আসছে যুক্তফ্রন্ট
আসছে যুক্তফ্রন্ট: গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও প্রগতির বৃহত্তর ঐক্য
ভূমিকা: একটি সংকটকালীন জাতির সামনে ঐক্যের ডাক
আজ জাতি এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যেখানে বারবার আক্রান্ত, সেখানে জনগণের মুক্তির সংগ্রাম নতুন করে পথ খুঁজছে। বর্তমান সময়ে চারটি শক্তি জাতির সামনে এক ভয়াবহ মেরুকরণ তৈরি করেছে —
১. স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ,
২. পতিত ফ্যাসিবাদ,
৩. চাঁদাবাজ লুটেরা পুঁজিবাদ,
৪. মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নয়া ফ্যাসিবাদী দালালগোষ্ঠী।
এই চারটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে একমাত্র বিকল্প হলো দেশের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির ঐক্য। এই ঐক্যের নামই যুক্তফ্রন্ট।
যুক্তফ্রন্ট কেন জরুরি?
বাংলাদেশের গণমানুষ বারবার প্রতারিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনীতির নামে দমননীতি, এবং ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি মানুষকে মুক্তির বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়েছে।
যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে আগ্রহী, যারা ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী — তাদের সবাইকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। এই ছাতা হলো যুক্তফ্রন্ট।
ঐক্য বিরোধীরা কে?
- রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা
- সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী
- রাষ্ট্রীয় মদদে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা স্বৈরতন্ত্রী শক্তি
- বহুজাতিক পুঁজির এজেন্ট হিসেবে কাজ করা সাম্রাজ্যবাদপন্থী গোষ্ঠী
তারা জানে, এই ঐক্যই তাদের ভীত কাঁপাতে পারে। তাই তারা উঠে পড়ে লেগেছে — শাহবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দমন করেছে, উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
যুক্তফ্রন্টের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা
একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন, যা বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে একত্র করবে।
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা, বিশেষ করে তরুণ, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করে।
ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক যুদ্ধ জোরদার করা।
৭১-এর অসমাপ্ত বিপ্লবকে পূর্ণতা দেওয়া, প্রয়োজনে বিপ্লবী গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
আগামী নির্বাচনকে শুধুমাত্র ক্ষমতার পালাবদল নয়, আদর্শের লড়াইয়ে রূপান্তরিত করা।
আসছে নতুন লড়াই: ৭১-এর যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি নয়, পূর্ণতা
স্বাধীনতা এসেছে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, এখন প্রয়োজন নতুন ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লব। তাই যুক্তফ্রন্ট কেবল নির্বাচনী জোট নয়, এটি একটি আদর্শিক ও বিপ্লবী ফ্রন্ট। দরকার হলে বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী গঠনের কথাও উঠবে — তবে সেটা জনগণের স্বার্থ রক্ষায়, দেশ ও স্বাধীনতা বাঁচাতে।
প্রচলিত শক্তির বাইরে নতুন ধারা
বর্তমান দ্বিদলীয় কাঠামো — আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি — মূলত পুঁজিবাদী ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধি। তারা গণমানুষের সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই যুক্তফ্রন্ট এই তিন দলের বাইরে নতুন বিকল্প গঠনের আহ্বান জানায়।
যুক্তফ্রন্টে যাঁএই লেখাটি একটি তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক ম্যানিফেস্টোর রূপে লেখা যেতে পারে, যেখানে “যুক্তফ্রন্ট” একটি বৃহত্তর গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তির সম্মিলিত মঞ্চ হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে। নিচে এই বক্তব্যকে একটি গঠনমূলক, তাত্ত্বিক ও সংঘবদ্ধ রাজনৈতিক প্রবন্ধ হিসেবে বিন্যস্ত করে দেওয়া হলো:
আসছে যুক্তফ্রন্ট: গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও প্রগতির বৃহত্তর ঐক্য
ভূমিকা: একটি সংকটকালীন জাতির সামনে ঐক্যের ডাক
আজ জাতি এক ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছে। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ যেখানে বারবার আক্রান্ত, সেখানে জনগণের মুক্তির সংগ্রাম নতুন করে পথ খুঁজছে। বর্তমান সময়ে চারটি শক্তি জাতির সামনে এক ভয়াবহ মেরুকরণ তৈরি করেছে —
১. স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ,
২. পতিত ফ্যাসিবাদ,
৩. চাঁদাবাজ লুটেরা পুঁজিবাদ,
৪. মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী নয়া ফ্যাসিবাদী দালালগোষ্ঠী।
এই চারটি প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিরুদ্ধে একমাত্র বিকল্প হলো দেশের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল শক্তির ঐক্য। এই ঐক্যের নামই যুক্তফ্রন্ট।
যুক্তফ্রন্ট কেন জরুরি?
