শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মশাল পেতে যাচ্ছেন ইনু ও শিরীন
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » মশাল পেতে যাচ্ছেন ইনু ও শিরীন
৩৭০ বার পঠিত
বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মশাল পেতে যাচ্ছেন ইনু ও শিরীন

---

পক্ষকাল ডেস্কঃ শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন কমিটি জাসদের গঠনতন্ত্র মেনে হয়নি বলে মনে করছেন অধিকাংশ নির্বাচন কমিশনার।ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে হাসানুল হক ইনু ও শিরীন আখতার নেতৃত্বাধীন অংশের হাতেই যাচ্ছে জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল।
দুই অংশের নেতাদের বক্তব্য শোনা এবং দলিলাদি দেখার এক সপ্তাহ পর বুধবার সিদ্ধান্ত দিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।তবে এর মধ্যে তিনজন কমিশনার তাদের মতামত দিয়েছেন এবং তা তথ্যমন্ত্রী ইনু নেতৃত্বাধীন অংশের পক্ষে বলে ইসি সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে যে কোনো বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হয়।

চার নির্বাচন কমিশনারের মধ্যে দুই ভাগে বিভক্তি এলে সিইসির মতামতের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে সিইসি যে পক্ষে মত দেন, তাতে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

গত ১২ মার্চ জাতীয় সম্মেলনে দুই ভাগ হয় ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদ। কাউন্সিলে ইনু ও শিরীনের নেতৃত্বে কমিটি হয়, অন্যদিকে সংসদ সদস্য মইন উদ্দীন খান বাদলের সমর্থকরা আলাদা কমিটি করে।

ইউপি নির্বাচনের মধ্যে দুই অংশই নিজেদের মূল জাসদ দাবি করে নিবন্ধন ও মশাল প্রতীক চেয়ে ইসির দ্বারস্থ হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তিতে ৬ এপ্রিল শুনানি করে কমিশন, এরপর উভয়ের বক্তব্য-দলিল পরীক্ষা শুরু করে।

নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইনু-শিরীনের কমিটি গঠনতন্ত্র মেনে কাউন্সিলে নির্বাচনের মাধ্যমে হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। অন্য পক্ষের কমিটি যথাযথভাবে হয়নি।

“এ জন্যে জাসদের নিবন্ধন ও প্রতীক ইনু-শিরীনের পক্ষে দেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছি।”

কমিশনার জাবেদ আলী ও আবু হাফিজও তাদের মতামত দিয়েছেন।

জাবেদ আলী ইনুর পক্ষে মত দিয়ে ‘কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হল’ বলে মত দিয়েছেন বলে ইসির ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

কমিশনার আবু হাফিজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমিসহ তিনজন মতামত দিয়েছি। কাল (বুধবার) আরও একজন কমিশনার (আবদুল মোবারক) মতামত দেবেন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিবেচনায় সিদ্ধান্ত আসবে।”

