
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার | সম্পাদক বলছি » তারেক জিয়া ও ইউনুস ত্রিমাত্রিক রাজনীতির ফাঁদে - এক রম্য বয়ান”
তারেক জিয়া ও ইউনুস ত্রিমাত্রিক রাজনীতির ফাঁদে - এক রম্য বয়ান”
লেখক: জনগণের হাইকোর্ট
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নাটকীয়তা যদি একটা শিল্প হয়, তবে তারেক রহমান নিঃসন্দেহে সে মঞ্চের প্রধান অভিনেতা। মঞ্চ বদলায়, মুখোশ বদলায়, তবে স্ক্রিপ্টটা কোথাও যেন একই থেকে যায়-”আমি না থাকলে দেশ চলে না” টাইপের এক অদৃশ্য আত্মবিশ্বাস।
এবার ভাইজান লন্ডনে গিয়ে যে রাজনৈতিক দাবা খেললেন, সেখানে প্রতিপক্ষ না, বরং নিজের দলের ‘রিসাইকেলড’ নেতারাই ঘুঁটি। আর সবার শীর্ষে? বটবৃক্ষের ছায়ার মতো পল্টিবাজ ডক্টর ইউনুস ও অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অন্তর’ থেকে উঠা খলিল ভাই।
তারেক সাহেব ভাবলেন-”চালাক লোকের সঙ্গে হাত মেলালে আমি আরো চালাক হয়ে যাব।”
হয়েছে উল্টোটা! ইউনুস ভাই নিজের পুরনো ফর্মুলা চালিয়ে বললেন-”আরে তারেক ভাই, আপনি তো ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক। আসেন, আপস করি।”
অবশ্য, ‘আপস’ মানেই এখানে সার্বভৌমত্বের টেবিলে গামছা বিছানো।
খলিল সাহেব আবার বৈঠকে এসে চোখে সানগ্লাস পরে বললেন, “বুঝতেই পারছেন, আমি এখন ‘ডিফেন্স অ্যাডভাইজার’! দেশের নিরাপত্তা কি এতই সস্তা?”
উত্তরে তারেক ভাই জবাব দিলেন, “দেশ নিরাপদ থাকুক, তবে আমার চেয়ারটা আগে দাও।”
এখানে প্রশ্ন ওঠে-ইউনুস সাহেব কীভাবে এখনো এত দাপটে খেলে যাচ্ছেন?
উত্তর সহজ: উনি রাজনীতিকে মশলা পোলাও বানিয়ে ফেলেছেন-সুন্দর দেখে গন্ধ, খেলে ভুতে ধরবে।
: অবশেষে লন্ডনের আকাশে আবারও এক সস্তা নাটকের মহড়া। তারেক জিয়া ভেবেছিলেন দেশে ফিরে জনগণের সামনে ‘সেভিয়র’ হবেন। বাস্তবে হোলো উল্টো-লন্ডনের টি-শপে বসে তিনি এখন “কত দামে সার্বভৌমত্ব বিক্রি হয়?” সেই হোমওয়ার্ক করছেন।
এখন জনগণের একটাই প্রশ্ন-
“এই যে ভাইজান, ইউনুস-খলিল গং-এর সঙ্গে খেলে আপনি তো নিজেই ‘গেম ওভার’ হয়ে যাচ্ছেন না তো?”
আপাতত শেষ কথা:
রাজনীতি খেলুন, গদি চাইলে জনগণের রায় নিন।
ইউনুসের চা খেতে গিয়ে দেশের চা শেষ করে ফেলবেন না যেন!