
মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাপিয়া কেলেঙ্কারি ও গুমের অভিযোগ: নূর আলীর ষড়যন্ত্র ও শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকা
পাপিয়া কেলেঙ্কারি ও গুমের অভিযোগ: নূর আলীর ষড়যন্ত্র ও শেখ হাসিনার সরকারের ভূমিকা
ঢাকা থেকে মাইকেল :
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক অঙ্গনে আলোচিত শামীমা নূর পাপিয়া কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর, সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল একটি ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের শিকার হন। পাপিয়ার অবৈধ কর্মকাণ্ডের তথ্য প্রকাশের ফলে, ব্যবসায়ী নূর আলীর হোটেল ব্যবসায়িক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। এর প্রতিশোধ নিতে, নূর আলী ও তার সহযোগীরা কাজলকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে, কাজলকে গুম করা হয়। তিনি জানান, তাকে একটি অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে, নগ্ন করে রাখা হয়েছিল। সেখানে ভয়ংকর শব্দের মাধ্যমে সাউন্ড টর্চার চালানো হতো, যা তার কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। এমনকি নামাজরত অবস্থায়ও তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে।
এই ঘটনার পেছনে তৎকালীন সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কাজল দাবি করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে এবং তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকের তত্ত্বাবধানে এই গুমের ঘটনা ঘটেছে।
এই প্রেক্ষাপটে, আমরা জোরালোভাবে দাবি করছি:
দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচার : গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত সকল ব্যক্তিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সম্পদ বাজেয়াপ্ত : দোষীদের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।
ক্ষতিপূরণ প্রদান : ভুক্তভোগীদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে, যাতে তারা ন্যায়বিচার পায় এবং পুনর্বাসিত হতে পারে।
স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন : গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা উচিত। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং গণতন্ত্র রক্ষায় এটি অপরিহার্য। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়ে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।