বাংলাদেশের গণমানুষ বারবার প্রতারিত হয়েছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনীতির নামে দমননীতি, এবং ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতি মানুষকে মুক্তির বিপরীত দিকে ঠেলে দিয়েছে।
যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, যারা বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে আগ্রহী, যারা ফ্যাসিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী — তাদের সবাইকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে। এই ছাতা হলো যুক্তফ্রন্ট।
ঐক্য বিরোধীরা কে?
- রাজাকার, আলবদর ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনৈতিক উত্তরসূরিরা
- সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী গোষ্ঠী
- রাষ্ট্রীয় মদদে ফ্যাসিবাদ কায়েম করা স্বৈরতন্ত্রী শক্তি
- বহুজাতিক পুঁজির এজেন্ট হিসেবে কাজ করা সাম্রাজ্যবাদপন্থী গোষ্ঠী
তারা জানে, এই ঐক্যই তাদের ভীত কাঁপাতে পারে। তাই তারা উঠে পড়ে লেগেছে — শাহবাগ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে দমন করেছে, উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীকে প্রশ্রয় দিয়েছে।
যুক্তফ্রন্টের লক্ষ্য ও কর্মপন্থা
একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠন, যা বাম, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল, উদারনৈতিক ও অসাম্প্রদায়িক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিকে একত্র করবে।
জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা, বিশেষ করে তরুণ, ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে যুক্ত করে।
ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আদর্শিক যুদ্ধ জোরদার করা।
৭১-এর অসমাপ্ত বিপ্লবকে পূর্ণতা দেওয়া, প্রয়োজনে বিপ্লবী গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে।
আগামী নির্বাচনকে শুধুমাত্র ক্ষমতার পালাবদল নয়, আদর্শের লড়াইয়ে রূপান্তরিত করা।
আসছে নতুন লড়াই: ৭১-এর যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি নয়, পূর্ণতা
স্বাধীনতা এসেছে সশস্ত্র সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, এখন প্রয়োজন নতুন ধরনের রাজনৈতিক বিপ্লব। তাই যুক্তফ্রন্ট কেবল নির্বাচনী জোট নয়, এটি একটি আদর্শিক ও বিপ্লবী ফ্রন্ট। দরকার হলে বিপ্লবী সশস্ত্র বাহিনী গঠনের কথাও উঠবে — তবে সেটা জনগণের স্বার্থ রক্ষায়, দেশ ও স্বাধীনতা বাঁচাতে।
প্রচলিত শক্তির বাইরে নতুন ধারা
বর্তমান দ্বিদলীয় কাঠামো — আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি — মূলত পুঁজিবাদী ধনিক শ্রেণির প্রতিনিধি। তারা গণমানুষের সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই যুক্তফ্রন্ট এই তিন দলের বাইরে নতুন বিকল্প গঠনের আহ্বান জানায়।
যুক্তফ্রন্টে যাঁরা ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছেন:
- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
- বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)
- বাম গণতান্ত্রিক জোট ও অন্যান্য বাম সংগঠন
- গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিত্ব
- গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
- পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতি, দলিত ও আদিবাসী সংগঠন
- সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন
শেষ কথা:
জাতি অপেক্ষা করছে এক নতুন ঐক্যের।
নির্বাচন মুখ্য নয়, পথ মুখ্য নয় —
আদর্শই আমাদের পথ দেখাবে।
আসুন, যুক্তফ্রন্টে যোগ দিন।
আসুন, মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত বিপ্লবকে সম্পূর্ণ করি।
আসুন, বাংলাদেশকে মুক্ত করি সাম্প্রদায়িকতা, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে।
“যুদ্ধ চলছে — অস্ত্র না থাকলেও চেতনা আছে, ঐক্য আছে।”
???? লেখাটি আপনি প্রচারপত্র, ওয়েবসাইট, ম্যানিফেস্টো বা পোস্টারে ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আমি এর ছোট সংস্করণ, ইংরেজি অনুবাদ বা গ্রাফিক ডিজাইন উপযোগী স্লোগান/হেডলাইনও তৈরি করে দিতে পারি।রা ইতোমধ্যে যুক্ত হয়েছেন:
- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
- বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)
- বাম গণতান্ত্রিক জোট ও অন্যান্য বাম সংগঠন
- গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন দল ও ব্যক্তিত্ব
- গণফোরাম, বাংলাদেশ জাসদ, গণসংহতি আন্দোলন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
- পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংহতি সমিতি, দলিত ও আদিবাসী সংগঠন
- সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন
শেষ কথা:
জাতি অপেক্ষা করছে এক নতুন ঐক্যের।
নির্বাচন মুখ্য নয়, পথ মুখ্য নয় —
আদর্শই আমাদের পথ দেখাবে।
আসুন, যুক্তফ্রন্টে যোগ দিন।
আসুন, মুক্তিযুদ্ধের অসমাপ্ত বিপ্লবকে সম্পূর্ণ করি।
আসুন, বাংলাদেশকে মুক্ত করি সাম্প্রদায়িকতা, ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ থেকে।
“যুদ্ধ চলছে — অস্ত্র না থাকলেও চেতনা আছে, ঐক্য আছে।”