
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্য ও আইন » রাষ্ট্রক্ষমতার নেশা ও জনতার হতাশা: ২০২৫ সালের বাংলাদেশের নির্মম প্রতিচ্ছবি
রাষ্ট্রক্ষমতার নেশা ও জনতার হতাশা: ২০২৫ সালের বাংলাদেশের নির্মম প্রতিচ্ছবি
বিশেষ প্রতিবেদন
রাষ্ট্রক্ষমতার নেশা ও জনতার হতাশা: ২০২৫ সালের বাংলাদেশের নির্মম প্রতিচ্ছবি
২০২৫ সালে দাঁড়িয়ে আমরা এক কঠিন সত্যের মুখোমুখি-বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির আত্মা যেন কোথাও বন্দী। গণতন্ত্রের নামে চলছে কর্তৃত্ববাদ। মানুষের ভোটাধিকার একটি খেলনা। মানবাধিকারের নামে চলে ‘প্রেস রিলিজ’, বিচারহীনতার উৎসবে জনগণ শুধু দর্শক।
এই রাষ্ট্র গণতন্ত্রের অভিনয় করে, আর মানুষ অভিনয় দেখে।❞
রাষ্ট্র আজ আর জনগণের নয়, বরং এক শ্রেণির মানুষের জন্য নিয়ন্ত্রিত এক যন্ত্র, যেখানে বিচারের বাণী নিঃশব্দে কাঁদে।যেখানে:গুমের বিচার হয় নাসাংবাদিক জেলে যায়, নির্যাতনের শিকার হয়
দুর্নীতিবাজ মুক্ত আর প্রতিবাদকারী হয় ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’শফিকুল ইসলাম কাজলের গুম: রাষ্ট্রের আয়নাতে কলঙ্ক
একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গুম করা হয়। ভিডিও ফুটেজ, প্রমাণ, আন্তর্জাতিক চাপ-সব থাকার পরও এই রাষ্ট্র নীরব।
প্রশ্ন একটাই:
একজন সাংবাদিককে প্রকাশ্যে তুলে নিয়ে গুম করা হয়। ভিডিও ফুটেজ, প্রমাণ, আন্তর্জাতিক চাপ-সব থাকার পরও এই রাষ্ট্র নীরব। প্রশ্ন একটাই:
এই নীরবতা কাদের বাঁচানোর জন্য? রাষ্ট্র নিজেই কি অপরাধ ঢাকতে চায়?
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশ: বিশ্বাসহীনতার নামান্তর
আজ জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরা
কিন্তু যা পেয়েছি, তা এক বদ্ধঘরের নিঃশ্বাসরুদ্ধ পরিবেশ।
আমাদের আর চুপ করে থাকার সময় নেই। এই পথ বদলাতে হবে:
সত্যকে ভয় না করে উচ্চারণ করতে হবে মিডিয়া, সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ও সচেতনতার মাধ্যমে সংগঠিত হতে হবে
ভয় নয়, ন্যায়ের শক্তিতে মুখ খুলতে হবে
কারণ, নীরবতার সুযোগ নিয়েই জন্ম নেয় দানব রাষ্ট্র।
শেষ কথা:
রাষ্ট্র যদি অপরাধী হয়, জনগণের উচিত তাকে থামানো। ইতিহাসে অনেকবার দেখা গেছে, ভয় জয় করে যেসব জাতি উঠে দাঁড়িয়েছে, তারাই নতুন ইতিহাস গড়েছে।
এবার ইতিহাসের পালা আমাদের।
সত্যের পক্ষে থাকুন।
কিন্তু দেশের ভেতরে উল্টো উত্তরদাতাকে করা হয় অপদস্থ, নিঃস্ব, গুম অথবা নির্বাসিত।
অর্থনীতি ও জীবনের বাস্তবতামুদ্রাস্ফীতি, আয় কম, ব্যয় বাড়ছে, চাকরি নেই, কৃষক ন্যায্য মূল্য পায় না, শিল্পে স্থবিরতা-এসবই প্রমাণ করে এই রাষ্ট্র জনগণের অর্থনীতি নয়, প্রোপাগান্ডার অর্থনীতি।এই পথ কি আমাদের প্রাপ্য?না, এই বাংলাদেশ আমাদের জন্য না। আমরা চেয়েছিলাম:একটা মানবিক রাষ্ট্রযেখানে গুম-নিপীড়নের বদলে গণতন্ত্র থাকবেসত্যের পক্ষে কথা বলা অপরাধ হবে নারাষ্ট্র জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে