
শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি » আসামের ধুবড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ
আসামের ধুবড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ
জব্বর শেখঃ
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে, যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে। নিচে এই সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন :
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক: উত্তেজনা, উদ্বেগ ও সম্ভাবনার নতুন অধ্যায়
আসামের ধুবড়িতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ
আসাম রাজ্যের ধুবড়ি জেলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। বকরিদের পর একটি ধর্মীয় স্থানের কাছে পশুর দেহাবশেষ পাওয়া যাওয়ায় সহিংসতা শুরু হয়। পরবর্তীতে ‘নবীন বাংলা’ নামে একটি সংগঠনের উসকানিমূলক পোস্টার ছড়িয়ে পড়ে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। এই প্রেক্ষিতে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ‘শুট-অ্যাট-সাইট’ নির্দেশ জারি করেন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় ।
২. পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা থেকে বাংলাদেশি সংযোগের অভিযোগে নাম বাদ
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচন অফিসার নিতুয়ান দাস নামক এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তিনি বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনে জড়িত ছিলেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে মুছে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলা ও ভারতের প্রতিক্রিয়া
বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়িতে হামলার ঘটনায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় বিজেপি প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করে। তারা ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে এই বিষয়ে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানায় ।
৪. সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো
আসাম রাজ্যের সীমান্তবর্তী অঞ্চল থেকে ৩০৩ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে, যাদেরকে বিভিন্ন ট্রাইব্যুনাল বিদেশি ঘোষণা করেছিল। এই পদক্ষেপ সীমান্ত নিরাপত্তা ও অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ভারতের কঠোর অবস্থানকে নির্দেশ করে ।
৫. বাণিজ্যিক উত্তেজনা ও সম্পর্কের ভবিষ্যৎ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে ট্রানজিট সুবিধা স্থগিত হওয়ায়। এই পরিস্থিতি দুই দেশের ব্যবসা ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ।
উপরোক্ত ঘটনাগুলো ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতা ও সংবেদনশীলতা তুলে ধরে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং বাণিজ্যিক সহযোগিতা-এই চারটি ক্ষেত্রেই দুই দেশের মধ্যে সমন্বয় ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা অপরিহার্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক সংলাপ ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে এই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব।
—