
মঙ্গলবার, ৬ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » দুর্নীতিতে জ্বীনের বাদশা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহঃ প্রকৌশলী আনিসুল
দুর্নীতিতে জ্বীনের বাদশা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহঃ প্রকৌশলী আনিসুল
এম.ডি.এন.মাইকেলঃদুদকে শ্যালক আছে।
রয়েছে একঝাঁক সাংবাদিক ও সম্পাদক।
টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে।
রয়েছে মহাপরিচালক সহ সবাইকে ম্যানেজ করার ক্ষমতা।
স্ত্রী ও শ্যালকের নামে মোহাম্মদপুর আদাবরে কয়েকটি বাড়ি।
রয়েছে বহিরাগত দেহরক্ষী।
দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিচ্ছু করতে পারবেন না।
বিগত সরকারের আমলে সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরী করে হাতিয়ে নিয়েছেন দেশের লক্ষ কোটি টাকার উপরে। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠনের পর থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি।তেমনি এইবার বেরিয়ে আসছে আরেক মহাদুর্নীতিবাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দুর্নীতির জ্বিনের বাদশা খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলামের নাম।
অনুসন্ধানে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের মহা দুর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম দীর্ঘ বছর একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে অনিয়ম দুর্নীতির জন্য গড়ে তোলেন নিজস্ব ঠিকাদারি সিন্ডিকেট।তার সেই সকল সিন্ডিকেটের বাইরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় থেকে অন্য ঠিকাদারদের লাইসেন্সের যোগ্যতা থাকার পরেও কাজ পাওয়া ছিলো অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করার সমান।সুত্রে আরো জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম ১০% কমিশন অগ্রিম নেওয়ার পর তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়েছেন,এবং তার পছন্দের ঠিকাদাররা নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতিতে জিনের বাদশা খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট ঠিকাদারদের মধ্যে অন্যতম এসকে এন্টারপ্রাইজ,সনেক্স এন্টারপ্রাইজ সহ ১০ থেকে ১৫ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের পূর্বের বছরগুলো থেকে অদ্যাবধি যতগুলো দরপত্র আহবান করা হয়েছিল এবং সেই সকল দরপত্রের বিপরীতে যেই সকল ঠিকাদারীর প্রতিষ্ঠানকে তিনি ১০% কমিশন অগ্রিম গ্রহণ করার পরে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন ওই সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকদের নাম ঠিকানা সহ সম্পূর্ণ কাগজ পত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হলে বেরিয়ে আসবে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম গংদের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির থলের বিড়াল।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় দুর্নীতির যুবরাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের মোঃ আনিসুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে স্ত্রী ও শ্যালকের নামে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে রয়েছে কয়েকটি আলিশান বাড়ি এর মধ্যে মোহাম্মদপুরে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন রয়েছে।মোহাম্মদপুরে নির্মাণকৃত বাড়ীর বাইরের অংশ নির্মাণ করার পরে ভিতরের অংশে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে লাগিয়েছেন সম্পূর্ণ বিদেশী সরঞ্জামাদি।এছাড়াও নিজ জন্মস্থান ঝিনাইদহ রয়েছে নামে বেনামে সম্পত্তি সহ বিভিন্ন ব্যাংকে স্ত্রী পুত্র কন্যা ও নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার এফডিআর। দুর্নীতিতে জিনের বাদশা খ্যাতক সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলামের এই সকল বাড়ীর বিষয় নিয়ে মোহাম্মদপুর ও আদাবরে বসবাসরত (আনিসুল ইসলামের দুর্নীতি টাকা গড়ে তোলা বাড়ির আশেপাশের) বেশ কয়েক জন বাসিন্দাদের কথা বলে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় কর্মরত প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। আনিসুল ইসলামের পদ পদবী অনুযায়ী সরকারি চাকরির বেতন স্কেল অনুপাতে তার বেতন আনুমানিক ৬০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার নয়,কিন্তু এই ৬০ হাজার টাকা বেতন পাওয়ার পরে তার পারিবারিক খরচ ও ছেলে মেয়ের পড়া লেখার খরচ করার পরে যেই পরিমান টাকা থাকে সেই টাকায় মোহাম্মদপুর ও আদাবরের মতো জায়গায় জমি কিনে কয়েকটি বাড়ি করা কোনদিন সম্ভব নয়,তার এই সকল দৃশ্যমান বাড়ি অবশ্যই অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় করেছেন,তারা আরও বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। সহকারী প্রকৌশলী মো: আনিসুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম আপাদমস্তক একজন মহা দুর্নীতিবাজ,আর এই সব অনিয়ম দুর্নীতির জন্য তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ঠিকাদারি সিন্ডিকেট,তার সিন্ডিকেটের বাহিরে যোগ্যতা থাকার পরেও অন্য কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার নজির নেই বিগত সরকারের আমলে।