
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি » বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ঘুষ, চক্রান্ত ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ!
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ঘুষ, চক্রান্ত ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ!
অনলাইন সংবাদ :
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ঘুষ, চক্রান্ত ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ!
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুর ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নগদের সঙ্গে সমঝোতার নামে ৭০ কোটি টাকার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ!
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়া ও অবৈধ নিয়োগের অভিযোগ!
নিজস্ব সংবাদদাতা (নজরবন্দি.ইন) । শেষ আপডেট: বুধ, 04 জুন 2025 22:50:06 +0530
follow us on google news | najarbandi
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর আহসান এইচ মনসুরের (Ahsan H Mansur) বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়া ও বেআইনি প্রশাসক নিয়োগের অভিযোগ ঘিরে দেশের আর্থিক খাতে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নগদের (Nagad) সঙ্গে বিদ্যমান কিছু আর্থিক জটিলতার ‘সমাধান’-এর নামে গভর্ণরের পরিবার ৭০ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করে।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এই ঘুষচক্রের মুখ্য চরিত্র হিসেবে উঠে আসেন গভর্ণরের তৃতীয় স্ত্রী। নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলমের (Md Safayet Alam) সঙ্গে বৈঠকে তিনি স্পষ্ট জানান, টাকা দিলে নগদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে থাকা সব সমস্যার ‘চূড়ান্ত সমাধান’ হয়ে যাবে।
কিন্তু শফায়েত আলম সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে, শুরু হয় নানা রকম প্রশাসনিক হয়রানি। অভিযোগ, এরপর গভর্ণর নিজে সিআইডি-কে সঙ্গে নিয়ে শফায়েত আলমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর পরিকল্পনা করেন।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্ণর সরাসরি আর্থিক প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘন করে নগদে প্রশাসক নিয়োগ করেন। অথচ আইনে স্পষ্ট বলা রয়েছে, এমন নিয়োগের পূর্বে লিখিত কৈফিয়ত চাওয়া ও তার যথাযথ বিবেচনা আবশ্যক। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, যেই আইনের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়, সেই আইন তখনও গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি, অর্থাৎ কার্যকরও হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই পুরো প্রক্রিয়াটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তা একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে করা হয়েছে।”
অভিযোগগুলিকে ঘিরে ক্রমেই প্রশ্ন উঠছে:
ঘুষের প্রস্তাব দিয়ে তা না মানলে কীভাবে প্রশাসনিক শক্তি ব্যবহার করে প্রতিশোধ নেওয়া হচ্ছে?
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে যদি এমন বেআইনি আচরণ হয়, তাহলে সাধারণ প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা কী হবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ঘটনাগুলি বাংলাদেশের আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার উপর সরাসরি আঘাত হেনেছে। অনতিবিলম্বে স্বাধীন তদন্ত দাবি করে তাঁরা বলেন, “ঘুষচক্রান্ত, বেআইনি প্রশাসক নিয়োগ এবং ব্যক্তি স্বার্থে প্রশাসনিক ক্ষমতা অপব্যবহার কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।” এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থাগুলির দ্রুত হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।