শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা—-কমরেড লেনিন
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা—-কমরেড লেনিন
৫২০ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের নেতা—-কমরেড লেনিন

দিপংকর গোঁতম ঃ ---ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন(এপ্রিল ২২ ১৮৭০ - জানুয়ারি ২১, ১৯২৪) একজন মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী এবং কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদ। লেনিন অক্টোবর এবং মহান নভেম্বর বিপ্লবে বলশেভিক দের প্রধান নেতা ছিলেন। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান।
লেনিনকে বিংশ শতকের অন্যতম প্রধান ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বব্যাপী লেনিন একজন বিতর্কীত ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিগণিত। তাঁর সমর্থকেরা তাকে গণমানুষের অধিকার আদায়ে যোদ্ধা হিসেবে বিবেচনা করে। অপরদিকে তাঁর বিরুদ্ধবাদীরা তাকে স্বৈরাচার শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তনকারী এবং গৃহযুদ্ধের প্রশ্রয়দাতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী হিসেবে বিবেচনা করে। তথাপি সোভিয়েত ইউনিয়নের জনক হিসেবে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। এছাড়া মার্ক্সবাদ-লেনিনবাদ তত্ত্বের প্রবক্তা হিসেবেও তিনি বিশ্বের রাজনৈতিক ইতিহাসে পরিচিত। লেনিন আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব।

ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন ১৮৭০ সালে ২২শে এপ্রিল জার শাসিত রাশিয়ার সিমবির্স্ক শহরে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ। ভল্গা নদীর তীরবর্তী সিমবির্স্ক নামক ছোট শহরটি রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ১,৫০০ মাইল দুরত্বে অবস্থিত ছিল। ভ্লাদিমির ইলিচ-এর পিতা ল্যা নিকোলয়েভিচ্ উলিয়ানভ ছিলেন একজন বিদ্যালয় পরিদর্শক এবং গণতন্ত্রবাদ-এর কট্টর সমর্থক। তাঁর মা মারিয়া আলেক্সান্ড্রাভনা উলিয়ানভা ছিলেন এক প্রথিতযশা চিকিত্সকের বিদুষী কন্যা এবং একজন বিশিষ্ট শিক্ষিকা। পিতামাতা-র বিচার বিবেচনা,লেনিন এবং তাঁর ভাইবোন দের মধ্যে গভীর ভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর দাদা আলেক্সান্ডার কে জার হত্যার ষড়যন্ত্রের অপরাধে ফাঁসি দেওয়া হয়। বিপ্লবী অ্যানা ইলিচনিনা ছিলেন লেনিন-এর বোন এবং সহযোদ্ধা।
১৮৮৬ সালে ভ্লাদিমির ইলিচ-এর পিতৃ বিয়োগ হলে তাঁর মায়ের উপর সংসারের যাবতীয় দায়িত্ব এসে পরে। সাম্মানিক স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ১৮৮৭ সালে লেনিন কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। শীঘ্রই ছাত্রদের বিপ্লবী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে বহিস্কার করে। ১৮৮৯ সালে তিনি সামারা যান এবং স্থানীয় মার্ক্সবাদী দের নিয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলেন। ১৮৯১ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন পাস করে, সামারাতে আইন ব্যবসা শুরু করেন। এরপর তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ চলে আসেন এবং শীঘ্রই সেখানকার মার্কসবাদীদের অবিসংবাদী নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন। এখানেই লেনিন ক্রুপস্কায়া-র সাথে পরিচিত হন। ক্রুপস্কায়া শ্রমিক এবং কৃষক দের মধ্যে সাম্যবাদ এবং বিপ্লবী আদর্শের প্রচারে ব্রতী ছিলেন। ১৮৯৫ সালের ডিসেম্বরে লেনিন সমেত পার্টির বৃহৎ অংশই গ্রেফতার হয়। “রাবোচেয়ে দেলো ” (শ্রমিক আদর্শ) পত্রিকার প্রথম যে সংখ্যাটা লেনিন ও তার সহকর্মীরা প্রস্তুত করেছিলেন, তা হস্তগত করে পুলিস। ভ্লাদিমিরকে রাখা হয় পিটাসবুর্গ জেলে। একক কক্ষে কাটান ১৪ মাসেরও বেশি, কিন্তু জেলের গরাদের আড়ালে থেকেও বিপ্লবী ক্রিয়াকলাপ তাঁর থামেনি। বাইরের মুক্ত কমরেড দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, চিঠি, পুস্তিকা লিখে তা বাইরে পাঠাতেন। জেলে বসেই লিখে ফেলেন মার্কসবাদী পার্টির প্রথম খসড়া কর্মসূচী। বিপ্লবী দলিলপত্রে লেনিন লিখতেন বই ও পত্রপত্রিকার লাইনের ফাঁকে ফাঁকে দুধ দিয়ে। এমনিতে তা চোখে পড়তো না। কিন্তু কাগজটা আগুনে গরম করলেই তা বেশ ফুটে উঠত। বিপ্লবী রা এই পদ্ধতিতে প্রায়ই পত্রালাপ চালাতেন। রুটি দিয়ে দোয়াত বানাতেন লেনিন, তাতে দুধ থাকত - কালির কাজ করত দুধ। পরিদর্শক এলেই সেটি তিনি সঙ্গে সঙ্গে গিলে ফেলতেন। তাঁর একটি পত্রে লেনিন পরিহাস করে বলেছিলেন “ছয়টি দোয়াত আজ খাওয়া গেল”। ১৮৯৭ সালে তাঁকে পূর্ব সাইবেরিয়ার এক নির্জন স্থানে নির্বাসিত করা হয়। কিছুদিনের মধ্যে ক্রুপস্কায়াকেও সেখানে নির্বাসিত করা হয়। পরবর্তীকালে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। নির্বাসনে থাকাকালীন লেনিন ৩০টি পুস্তক রচনা করেছিলেন। যার মধ্যে অন্যতম ছিল রাশিয়ায় পুঁজিবাদের বিকাশ, যা মার্কসবাদী দর্শনের উপর ভিত্তি করে রাশিয়ার অর্থনীতি সম্বন্ধে বিচার বিশ্লেষন করেছিল। এই সময়েই তিনি রাশিয়ার শোষিত শ্রমিক এবং সর্বহারা গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি দল গঠনে উদ্যোগী হন।