তার ওই সকল সিন্ডিকেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঠিকাদারি কাজের আগেই অগ্রিম ১০% হারে কমিশন নিতেন যাহা যুব উন্নয়নের প্রধান কার্যালয়ে ওপেন সিক্রেট।তারা আরো বলেন ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা অফিস থেকে নেওয়ার সময় ক্রিম কালারের লেদারের একটি ব্যাগ ব্যবহার করতেন।এবং প্রতিদিন অফিসে আসার পর নাস্তা দুপুরের খাবার বিকালের নাস্তা পরিবারের মোবাইল খরচ সব কিছুর ব্যয় ভার বহন করতো তার অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট ঠিকাদার সদস্যরা।অন্যদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত একজন অফিস সহকারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন সহকারি প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম স্যার যখন অফিসে আসতেন সেই সময় থেকে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত ৩-৪ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী স্যারের নিরাপত্তায় সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখতেন মাসিক বেতন দিয়ে।তারা আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে এই মহা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার তানিমা এন্টারপ্রাইজ এর কর্ণধার সেলিম থেকে কাজ দেওয়ার কথা বলে কয়েক লাখ টাকা অগ্রিম উৎকোচ নেওয়া সহ নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো: আনিসুল ইসলামের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও কোন সাড়া মেলেনি,পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত নাম্বারে খুঁদে বার্তার মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির আংশিক ফিরিস্তি পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে,তিনি প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন সাংবাদিক সাহেব আপনি আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিচ্ছু করতে পারবেন না,কারণ আমার রয়েছে এক ঝাঁক সাংবাদিক ও সম্পাদক যারা অতীতের ন্যায় আগামীতেও আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত করে আমাকে সেভ করবে যাহা আমার এক ঝাঁক সাংবাদিক সম্পাদকরা আগেও করেছে।দুর্নীতিতে জিনের বাদশা আনিসুল ইসলাম আরো বলেন দীর্ঘদিন থেকে আমি এক ঝাক সাংবাদিক ও সম্পাদকদের সুবিধা অসুবিধা দেখে আসছি তারাই আমার রক্ষক।দুদকের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আনিসুল প্রতিবেদককে বলেন দুদকে আমার দুর সম্পর্কের এক শ্যালক রয়েছে তাই দুদকের ওই সকল অভিযোগ নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।কারণ এই দেশে টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে!আনিসুল আরও বলেন আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এই পর্যন্ত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে যতজন মহাপরিচালক দায়িত্ব পালন করে গেছেন বা বর্তমানে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যারসহ সবাইকে ম্যানেজ করেই আমি আনিসুল ইসলাম এখনো টিকে আছি সুতরাং আপনি আমার অনিয়ম-দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করা থেকে বিরত থাকবেন। দুর্নীতিতে জিনের বাদশা খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম একঝাক সাংবাদিক ও সম্পাদক গংদের দীর্ঘদিন থেকে সুবিধা অসুবিধা দিয়ে আসছেন বলে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।
পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান এর ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের বিরুদ্ধে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে তালিকাভুক্ত ঠিকাদার জনৈক সেলিম বেপারীর কাছ থেকে কাজ দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম কয়েক লক্ষ টাকা উৎকোচ নেওয়ার বক্তব্য রেকর্ডিং পাঠানো হলে তিনি খুঁদে বার্তার মাধ্যমে প্রতিবেদককে জানান শুনলাম বুঝলাম না! দুর্নীতিবাজ গংরা দেশ ও জাতির শত্রু। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে জাতির প্রত্যাশা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ সরকারি,আধা সরকারী,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ যে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সমন্বয় একটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি জানান দেশের সকল সচেতন নাগরিকরা।