শিরোনাম:
ঢাকা, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » চট্টগ্রামের বেশিরভাগ হাসপাতাল অগ্নিঝুঁকিতে
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » চট্টগ্রামের বেশিরভাগ হাসপাতাল অগ্নিঝুঁকিতে
৫৫০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

চট্টগ্রামের বেশিরভাগ হাসপাতাল অগ্নিঝুঁকিতে

পক্ষকাল ডেস্ক-
ঘিঞ্জি এলাকাগুলো থেকে শুরু করে শহরের অভিজাত এলাকার অত্যাধুনিক বহুতল ভবন, কোনোটাই রেহাই পাচ্ছে না ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে।

বাংলাদেশে অগ্নিঝুঁকি প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। যেখানে প্রতি বছরই অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়ার কথা, সেখানে পরিসংখ্যান দিচ্ছে উল্টো তথ্য। শুধু চট্টগ্রামের ঘিঞ্জি এলাকা বা বহুতল ভবনগুলো নয়। ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রামের হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স থেকে শুরু করে প্রায় ৯৭ ভাগ স্থাপনা।

এদিকে, চট্টগ্রামে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতাল গুলো অগ্নি ঝুঁকি মুক্ত নয় বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সহকারি পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিছুটা নিরাপত্তা থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়া প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিট ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলো ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করছে।

চট্টগ্রামে ৯৭ শতাংশ বহুতল ভবনে নেই অগ্নি নিরাপত্তা ছাড়পত্র। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে ফায়ার সার্ভিস। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে রয়েছে আবাসিক ও বাণিজ্যিক। এ ছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় ব্যস্ততম ৪১টি মার্কেটকেও ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একের পর এক বহুতল ভবন গড়ে উঠলেও ফায়ার সার্ভিস থেকে নেয়া হচ্ছে না অনাপত্তি পত্র (এনওসি)। একইভাবে ভবন তৈরির পর নেয়া হয় না বসবাসের উপযোগী ঘোষিত ছাড়পত্রও। ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।

চট্টগ্রামের হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টার গুলোতে ২০১৮ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স তাদের নিজস্ব লোক দিয়ে সার্ভেয় করে। তখনও ৯৭ শতাংশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে দেয়ার পরও তারা এখনো কোন প্রকার ব্যবস্থা করেনি।

সরকারি হিসেবে প্রায় পাঁচশ হাসপাতাল, ক্লিনিক রয়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নিয়ম অনুয়ায়ী হাসপাতাল তৈরির আগেই নিতে হয় ফায়ার সার্ভিসের অনাপত্তি পত্র। পরে ছয়মাসের মধ্যে ছাড়পত্র সংগ্রহ করতে হয়।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, আগুন নেভানোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকা, ফায়ার অ্যালার্ম ও বিকল্প প্রশস্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা, নিয়মিত মহড়া এবং কর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের কথা থাকলেও ৯০ ভাগ প্রতিষ্ঠানই এসব নিয়ম মানছে না।

তবে হাসপাতাল মালিকরা বলছেন, অতীতে না জানার কারণে অনেকে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র না নিলেও এখন সচেতন তারা।

চট্টগ্রামে হাসপাতালগুলোর আগুনের ঝুঁকি প্রতিরোধ সক্ষমতা যাচাই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন। পাশাপাশি নেয়া হচ্ছে সচেতনতামূলক কর্মসূচি।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে অনেকেই নেই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রও। এমনকি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অনেক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে আবাসিক ভবনে।

যে কোন ধরনের অগ্নিকান্ডের দূর্ঘটনা এড়ানো জন্য র‌্যাম ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরী বলে মন্তব্য করেছে সহকারী পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী র‌্যাম, লিফ্ট ও সিঁড়ি থাকতে হবে। তিনি এ বছর আবারও হাসপাতাল, ডায়গনষ্টিক সেন্টার এবং ক্লিনিক গুলাতে সার্ভেয় করা হবে বলে জানান।

আগুনের ঝুঁকি থাকা উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল গুলো হল: চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বন্দর হাসপাতাল, জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, ডায়াবেটিকস হাসপাতাল, চক্ষু হাসপাতাল, এপিক হেলথ কেয়ার, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল, পার্কভিউ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন হাসাপতাল, ন্যাশনাল হাসপাতাল, ম্যাক্স হাসপাতাল, রেলভিউ হাসপাতাল, রয়েল হাসপাতাল, পিপলস হাসপাতাল, সাজিস্কোপ হাসপাতাল, মেমন মাতৃসদন হাসপাতাল, আগ্রাবাদ আমেরিকান হাসপাতাল, আল আমিন হাসপাতাল, মাউন্ট হাসপাতাল, কসমোপলিটন হাসপাতাল, সিএসসিআর হাসপাতাল, ডেল্টা হাসপাতাল, একুশে হাসপাতাল।

অধিকাংশ হাসপাতাল সরেজমিনে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর অনুসন্ধ্যানীতে দেখা গেছে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সিডিএ’ প্লান মানা হলেও পরিবেশ ও ফায়ার সার্ভিস এর সার্টিফিকেট নেয়নি অধিকাংশ হাসপাতাল।

ফায়ার সার্ভিস সুত্রে যানাযায়, বহুতল ভবনে পরিচালনাধীন হাসাপতাল গুলোর আগুন নিয়ন্ত্রণে এগুলোর ইনটেরিয়র ডেকোরেশন বড় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আগে এ সমস্যাটি ছিল না। কারণ ইনটেরিয়র ডেকোরেশন কম হতো।

এখন ব্যাপক হারে ইনটেরিয়র ডেকোরেশন হচ্ছে। যার মাধ্যমে আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। আবার এগুলোর কারণে লোকজন দ্রুত বের হয়ে আসতে পারছেন না। পুরো ভবনই যদি কাঁচ ও উন্নত মানের টাইলস এবং এন্টরিয়র ডিজাইনে আচ্ছাদিত থাকে, তাহলে পানি ছিটালেও তা ভেতরে প্রবেশ করে না।



এ পাতার আরও খবর

রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বরিশাল সোনালী ব্যাংক: দুর্নীতিতে জর্জরিত, গোপালের পথে হাটছেন জিএম মাহমুদুল হক বরিশাল সোনালী ব্যাংক: দুর্নীতিতে জর্জরিত, গোপালের পথে হাটছেন জিএম মাহমুদুল হক
সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করা কোন সংগঠনের কাজ নয়: বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করা কোন সংগঠনের কাজ নয়: বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
ওটরা ইউনিয়ন এর জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান সুজনের ওটরা ইউনিয়ন এর জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান সুজনের
উজিরপুরে ইয়াবা গডফাদার বাবু মুন্সিকে গ্রেফতার দাবি উজিরপুরে ইয়াবা গডফাদার বাবু মুন্সিকে গ্রেফতার দাবি
গণহত্যার বিচার কার্যকর করতে উজিরপুর বাসী কে  ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - আহম্মেদ শাকিল। গণহত্যার বিচার কার্যকর করতে উজিরপুর বাসী কে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - আহম্মেদ শাকিল।
আগামী কাল বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ আগামী কাল বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির বিক্ষোভ সমাবেশ
ঝালকাঠি-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জীবা আমিনা ঝালকাঠি-২ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে জীবা আমিনা

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)