শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা » লজিস্টিকে সক্ষমতা বাড়াতে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | ব্যাংক-বীমা » লজিস্টিকে সক্ষমতা বাড়াতে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী
১৫ বার পঠিত
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

লজিস্টিকে সক্ষমতা বাড়াতে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫---
বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদ-এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভা ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ৯০দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্বস্তির বিষয়, তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে, বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং সেদেশের উদ্যোক্তাবৃন্দ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। তিনি জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বিশেষকরে আধুনিক ও দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, লজিস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানী, তথ্য-প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। বৈশ্বিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের এসএমইখাতের উদ্যোক্তাদের পণ্য রপ্তানি সম্প্রসারণে দক্ষতা উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহযোগিতার আহ্বান জানান তাসকীন আহমেদ। বাংলাদেশের পাট ও কৃষি খাতের আধুনিকায়নে সিঙ্গাপুরের প্রযুক্তিগত সহায়তার উপর জোরারোপ করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিক খাতে ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। তিনি বাংলাদেশের বন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব, যার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। তিনি জানান, বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়িয়ে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসে বাংলাদেশকে সহযোগিতা প্রদানে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত আগ্রহী।
তিনি বলেন, দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের সংষ্কার ও অটোমেশনের উপর জোরারোপ করেন। বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশী পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে তিনি শিল্পখাতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন, নবায়োনযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধি সহ সার্বিকভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। হাইকমিশনার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচেছ, যেখানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত হওয়া ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চ্যার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মিশেল লি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)