শুনানির পর ইনু ও বাদল উভয়ই নিজের পক্ষে ইসির রায় আসবে বলে আশার কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন।রায় ইনুর পক্ষে গেলে কী করবেন- জানতে চাইলে একাংশের সভাপতি আম্বিয়া মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মশাল পাব না, তা আমরা মনে করি না।”তবে নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিলে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আমাদের কমিটি আলোচনা করে দেখবে।”সিদ্ধান্ত পক্ষে না এলে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই অংশের কার্যকরি সভাপতি বাদল।তার দাবি, কেন্দ্রীয় কমিটি, জেলা কমিটি এবং সংসদ সদস্যের অধিকাংশই তাদের সঙ্গেই রয়েছেন। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয় রয়েছে ইনু অংশের নিয়ন্ত্রণে।ইসি ইনু নেতৃত্বাধীন অংশকে স্বীকৃতি দিলে আম্বিয়া-প্রধান নেতৃত্বাধীন অংশকে নতুন করে নিবন্ধন নিতে হবে, প্রতীকও নতুন কিছু বাছাই করতে হবে।বহুবার ভাঙনের শিকার জাসদের প্রতীক নিয়ে বিতর্কে এর আগেও নির্বাচন কমিশনের রায় ইনু নেতৃত্বাধীন অংশের পক্ষেই গিয়েছিল। ফলে জাসদ নামে অন্য দল থাকলেও তাদের মশাল ছাড়তে হয়েছে।সাংসদদের কী হবে?মশাল প্রতীক ইনুর পক্ষে গেলে অন্য অংশের সংসদ সদস্যদের নিয়ে জটিলতার বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই নির্বাচন কমিশনের।জানতে চাইলে একজন নির্বাচন কমিশনার বলেন, “আমরা নিবন্ধনের বিষয়টি নিষ্পত্তি করব, সাংসদের বিষয়টি কমিশনের নয়।”বাদল ৬ এপ্রিল ইসিতে শুনানির পর সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তাদের সঙ্গে চারজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। মশাল তাদের দেওয়া না হলে তাদের ‘স্ট্যাটাস’ নিয়ে জটিলতা দেখা দেবে।আবার মশাল আম্বিয়াদের দেওয়া হলে ওই অংশের দুই সংসদ সদস্য ইনু ও শিরীনের ক্ষেত্রেও একই জটিলতা দেখা দেবে।ইসি কর্মকর্তারা বলেন, দল থেকে বহিষ্কারের মতো জটিলতা না থাকায় সাংসদ পদ থাকা না থাকার বিষয়টি এখনই হয়ত আসবে না। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সংসদই তা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেবে।”জাসদ বিভক্ত হওয়ার পর নিবন্ধন বঞ্চিত অপর অংশের নিবন্ধন পেতে কী করণীয় থাকবে তাই দেখার বিষয়। তবে বিভক্ত হয়ে গেলেও জাসদের অপর অংশের নিবন্ধন পাওয়াও সহজ হতে পারে,” বলেন এক কর্মকর্তা।যে কোনো নতুন দলের নিবন্ধন পেতে অতীতে একজন সাংসদ থাকলে অথবা ৫ শতাংশ ভোট পেলে অথবা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশাপাশি এক-তৃতীয়াংশ জেলা অফিস ও দুইশ’ উপজেলা কমিটি থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।



এ পাতার আরও খবর

জরিপ এলাকা গরীব” জরিপ এলাকা গরীব”" সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) কেন্দ্রীয় কমিটি  ভেঙে দিল নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিল
বাংলাদেশের মতো, USIRI নেপালি যুবকদেরও অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল রেজিম পরিবর্তনের আন্দোলন গঠনে বাংলাদেশের মতো, USIRI নেপালি যুবকদেরও অর্থায়ন ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল রেজিম পরিবর্তনের আন্দোলন গঠনে
সেন্ট মার্টিন : পরিবেশ না মানুষ—কাকে বেছে নেবে রাষ্ট্র? সেন্ট মার্টিন : পরিবেশ না মানুষ—কাকে বেছে নেবে রাষ্ট্র?
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ
তালিবানের ঘোষণা : “বাগরাম বিমানঘাঁটি কখনই মার্কিনিদের হাতে দেওয়া হবে না” তালিবানের ঘোষণা : “বাগরাম বিমানঘাঁটি কখনই মার্কিনিদের হাতে দেওয়া হবে না”
. ইউনূসকে ‘জঙ্গি, হত্যাকারী ও অর্থলোভী’ বললেন শেখ হাসিনা . ইউনূসকে ‘জঙ্গি, হত্যাকারী ও অর্থলোভী’ বললেন শেখ হাসিনা
পদোন্নতির রমরমা বাণিজ্য: সচিবের চেয়ার পেতে শত কোটি টাকার চুক্তি পদোন্নতির রমরমা বাণিজ্য: সচিবের চেয়ার পেতে শত কোটি টাকার চুক্তি

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)