১৯০০ সালে নির্বাসন থেকে মুক্তিলাভ করে একটি সংবাদপত্র (বিপ্লবী প্রচারপত্র) প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে লেনিন পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শহর গুলিতে (মিউনিখ ১৯০০-০২, লন্ডন ১৯০২-০৩, জেনেভা ১৯০৩-০৫ ) সফর করেন। এই সময় তিনি জুলিয়াস মার্টয়-এর সাথে মিলিত হয়ে দেশের বাইরে থেকেই “ইস্ক্রা” (স্ফুলিঙ্গ) নামক একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন এর সাথে সাথে তিনি সর্বহারা শ্রেনী, তাদের অধিকার প্রভৃতি নিয়ে কিছু পত্র-পত্রিকা ও পুস্তক রচনা করেন। এই কাজে তাঁকে সহায়তা করেছিলেন সেই সমস্ত মার্ক্সবাদীরা যারা জার শাসিত রাশিয়া থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। রাশিয়ান স্যোশাল ডেমোক্র্যাটিক লেবার পার্টি গঠনের সময় ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন ছদ্মনাম গ্রহণ করেন। সাইবেরিয়ার লেনা নদীর নামানুসারে তিনি নিজের নাম রাখেন লেনিন।



এ পাতার আরও খবর

রাজশাহী প্রেসক্লাবের দখলদার ও স্বঘোষিত সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার রাজশাহী প্রেসক্লাবের দখলদার ও স্বঘোষিত সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেফতার
বাংলাদেশে মবের শাসন: যখন রাষ্ট্র নীরব, তখন জনতা হয়ে ওঠে জল্লাদ বাংলাদেশে মবের শাসন: যখন রাষ্ট্র নীরব, তখন জনতা হয়ে ওঠে জল্লাদ
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচন পরিস্থিতি জানতে চেয়েছে : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আগ্রহী, নাকি কৌশলগত স্বার্থে? যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আগ্রহী, নাকি কৌশলগত স্বার্থে?
ভিআইপি রুম না পেয়ে যুবদল নেতার অনুসারীদের বার ভাঙচুর, নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ ভিআইপি রুম না পেয়ে যুবদল নেতার অনুসারীদের বার ভাঙচুর, নারী লাঞ্ছনার অভিযোগ
কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান সফল, নিহত ‘মেজর’সহ উদ্ধার বিপুল অস্ত্র কেএনএফের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান সফল, নিহত ‘মেজর’সহ উদ্ধার বিপুল অস্ত্র
মুরাদনগরে মাদক সন্দেহে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা মুরাদনগরে মাদক সন্দেহে একই পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা
গুমে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলেই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সেনাবাহিনী গুমে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলেই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: সেনাবাহিনী
গত ১০ মাসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় মব ঘটছে। ন্যায় বিচার কার্যকর করা হলে মবের প্রয়োজন নেই-আহম্মেদ শাকিল গত ১০ মাসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় মব ঘটছে। ন্যায় বিচার কার্যকর করা হলে মবের প্রয়োজন নেই-আহম্মেদ শাকিল

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)