শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে
৩১৩ বার পঠিত
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে

---

পক্ষকাল সংবাদ-

সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের মরদেহ রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আনা হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় তার মরদেহ আনা হয়।

দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরহুমের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে রাখা হবে। দুপুর সাড়ে ১২টায় স্টেডিয়ামেই মরহুমের জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় এ ব্যক্তিত্বকে।

স্যার ফজলে হাসান আবেদকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষদের জন্য আর্মি স্টেডিয়ামে বিশাল প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও ব্র্যাক, আড়ং, ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির স্বেচ্ছাসেবীরাও শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্মরণে আজ রবিবার দুপুর ২টা থেকে মহাখালীস্থ প্রধান কার্যালয় ব্র্যাক সেন্টারে একটি শোকবই খোলা হবে। এছাড়া আড়ং, ব্র্যাক ব্যাংক, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীকাল সোমবার এবং সারাদেশে ব্র্যাকের আঞ্চলিক অফিসগুলোতে আগামী মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শোকবই খোলা থাকবে। শোকবই থাকবে ৩০ জানুয়ারি বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ রাজধানীর বারিধারায় অ্যাপোলো হাসপাতালে শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। তিনি ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত অবস্থায় রাজধানীর অ্যাপোলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখানেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।

স্যার ফজলে হাসান আবেদ ১৯৩৬ সালের ২৭ এপ্রিল তদানীন্তন সিলেটের হবিগঞ্জ মহকুমার বানিয়াচং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লন্ডনে অ্যাকাউন্টিং বিষয়ে পড়ালেখা করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি চাকরি ছেড়ে লন্ডনে চলে যান। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে ‘অ্যাকশন বাংলাদেশ’ এবং ‘হেলপ বাংলাদেশ’ নামে দুটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপর ১৯৭২ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ভারত-প্রত্যাগত শরণার্থীদের জরুরি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজে আত্মনিয়োগ করেন। এ লক্ষ্যে তিনি ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করে সুনামগঞ্জের প্রত্যন্ত শাল্লা এলাকায় ফিরে আসা শরণার্থীদের নিয়ে আর্থসামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন।

বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকার ১১টি দেশে এর কার্যক্রম বিস্তৃত। ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত টানা চার বছর জেনেভাভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সংস্থা ‘এনজিও অ্যাডভাইজার’ কর্তৃক ব্র্যাক বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এনজিও হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)