শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
প্রথম পাতা » » ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ অবধি স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলের ভয়াবহতা এবং হত্যাপঞ্জী।
প্রথম পাতা » » ১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ অবধি স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলের ভয়াবহতা এবং হত্যাপঞ্জী।
৩৮১ বার পঠিত
রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ অবধি স্বৈরাচারী এরশাদের শাসনামলের ভয়াবহতা এবং হত্যাপঞ্জী।

#

১৯৮৩/ ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মিছিলে অংশ নিতে গিয়ে নিহত হন কাঞ্চন, জাফর, জয়নাল, আইয়ুব, দিপালী ও ফারুক।
১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মোজাম্মেল পুলিশের গুলিতে নিহত হন।
১৯৮৪/ ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে নিহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন ও ইব্রাহিম সেলিম।
১ মার্চ সেলিম ও দেলোয়ার হত্যার প্রতিবাদে সাত দল ও ১৫ দল হরতাল ডাকে। সেই হরতালে নিহত হন শ্রমিকনেতা তাজুল ইসলাম।
২৭ সেপ্টেম্বরের হরতালে ঢাকার কালিগঞ্জে নিহত হন রাজনৈতিক নেতা ময়েজ উদ্দিন। এদিন স্বপন কুমার, নেত্রকোনার তিতাস ও আরেকজন নিহত হন। ঢাকায় পুলিশের গুলিতে একজন রিকশাওয়ালা ও একজন ফুটপাতের দোকানদার এবং ঢাকার বাইরে আরো দুজন নিহত হন।
২৪ নভেম্বর চুয়াডাঙ্গায় ফজলুর রহমান নামে একজন নিহত হন।
২২ ডিসেম্বর রাজশাহীতে মিছিলে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের বাবুর্চি আশরাফ, ছাত্রনেতা শাজাহান সিরাজ ও পত্রিকার হকার আব্দুল আজিজ।

১৯৮৫/ ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিলে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র রাউফুন বসুনিয়া। ১৯ মার্চ হরতাল চলাকালে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
২২ এপ্রিল মিছিলে বোমা হামলায় একজন,
৯ অক্টোবর তেজগাঁও পলিটেকনিকে চারজন,
৩১ অক্টোবর ঢাকার মিরপুরে বিডিআরের গুলিতে ছাত্র স্বপন ও রমিজ নিহত হন।
৭ নভেম্বর আদমজী জুট মিলে ধর্মঘটে হামলায় ১৭ শ্রমিক এবং বিডিআরের গুলিতে তিন শ্রমিক নিহত হন।

১৯৮৬/ ৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাঁচজন,
১৪ মে হরতালে আটজন,
১৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনে ১১ জন,
১০ নভেম্বর হরতাল চলাকালে ঢাকার কাঁটাবন এলাকায় সাহাদত নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়।

১৯৮৭/ ২২ জুলাই জেলা পরিষদ বিল প্রতিরোধ ও স্কপের হরতালে তিনজন,
২৪ অক্টোবর শ্রমিক নেতা শামসুল আলম,
২৬অক্টোবর সিরাজগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কৃষক জয়নাল,
১ নভেম্বর কৃষক নেতা হাফিজুর রহমান মোল্লা,
১০ নভেম্বর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী গণ-আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় (বর্তমান শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার) পুলিশের গুলিতে শহীদ হন যুবলীগ নেতা নূর হোসেন। নূর হোসেন ছাড়াও যুবলীগের আরেক নেতা নূরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটো সেদিন শহীদ হন।
১১ নভেম্বর থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আবুল ফাত্তাহ, ছাত্র বাবলু, যুবনেতা টিটো, শেরপুরের আমিন বাজারে পুলিশের গুলিতে উমেছা খাতুন, গোলাম মোহাম্মদ আসলাম, ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে খোকন ও দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনজন,
৫ ডিসেম্বর কক্সবাজারের চকোরিয়ায় ছাত্রনেতা দৌলত খান নিহত হন।

