শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ব্রেকিং নিউজ » জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ
প্রথম পাতা » খেলাধুলা | ব্রেকিং নিউজ » জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ
৩৫৫ বার পঠিত
বুধবার, ৯ মার্চ ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ

ডেস্ক : টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নেদারল্যান্ডসকে ৮ রানে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে বাংলাদেশ। বুধবার বাছাই পর্বে (প্রথম রাউন্ডে) মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ওপেনার তামিম ইকবালের একক বীরত্বে জয়ের জন্য ডাচদের ১৫৪ রানের টার্গেট দিয়েছিল মাশরাফিবাহিনী। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে নেদারল্যান্ডস। ফলে ৮ রানের জয় দিয়ে এবারের টি২০ বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ।বুধবার বেলা সাড়ে ৩টায় ভারতের ধর্মশালার স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন।

বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং ওপেন করেছিলেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দলীয় ১৮ রানে (ব্যক্তিগত ১৫ রানে) আউট হন সৌম্য সরকার। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৫৩ রান। তবে ৯ ওভারেই সেই স্কোর হয়ে যায় ২ উইকেটে ৬২ । এলবিডব্লিউ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে সাব্বিরকে; ব্যক্তিগত ১৫ রানে।

  • তামিম-সাব্বির জুটিতে বাংলাদেশের ভাণ্ডারে জমা পড়েছে ৪২ রান।---সাব্বির আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে খুব বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। দলীয় ৭৮ রানে ক্যাচ আউট হয়েছেন তিনি। এরপর ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৩ বলের ব্যবধানে আউট হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান।

দলীয় ১২৭ রানে ষষ্ঠ উইকেট হিসেবে বিদায় নেন নাসির হোসেন। এরপর ১৩৭ রানে সাজঘরের পথ ধরেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। এরপর শেষ ৭ বলে ১৩ রান তুলে বাংলাদেশের সংগ্রহকে ১৫৩ পর্যন্ত টেনে নিয়েছেন তামিম ও আরাফাত সানি জুটি। ৪ বলে ৮ রান করে (এক ছক্কাসহ) অপরাজিত ছিলেন সানি।

তামিম ইনিংস ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন।

নেদারল্যান্ডসের পক্ষে পেসার ভ্যান ডার গাগটেন নিয়েছেন ৩ উইকেট। এ ছাড়া ২ উইকেট নিয়েছেন আরেক পেসার পল ভ্যান মিকেরেন।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনাই করেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে বল হাতে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য উপহার দিয়েছিলেন পেসার আল-আমিন হোসেন। ডাচদের দলীয় ২১ রানে তাদের ওপেনার ওয়েসলি বারেসিকে সাব্বিরের ক্যাচে পরিণত করেছেন আল-আমিন।

ডাচদের আরেক ওপেনার স্টিফেন মাইবার্গও বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন বাংলাদেশের জন্যে। তবে নবম ওভারের প্রথম বলে তাকে বোল্ড আউট করে বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন নাসির হোসেন। আর ১১.২ ওভারে বেন কুপারকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে তৃতীয় সাফল্য দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এরপর দুই ডাচ ব্যাটসম্যান টম কুপার ও পিটার বোরেন বাংলাদেশ শিবিরে শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছিলেন। তবে ১৬তম ওভারের শেষ বলে বোরেনকে নাসিরের ক্যাচে পরিণত করে আপাতত বাংলাদেশ শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন সাকিব। এর পরের ওভারেই ভ্যান ডার মারউইকে কট বিহাউন্ড করে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতিয়েছেন অধিনায়ক মাশরাফি। এরপর টম কুপারকে আরাফাত সানির ক্যাচে পরিণত করিয়েছেন আল-আমিন। আর ৫ বলে ১৪ রান করে বাংলাদেশের জন্য বিপদ হয়ে ওঠা মুদাছছের বুখারি রান আউট হয়েছেন দলীয় ১৪০ রানে (১৯.২ ওভারে)। মূলত তখনই বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও আল-আমিন।

বিশ্বকাপের মূল পর্বে কোয়ালিফাই করার জন্য বাছাই পর্বের খেলায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে বাংলাদেশকে। সেই লক্ষ্যেই প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল মাশরাফিবাহিনী। এই গ্রুপে (‘এ’ গ্রুপ) বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস ছাড়াও রয়েছে আয়ারল্যান্ড ও ওমান।

এই ম্যাচে ৩ পেসার নিয়ে খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে ম্যাচে খেলতে পারেননি তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। পেস আক্রমণে তাই ছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি, তাসকিন আহমেদ ও আল-আমিন হোসেন। এ ছাড়া স্পিনার হিসেবে দলে জায়গা পেয়েছিলেন আরাফাত সানি।



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)