
মঙ্গলবার, ২৩ আগস্ট ২০২২
প্রথম পাতা » রাজনীতি » কোন ছাত্রসংগঠনের নেতা ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন? চমকানো সব তথ্য
কোন ছাত্রসংগঠনের নেতা ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন? চমকানো সব তথ্য
23 Aug, 2022
আচমকাই প্রশ্নটি সামনে এসে পড়েছে। ছাত্রজীবনে কোন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন? ঢাকা টাইমসকে আওয়ামী লীগেরই একাধিক নেতা প্রশ্নের সুরে বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আবদুল মোমেন কেন ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেননি?
কেন করেননি ছাত্রলীগ? কেন ‘৬৯-এর গণঅভ্যুথানের উত্তাল সময়গুলোতে ছাত্রলীগের সদস্য হননি আবদুল মোমেন? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও সাড়া পায়নি ঢাকা টাইমস।
স্বাধীনতাপূর্ব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বস্থানীয় একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা টাইমসকে বলেন, তার জানা মতে আবদুল মোমেন এস এম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফ্রন্ট (এনএসএফ)-এর হল শাখার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তবে ঢাকা টাইমস এ তথ্যের সত্যাসত্য যাচাই করতে পারেনি।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ১৯৭১ সালের সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস (সিএসএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সচিবালয় ক্যাডার পান মেধাবী আবদুল মোমেন। কিন্তু যোগদান করতে পারেননি চাকরিতে। কারণ বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭১ সালের সব পরীক্ষাই বাতিল করে দেন। পরবর্তীতে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকার সিনিয়রিটি দিয়ে তাদেরকে চাকরিতে যোগদান করান। পরবর্তীতে প্রশাসনের সদস্য হিসেবে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি নিয়ে বিদেশে চলে যান ও সেখানেই শিক্ষকতাসহ অন্য পেশায় নিয়োজিত হন।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মন্ত্রীর যে জীবন বৃত্তান্ত দেওয়া আছে সেখানে বলা আছে, ১৯৭১ সালের ১ মার্চ কমার্স ব্যাংক পাকিস্তানের চাকরি ছেড়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন আবদুল মোমেন।
যদিও ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রাজধানীর রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর ২৬ মার্চ দিবাগত রাতে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। এবং চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন, কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে আবদুল মোমেন তৎকালীন পূর্বাঞ্চলীয় বেসামরিক প্রশাসক দেওয়ান ফরিদ গাজী এম.এন.এ-এর সাথে কাজ করেন। পরে দেওয়ান ফরিদ গাজী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রী নিযুক্ত হলে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে কাজ করেন।
ঢাকা টাইমস এই তথ্যেরও সত্যাসত্য যাচাইয়ের সুযোগ পায়নি। একটি সূত্র বলছে, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন (বঙ্গবন্ধু সরকারে) তাঁর এপিএস ছিলেন। পিএস থাকার কোনো সুযোগ ছিল না। কারণ তিনি নিয়মিত কোনো সরকারি চাকরিতে তখন ছিলেন না।
সিলেট আওয়ামী লীগের একজন নেতা ঢাকা টাইমসকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পরপর কয়েকটি অহেতুক মন্তব্য করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গোটা ছাত্র, পেশাগত আর রাজনৈতিক জীবন এখন আলোচনার বিষয়। যা দল হিসেবে অবশ্যই আওয়ামী লীগের জন্য দুর্ভাগ্যজনক।
ঢাকাটাইমস