শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২

Daily Pokkhokal
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » অপরাধ » মধ্যরা‌তে আদাল‌তে রা‌জিব, ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রথম পাতা » অপরাধ » মধ্যরা‌তে আদাল‌তে রা‌জিব, ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
৩৩৬ বার পঠিত
সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মধ্যরা‌তে আদাল‌তে রা‌জিব, ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

পক্ষকাল ডেস্ক -মোহাম্মদপুরের ‘সুলতান’ খ্যাত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে মধ্যরাতে আদালতে হাজির করা হয়। রোববার (২০ অক্টোবর) মধ্যরাতে রিমান্ড আ‌বেদ‌নের উপর শুনা‌নি শেষে দুই মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসমিন আরার বিশেষ আদালত।
রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে রাজীবের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা দায়ের করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। দুই মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এরপর মধ্যরাতে রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানি শেষে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনার মধ্যেই শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা রাজীবকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
র‌্যাব জানায়, সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর মোহাম্মদপুরে তার বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়।
অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, আমরা মোহাম্মদপুরে তার বাসা ও অফিসে তল্লাশি করেছি। সেখানে তেমন কিছু পাইনি। কারণ আমরা যা বুঝতে পেরেছি তার বাড়িতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যেসব ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
তবে তারই একজন সহযোগীর আত্মীয় বাড়ি থেকে একটি চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে। বইটিতে দেখা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে একদিনে (তিনটি চেকের মাধ্যমে) পাঁচ কোটি টাকা জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখছি কোথায় টাকা জমা দিয়েছেন, টাকাগুলো কোথায় গিয়েছে।
আপাতত তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি মামলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্জিত আয়ের উৎস ও অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও এই অর্থ তিনি কোথায় খরচ করেছেন দেখা হবে। যদি এখানে মানিলন্ডারিংয়ের কোনো বিষয় থাকে তখন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রাজীবের সহযোগী ও তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা তো আসলে তার বৈধ আয়ের কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার যে একটি রাজকীয় বাড়ি রয়েছে এ বাড়িটির বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জিনিস তিনি বিদেশ থেকে আমদানি করে এনেছেন। এসব তার জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত বলে আমাদের মনে হয়েছে।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর হওয়ার আগ পর্যন্ত তার দৃশ্যমান কোনো ধরনের ব্যবসা বা পেশা ছিল না। বর্তমানে সিটি করপোরেশন থেকে যে সম্মানি পান সেটা তার একমাত্র প্রধান আয়। এছাড়া যে অবৈধ লেনদেনের বিষয়গুলো রয়েছে, সেসব তদন্তসাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
২০১৫ সালে কাউন্সিলর নির্বাচনে তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। দলীয় প্রার্থী ও মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শেখ বজলুর রহমানকে হারিয়ে নির্বাচিত হন তিনি।
মোহাম্মদপুর এলাকায় যুবলীগের রাজনীতি দিয়েই রাজীবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। অল্পদিনেই নেতাদের সান্নিধ্যে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এরপর অভিযোগ আছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন রাজীব।
যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদটি ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজীব। বিগত চার বছরে আট থেকে ১০টির বেশি নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন। গুলশান ও মোহাম্মদপুরে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। মোহাম্মদীয়া হাউসিং সোসাইটির ১ নম্বর রোড এলাকায় পানির পাম্পের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়ির জায়গাটির দামই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।
কমিশনার হওয়ার পরপরই তিনি বাহিনী দিয়ে প্রচারণায় বনে যান স্বঘোষিত ‘জনতার কমিশনার’। তবে কথিত এই ‘জনতার কমিশনার’-এর বিরুদ্ধে জনতার কাছ থেকেই মাসে কোটি টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, চন্দ্রিমা হাউসিং, সাত মসজিদ হাউসিং, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে টং দোকানদার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া রাজীবের বিরুদ্ধে।\\

সুত্র বাংলা নিউজ ---



এ পাতার আরও খবর

ডলার প্রতারক চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার ডলার প্রতারক চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার
বেকারত্ব বাড়াচ্ছে চুরি-ছিনতাই বেকারত্ব বাড়াচ্ছে চুরি-ছিনতাই
পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর
ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন: সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে প্রেরণ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন: সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে প্রেরণ
বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে? বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে?
মালয়েশিয়ায় অর্থপাচারের মাস্টার মাইন্ড কুখ্যাত নূর আলী মালয়েশিয়ায় অর্থপাচারের মাস্টার মাইন্ড কুখ্যাত নূর আলী
গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশ: চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মব সংস্কৃতির পুনরুত্থান-ড. কামাল হোসেন গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী বাংলাদেশ: চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মব সংস্কৃতির পুনরুত্থান-ড. কামাল হোসেন
থেমে নেই প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন)আতাহার’র কমিশন বাণিজ্য থেমে নেই প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন)আতাহার’র কমিশন বাণিজ্য
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিন দলের বৈঠক: কূটনীতি না কি গোপন রাজনৈতিক সমন্বয়? পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিন দলের বৈঠক: কূটনীতি না কি গোপন রাজনৈতিক সমন্বয়?

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)