শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি
৩৩২ বার পঠিত
বুধবার, ১৭ জুলাই ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

পক্ষকাল ডেস্ক ১৭ জুলাই - নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। জেলার বন্যাকবলিত চার উপজেলা সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও গাইবান্ধা সদরের ২১৩ গ্রাম প্লাবিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

বন্যার্তরা বিভিন্ন বাঁধ, আশ্রয় কেন্দ্র, স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটের সঙ্গে খাদ্য সংকটও দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু-পাখি রাখা নিয়ে পড়তে হয়েছে বিপাকে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোখলেছুর রহমান জানান, সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ১১২ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি বিপদসীমার ৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং তিস্তার পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, সোমবার ঘাঘট ও ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে চারটি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ। এরমধ্যে গাইবান্ধা সদরের ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের খোলাহাটি ইউনিয়নে কুঠারপাড়া এলাকায় ৫০ ফুট, গোদারহাট এলাকায় সোনাইল বাঁধের ১০০ ফুট ভেঙে গিয়ে ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

অন্যদিকে ব্রহ্মপুত্রের পানির তোড়ে সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের বাগুড়িয়া এলাকায় বাঁধের ১০০ ফুট অংশ ধসে গেছে, আর ফুলছড়ি উপজেলার কাতলামারী এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১৬ গ্রাম।

পানি ঢুকে যাওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২৩৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। ফুলছড়ি উপজেলায় তিনটি ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ইতোমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)