত্র সমৃদ্ধ করেন
প্রথম পাতা » » ভারত-পাকিস্তান যু দ্ধ দেখে অনেকে বলতেছে, বাংলাদেশকে অ স্ত্র সমৃদ্ধ করেন
৫০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ভারত-পাকিস্তান যু দ্ধ দেখে অনেকে বলতেছে, বাংলাদেশকে অ স্ত্র সমৃদ্ধ করেন

ফেসবুক থেকে নেওয়াঃ

---

আমি বলি, অ স্ত্র সমৃদ্ধ করেন সমস্যা নাই,

কিন্তু তার আগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বিশ্বাসী লোক আছে নাকি সেটা নিশ্চিত করেন।

কারণ আপনি যতই অ স্ত্র প্রস্তুত করেন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে যদি বিদেশী দালাল বসে থাকে,

তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সেই আপনার সর্বনাশ করে দিবে।

অ স্ত্রপাতি দিয়ে কিছুই করতে পারবেন না।

যেমন মিখাইল গর্ভাচেভের কথাই ধরুন।

মিখাইল গর্বাচেভ ছিলো সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি। তার অর্ধ শতাব্দী কমিউনিস্ট জিন্দেগীতে কেউ বুঝতেই পারেনি সে একজন সিআইএ’র এজেন্ট। বহু ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে তাকে আসতে হয়েছে প্রেসিডেন্ট পদ পর্যন্ত। কিন্তু চূড়ান্ত লক্ষে এসে সে আমেরিকার পক্ষে আসল কাজটি করে বসে, মানে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে দেয়। পতন ঘটে সোভিয়েত ইউনিয়ন নামক বিশাল সুপার পাওয়ারের। মারা যাওয়ার আগে অবশ্য গর্বাচেভ নিজ মুখেই স্বীকার করেছে- সে তার জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এ কাজটি করেছে। অথচ সে যে সিআইএ’র এজেন্ট এটা ৫০ বছরেও বুঝতে পারেনি সোভিয়েত ইউনিয়ন। এমনকি দেশের সর্বোচ্চ পদে বসানোর আগেও তা অনুধাবন করতে পারেনি। আমেরিকা অবশ্য গর্বাচেভকে নাকোশ করেনি। মার্কিনীদের হয়ে গুপ্ত চর হয়ে কাজ করায় গর্ভাচেভকে নোবেল শান্তি পুরুস্কারে ভূষিত করেছে।

তাই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কোন বিদেশী এজেন্ট আছে কী না, সেটা নিশ্চিত হওয়া আগে বেশি দরকার। কারণ সে দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিদেশের স্বার্থে এমন অঘটন ঘটিয়ে দিতে পারে, যা বহু অ স্ত্রপাতি দিয়েও সামাল দিতে পারবেন না।

তবে খালি চোখে যেটা দেখা যায়, বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে এখন বিদেশী নাগরিকরা বসে আছে, এটা কিন্তু নিরাপত্তার জন্য বড় সমস্যা।

বাংলাদেশের আইন অনুসারে একজন বিদেশী/দ্বৈত নাগরিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারে না। কারণ তাদের দ্বারা দেশের একটা বড় সমস্যা হয়ে গেলে, এই লোকগুলো অন্য রাষ্ট্রে চলে যাওয়ার সুযোগ থাকে, কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কিন্তু অন্য দেশের যাওয়ার উপায় নেই। বাংলাদেশই তার একমাত্র দেশ। তাছাড়া ভিন্ন দেশের নাগরিক গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে যে ভিন্ন দেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না, তা কিন্তু আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না। তাই বিদেশী নাগরিকত্বওয়ালা লোকগুলোক দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো মারাত্মক ধরনের রিক্সি।

কিছুদিন আগে সাংবাদিক মাসুদ কামাল এক আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তার বক্তব্যে তিনি বর্তমান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ও রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক পদে দ্বৈত ও বিদেশী নাগরিকদের নিয়ে আলোচনা করেন। যেমন-

