
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » নতুন ২৬টি দলের জন্ম: অসাধারণ জনতার চোখে মূল্যায়ন
নতুন ২৬টি দলের জন্ম: অসাধারণ জনতার চোখে মূল্যায়ন
মাইকেল শহিদুল মাস্টার:২৭ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে হঠাৎ যেন ব্যাঙের ছাতার মতো ২৬টি নতুন রাজনৈতিক দলের আবির্ভাব হয়েছে। বাহারি নাম, লম্বা চাওয়া-পাওয়া, উদ্দীপনাময় প্রতিশ্রুতি-সব মিলে দৃশ্যপট বেশ জমজমাট। কিন্তু আমজনতার মনে প্রশ্ন একটাই এসব দল কার জন্য? দেশের জন্য, নাকি নিজের জন্য?
আমরা যারা প্রতিদিন রাস্তায় হাঁটি, গলির মোড়ে চা খাই, অফিস আদালতে দৌড়াই, তাদের অভিজ্ঞতা বলে-নতুন দলের জন্ম মানে নতুন করে:
চাঁদাবাজির নতুন নাম
ক্ষমতার ভাগাভাগি ও পদ বাণিজ্যের নতুন বাজার।
অযোগ্যদের হাতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তুলে দেওয়ার নতুন ফাঁদ।
নিয়োগ, কন্ট্রাক্টরি আর টেন্ডার রাজনীতির আরও বিস্তার।
আমরা দেখেছি, অতীতে অনেক দল এসেছে, বড় বড় কথা বলেছে, তারপর কিছুদিনের মধ্যেই বড় দলে যোগ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ সিদ্ধির চূড়ান্ত নজির স্থাপন করেছে। জনগণের ভাগ্য বদলানোর কথা বলে যারা রাজনীতির ময়দানে নামে, তারা আসলে নিজেদের ভাগ্য বদলের পথ খোঁজে-এটাই বাস্তবতা।
২৬টি নতুন দলের মধ্যে কতটি আদৌ জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করবে? কতজন মানুষের দুর্দশা লাঘবে ভূমিকা রাখবে? আমজনতার হিসাব বলছে-এই সংখ্যাটা একেবারে সামান্য।
আজ দেশের মূল সংকট:গণতন্ত্রের সংকোচন।আইনের শাসনের অভাব।দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।শিক্ষিত বেকারের দীর্ঘ লাইন। স্বাস্থ্যসেবার করুণ দশা। নতুন দলগুলো কি এসব নিয়ে কথা বলবে, নাকি পুরনোদের মতো দলবাজি আর পদ-পদবি ভাগাভাগিতেই নিজেদের ব্যস্ত রাখবে?
আমরা চাই না শুধু ব্যানার, ফেস্টুন আর মিছিলের রাজনীতি। আমরা চাই:
সমস্যার গভীরে গিয়ে সমাধানের রাজনীতি।
প্রতিশ্রুতি নয়, কাজের রাজনীতি।
বক্তৃতা নয়, বাস্তব উন্নয়নের রাজনীতি।
দেশের জনগণ এখন অনেক বেশি সচেতন। মুখস্ত স্লোগান দিয়ে আর তাদের বোকা বানানো যাবে না। ২৬টি দল নয়, চাই একটি শক্তিশালী জনমুখী রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যেখানে নেতৃত্ব আসবে মাঠ থেকে, মাটি থেকে।
রাজনীতির নামধারী ব্যবসা বন্ধ হোক। জনগণের আশা-ভরসাকে পুঁজি করে ধান্দাবাজির রাজনীতি আর নয়।*