১৯৮৮/ ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে মিছিলে গুলিবর্ষণে নিহত হন ২২ জন।উদ্দেশ্য ছিল মুজিব তনায়া শেখ হাসিনাকে হত্যা করা।যাঁরা নিহত হন, তাঁরা হলেন ক্ষেতমজুর নেতা রমেশ বৈদ্য, হোটেল কর্মচারী জি কে চৌধুরী, ছাত্র মহিউদ্দিন শামীম, বদরুল, শেখ মোহাম্মদ, সাজ্জাদ হোসেন, মোহাম্মদ হোসেন ও আলবার্ট গোমেজ, আবদুল মান্নান, কাশেম, ডি কে দাস, কুদ্দুস, পংকজ বৈদ্য, চান মিঞা, হাসান, সমর দত্ত, পলাশ, সবুজ হোসেন, কামাল হোসেন, সাহাদাত হোসেন।
৩ মার্চ চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিরোধ আন্দোলনের সময় হামলায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়।

১৯৯০/ ১০ অক্টোবর সচিবালয়ে অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের গুলিতে ছাত্র জেহাদ ও মনোয়ার, হকার জাকির, ভিক্ষুক দুলাল,
১৩ অক্টোবর পুলিশের গুলিতে পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্র মনিরুজ্জামান ও সাধন চন্দ্র শীল,
২৭ অক্টোবর হরতাল চলাকালে ঢাকার বাইরে দুজন,
১৪ নভেম্বর আদমজীতে ১১ জন,
২৬ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চায়ের দোকানদার নিমাই,
২৭ নভেম্বর ডা. শামসুল আলম মিলন,
২৮ নভেম্বর মালিবাগ রেলপথ অবরোধে দুজন,
৩০ নভেম্বর রামপুরায় বিডিআরের গুলিতে একজন,
১ ডিসেম্বর মিরপুরে ছাত্র জাফর, ইটভাঙা শ্রমিক আব্দুল খালেক, মহিলা গার্মেন্টস কর্মী, নুরুল হুদাসহ সাতজন, আট মাসের শিশু ইমন, নীলক্ষেতে একজন, কাজীপাড়ায় দুজন এবং ডেমরা যাত্রাবাড়ীতে দুজন, চট্টগ্রামের কালুরঘাটে একজন, খুলনার খালিশপুরে মহাব্রজ, নারায়ণগঞ্জের মণ্ডলপাড়ায় এক কিশোর,
২৭ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ময়মনসিংহে দুজন, রাজশাহীতে দুজন, ধানমণ্ডিতে একজন ও জিগাতলায় একজন নিহত হন।
৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে দুজন,
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ এরশাদের পতন এবং গণতন্ত্রে অভিযাত্রায় অংশগ্রহন।
# প্রকৃতি অবশ্যই স্বৈরাচারী এরশাদকে তার যোগ্যতম জায়গায় স্থান দেবে।



এ পাতার আরও খবর

পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর
পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর পুলিশের উপস্থিতিতেই রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর
রাষ্ট্রীয় সংস্কার: জনগণের আকাঙ্ক্ষা না কি পশ্চিমা চাপ? রাষ্ট্রীয় সংস্কার: জনগণের আকাঙ্ক্ষা না কি পশ্চিমা চাপ?
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতঅতীতের গৌরব, বর্তমানের সংগ্রাম ও ভবিষ্যতের অঙ্গীকার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিতঅতীতের গৌরব, বর্তমানের সংগ্রাম ও ভবিষ্যতের অঙ্গীকার
নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের4 নিম্ন আদালতের নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিমকোর্টের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের4
ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন ডাকসুর নারী প্রার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, অভিযুক্ত শিবির নেতা আলী হোসেন
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রথম দল দেশে ফিরছে আজ যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রথম দল দেশে ফিরছে আজ
কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন: সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে প্রেরণ কুড়িগ্রামের সাংবাদিক রিগানকে নির্যাতন: সাবেক ডিসি সুলতানা পারভীনকে জেল হাজতে প্রেরণ
বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে? বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ পরিচালক শাজাহান কি আইনের ঊর্ধ্বে?
মালয়েশিয়ায় অর্থপাচারের মাস্টার মাইন্ড কুখ্যাত নূর আলী মালয়েশিয়ায় অর্থপাচারের মাস্টার মাইন্ড কুখ্যাত নূর আলী

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)