
বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » গাজায় অনাহার: যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নিন্দা, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশ্ন তুললেন মার্কিন সিনেটর ওয়েলচ
গাজায় অনাহার: যুদ্ধাপরাধ হিসেবে নিন্দা, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার প্রশ্ন তুললেন মার্কিন সিনেটর ওয়েলচ
প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২৫ | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন সিনেটর পিটার ওয়েলচ গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক বিপর্যয়কে ‘মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ’ হিসেবে অভিহিত করে এটি একটি যুদ্ধাপরাধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলকে অস্ত্র ও অর্থায়নের মাধ্যমে সমর্থন দিয়ে যায়, তবে এই সংকটের দায় এড়াতে পারে না।
সিনেটে দেওয়া বক্তৃতায় ওয়েলচ বলেন, “গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া অনাহার বন্ধ হতেই হবে। এর দায় শুধু ইসরায়েলের নয়, যুক্তরাষ্ট্রেরও।” তিনি উল্লেখ করেন, যুদ্ধের কৌশল হিসেবে ক্ষুধাকে ব্যবহার করা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। “যখন শিশুদের অনাহারে রাখা হয় রণাঙ্গনের সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে, তা স্পষ্টতই বেআইনি,” তিনি বলেন।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ
আইসিসি ও আইসিজে: ২০২৪ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা চলমান।
নিহতের সংখ্যা: গত অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলি সামরিক অভিযান পরবর্তী সময় পর্যন্ত গাজায় ৬০,০০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন-যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সিনেটরের দাবি ও আহ্বান
ওয়েলচ বলেন, “আমরা ইতিহাসের এক চূড়ান্ত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। যদি মার্কিন সিনেট এখনই পদক্ষেপ না নেয়, তবে হাজার হাজার প্রাণ আরও ঝরে যাবে।” তিনি কংগ্রেসকে আহ্বান জানান, ইসরায়েলের প্রতি অর্থনৈতিক ও সামরিক সহায়তা বন্ধ করে মানবাধিকার রক্ষা নিশ্চিত করতে।
পটভূমি ও আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
গাজার বর্তমান দুর্ভিক্ষকে ওয়েলচ বর্ণনা করেছেন একটি “সংগঠিত সামরিক নীতির” ফল হিসেবে, যেখানে ফিলিস্তিনিদের ক্রমাগত ক্ষুদ্র ভূখণ্ডে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।