শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তি পাবেনা জামায়াত, বিএনপি’রও ক্ষমা চাওয়া উচিত- তথ্যমন্ত্রী
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তি পাবেনা জামায়াত, বিএনপি’রও ক্ষমা চাওয়া উচিত- তথ্যমন্ত্রী
৩৬১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ক্ষমা চেয়ে দায়মুক্তি পাবেনা জামায়াত, বিএনপি’রও ক্ষমা চাওয়া উচিত- তথ্যমন্ত্রী

পক্ষকাল প্রতিদিন সংবাদঃ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার পদত্যাগের কথা এবং ক্ষমা চাওয়ার কথা দেশের ভেতর ও বাইরের চাপ থেকে মুক্ত হবার কৌশলের অংশ। তারা দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতনের অপরাধ থেকে দায় মুক্তি পেতে পারে না।’

মন্ত্রী বুধবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সুজন হালদার রচিত ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক রাজনীতি প্রসঙ্গে একথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রধান আলোচক হিসেবে এবং দপ্তর সম্পাদক গোলাম রব্বানী বাবলু সভাপতি হিসেবে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী যে এতদিন ধরে বাংলাদেশে রাজনীতি করছে এবং বিএনপি তাদের সাথে জোট গঠন করেছে, একসাথে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, ফলে বিএনপিও সেই একই অপরাধে অপরাধী এবং দায়মুক্তি পাওয়ার যোগ্য নয়। সুতরাং জামায়াতে ইসলামীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার জন্য, তাদের নিয়ে জোট গঠন ও সরকার গঠন করার জন্য বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

নির্বাচনে অংশ না নেবার অর্থ হচ্ছে জনগণ থেকে দূরে থাকা উলে­খ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি আসন্ন উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ না নেবার সিদ্ধান্তের অর্থ হচ্ছে জনগণ থেকে ক্রমেই আরো দূরে সরে যাওয়া। গত সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর তারা হয়তো নির্বাচন করতে সাহস পাচ্ছে না। কিন্তু বিএনপিকে আমি বলবো খানিকটা সাহস সঞ্চয় করে নির্বাচনে আসতে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কীর্তিময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একইসাথে যেমন উন্নয়ন, শান্তি, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্ত চেতনা ও অসা¤প্রদায়িকতার প্রতীক, তেমনি বিস্ময়কর মানবতারও প্রতীক। এগারো লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে তিনি আশ্রয় দিয়েছেন পরম মমতায়।’

‘শেখ হাসিনা জাতির পিতার মৃত্যুতে পিতৃহীন সন্তানদের বুকে আগলে রেখেছেন মমতাময়ী মায়ের মতন; দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন বিস্ময়কর উন্নয়নের গণতান্ত্রিক যাত্রায়; তিনি আজ শুধু ব্যক্তি নন, এক অনন্য প্রতিষ্ঠান’, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন দিবস শুধু তার প্রত্যাবর্তন নয়, সেটি ছিল উন্নয়ন, শান্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, গণতন্ত্র-এসবেরই প্রত্যাবর্তন। দেশবিরোধী শত্র“রা শেখ হাসিনাকেও বারবার হত্যা করতে চেয়েছিল। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে, ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে, ২০০১ সালের ৩০ মে খুলনা ও ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটে, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিয়ে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা নস্যাৎ হয়ে যায়। তিনি দেশের ইতিহাসে প্রথম চতুর্থ বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন।’

মন্ত্রী এসময় ‘গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ গ্রন্থটি সকলকে পড়ে দেখতে অনুরোধ জানান। ।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)