শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » প্রতিশ্রুতির আখ্যান নিজভূমে নির্যাতিত, পরভূমে আশা-নিরাশার দোলাচলে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ » প্রতিশ্রুতির আখ্যান নিজভূমে নির্যাতিত, পরভূমে আশা-নিরাশার দোলাচলে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা
৪৪৭ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

প্রতিশ্রুতির আখ্যান নিজভূমে নির্যাতিত, পরভূমে আশা-নিরাশার দোলাচলে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা

ছবি।CreditCreditতুলেছেন নিউ ইয়র্ক টাইমসের অ্যাডাম ডিন
হান্নাহ বিছ (HANNAH Beech)

যখন সবকিছুর হিসেবে গরমিল হতে শুরু করে, ক্ষমতাধারীরা প্রতিশ্রুতি দেন পরিস্থিতি ঠিক করে দেবার। কিন্তু আসলেই তারা তা করেন কি? এই সিরিজে দ্য টাইমসের তদন্তে উঠে এসেছে সে প্রতিশ্রুতিরই আখ্যান।
এন খু ইয়া, মিয়ানমার - প্রত্যাবাসন কেন্দ্রের মরচে পড়া কাঁটাতারের বেড়ার ওপাশটা শূন্য। কেউ নেই ওপাশে। প্রত্যাবাসীদের আগমন প্রতীক্ষায় তৃষিত নয়নে চেয়ে আছে ওটা।
ইউনিফর্ম পরা অফিসাররা মুখে হাসি নিয়েই ট্রেলারের ওধারে অলস সময় কাটাচ্ছে। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিমদের এখানে এসেই ছবি তোলার জন্য লাইনে দাঁড়াবার কথা, পরিচয়পত্র সংগ্রহ করবার কথা। ওদের স্বাগতম জানানোর জন্যই ডেস্কের পেছনে অফিসারদের প্রতীক্ষা।
নিরাপত্তারক্ষীরা হাতে দণ্ডের মতো কিছু একটা নিয়ে অপেক্ষা করছে। দেখে মনে হচ্ছে এই নির্জন সীমান্ত যেন কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। খাঁ খাঁ করা প্রান্তরে অতিথির আগমনে মুখ গোমড়া করে থাকা কোনো মেজবানের হাতে কলম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্যের মিলটা ঠিক গোচরে আসে না।

এন খু ইয়া নামের এই প্রত্যাবাসন কেন্দ্রে একটি জিনিসের বড়ই অভাব প্রকট হচ্ছে। আর তা হচ্ছে স্বয়ং রোহিঙ্গারা। দুই বছর আগের এমনই এক রবিবারে মিয়ানমার থেকে ৭ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। জাতিগত গণহত্যার শিকার এই রোহিঙ্গাদের নিয়ে দুই দেশের সরকারই বলছেন যে সংখ্যালঘু হিসেবে তাদের মিয়ানমারে শীঘ্রই প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।
সময়ের সাথে বারবার এই প্রতিশ্রুতি কেবলই ভেঙেছে।
লক্ষাধিক তো দূরের কথা, হাজারের হিসেবেও রোহিঙ্গারা ফেরত যায়নি।

মিয়ানমারে ফিরে যাবার জন্য সকল ধরনের আশ্বাস পাবার পর কেবল ডজনখানেক রোহিঙ্গা ফেরত গিয়েছে।
২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে প্রথম কিস্তির ১,২০০ জন ফিরে যাবার কথা। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কাজটা করা সম্ভব হয়নি। শতাব্দীর সবচেয়ে ঘৃণ্য জাতিগত হামলার শিকার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।
২০১৮ সালেরই এপ্রিল মাসে দুই দেশের মধ্যে সুরক্ষিত, স্বপ্রণোদিত প্রত্যাবাসন নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতির কথাবার্তা চলে। নতুন নতুন তারিখ দেয়া হয়। একটির দেখাও মেলেনি।
গত বৃহস্পতিবার মিয়ানমার সরকার ৩,৪৫০ জন রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসন নিয়ে কার্যক্রম শুরু করার কথা বলে। এরপরও সীমান্তের ওপারে কারোর টিকির দেখা মেলেনি।



এ পাতার আরও খবর

সামাজিক ব্যবসার আড়ালে নতুন সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্য বিস্তার নব্য অপশাসনের ফ্যাসিবাদ সামাজিক ব্যবসার আড়ালে নতুন সাম্রাজ্যবাদ আধিপত্য বিস্তার নব্য অপশাসনের ফ্যাসিবাদ
“সামাজিক ব্যবসা” “এনজিও সাম্রাজ্যবাদের” নতুন সাম্রাজ্যবাদের ফাঁদ -সাংবাদিক কাজল “সামাজিক ব্যবসা” “এনজিও সাম্রাজ্যবাদের” নতুন সাম্রাজ্যবাদের ফাঁদ -সাংবাদিক কাজল
রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা রাউজানে প্রকাশ্যে যুবদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
যশোরে রেস্ট হাউজে নারীসহ ওসি, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ যশোরে রেস্ট হাউজে নারীসহ ওসি, ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
জামায়াতের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ রিজভীর জামায়াতের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ রিজভীর
সংস্কারহীন নির্বাচনে গেলে ফের গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হতে: নুরুল হক নুরের হুঁশিয়ারি সংস্কারহীন নির্বাচনে গেলে ফের গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হতে: নুরুল হক নুরের হুঁশিয়ারি
ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলো তাজিয়া মিছিল ডিএমপির কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলো তাজিয়া মিছিল
যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়: ফখরুল যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা গণতান্ত্রিক শক্তি নয়: ফখরুল
ঐকমত্যের পথে বাধা: ফখরুলের হতাশা ও শঙ্কা ঐকমত্যের পথে বাধা: ফখরুলের হতাশা ও শঙ্কা
ভারী বর্ষণে ভূমিধস ও বন্যার সতর্কতা জারি ভারী বর্ষণে ভূমিধস ও বন্যার সতর্কতা জারি

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)