১. প্রধান উপদেষ্টা পদে ড ইউনুস আমেরিকার নাগরিক। (এছাড়া তার জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সের নাগরিকত্ব আছে)

২. পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ব্রিটিশ নাগরিক।

৩. প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুতফে সিদ্দিক সুইজারল্যান্ডের নাগরিক।

৪. জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আমেরিকার নাগরিক।

৫. ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা অর্থ মন্ত্রনালয়- অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক

৬. সুফিউর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা, পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। সুইজারল্যান্ডের নাগরিক।

৭. শেখ মইনউ উদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, প্রতিমন্ত্রী মর্যাদা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রনালয়। আমেরিকার নাগরিক।

৮. ফয়েজ আহমেদ তৈয়ব, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রনালয়। নেদারল্যান্ডের নাগিরক।

৯. আশিক চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা, বিডা। ব্রিটেনের নাগরিক।

১০. ড. আলী রিয়াজ, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান। ঐক্যমত কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। আমেরিকার নাগরিক।

১১. ড. বদিউল আলম মজুমদার, নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রধান। আমেরিকার নাগরিক।

১২. কামাল আহমেদ। গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান। ব্রিটিশ নাগরিক।

১৩. ড. মোস্তাক হোসেন খান, দুদক সংস্কার কমিশনের মেম্বার । ব্রিটিশ নাগরিক।

১৪. লামিয়া মোরশেদ, সিনিয়র সচিব পদমর্যাদা, ইউনুসের সহযোগী। স্ব-পরিবারে কানাডার নাগরিক।

১৫. মনির হায়দার, প্রধান উপদেষ্টার ঐক্যমত বিষয়ক বিশেষ সহকারী সিনিয়র সচিব মর্যাদা। আমেরিকার নাগরিক।

১৬. এম মুশফিকুল ফজল আনসারী, সিনিয়র সচিব মর্যাদা মেক্সিতো নিযুক্ত বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত, আমেরিকার নাগরিক।

১৭. শাজিব এম খায়রুল ইসলাম, প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব। যুগ্ম সচিব মর্যাদা। আমেরিকার নাগরিক।

এই লোকগুলো যদি কোন অঘটন ঘটায়, কিংবা এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে বাংলাদেশ বিপদে পরে, তখন কিন্তু জনগণের কিছুই করার থাকবে না। কারণ যারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের ধরার কোন সুযোগ নেই। তাই বিদেশী নাগরিকদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে বড় বড় বয়ান দেয়ার কোন মানে দেখি না।

~ Noyon Chatterjee



এ পাতার আরও খবর

জুন মাসে চীন সফরে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জুন মাসে চীন সফরে যাচ্ছেন সেনাবাহিনীর প্রধান
আলবার্ট আইনস্টাইন সমাজতন্ত্র চেয়েছিলেন আলবার্ট আইনস্টাইন সমাজতন্ত্র চেয়েছিলেন
সেনাপ্রধানের সাফকথা বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে কোন মানবিক করিডোর হবে না সেনাপ্রধানের সাফকথা বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে কোন মানবিক করিডোর হবে না
অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা ও জনগণের প্রত্যাশা: একটি বিশ্লেষণ অন্তর্বর্তী সরকারের সীমাবদ্ধতা ও জনগণের প্রত্যাশা: একটি বিশ্লেষণ
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ সম্পাদক পরিষদের সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ ২০২৫’ নিয়ে উদ্বেগ সম্পাদক পরিষদের
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ, গলি থেকে রাজপথে উঠেছে আ. লীগ আনন্দবাজারের প্রতিবেদন দেওয়ালে ঠেকেছে পিঠ, গলি থেকে রাজপথে উঠেছে আ. লীগ
অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে: মির্জা ফখরুল
সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ
কেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ৯ গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কাকরাইল মোড় অবরোধ কেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে গাজীপুর ও আশুলিয়ার ৯ গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কাকরাইল মোড় অবরোধ
দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক নীতিতে দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত । দেশের নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক নীতিতে দ্বন্দ্বের ইঙ্গিত ।

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)