
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » ‘অত্যাচারের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে সারা জীবন জেলেই কাটিয়ে দিতে পছন্দ করব’ : ইমরান খান ইমরান।
‘অত্যাচারের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে সারা জীবন জেলেই কাটিয়ে দিতে পছন্দ করব’ : ইমরান খান ইমরান।
‘অত্যাচারের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে সারা জীবন জেলেই কাটিয়ে দিতে পছন্দ করব’ : ইমরান খান
ইমরান।
লাহোর : ‘অত্যাচার এবং নিপীড়নের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে সারা জীবন জেলেই কাটিয়ে দিতে চাইব।’ এমনই মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। স্পষ্টতই সামরিক প্রতিষ্ঠানের দিকে তাঁর ইঙ্গিত। একাধিক মামলায় প্রায় দুই বছর ধরে জেলে রয়েছেন ইমরান।
এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “ফিরোনিয়াত ও ইয়াজিদিয়াত (অত্যাচার ও নিপীড়ন) এর সামনে মাথা নত করার চেয়ে আমি আমার পুরো জীবন কারাগারে পিষে কাটিয়ে দিতে পছন্দ করব। আইনের শাসন আমার আন্দোলনের মূল লক্ষ্য যা পাকিস্তানে জঙ্গলের আইনের অবসান ঘটাবে। যখন কোনও রাজনৈতিক দলের জন্য সমস্ত দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়, যখন তার সদস্যরা অবিচারের শিকার হন এবং বিচার বিভাগ আর স্বাধীন থাকে না, তখন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদই একমাত্র পথ হয়ে ওঠে।”
দেশব্যাপী বিশাল আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের নির্দেশ দেন ইমরান। লেখেন, “এবার আর শুধু ইসলামাবাদকে ওঠার আহ্বান জানাব না, পাকিস্তানের সকলকে ওঠার কথা বলব।” তাঁর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের একাংশ উভয় দিকেই তাল মেলাচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। ইমরানের কথায়, “আমি তাঁদের সম্পর্কে পুরোপুরি অবগত যাঁরা উভয় পক্ষের সঙ্গে খেলছেন - প্রতিষ্ঠান এবং পিটিআই। যাঁরা দলীয় নির্দেশনা মেনে চলেন না তাঁদের এই আন্দোলনে কোনো স্থান থাকবে না। যখনই সুযোগ পাব, আমি অভ্যন্তরীণ দলীয় নির্বাচন করব।”
রাউলপিণ্ডির জেলে তাঁকে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। ইমরান লেখেন, “পাকিস্তানের আমি একজন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, কারাগারে বিশেষ মর্যাদা পাওয়ার অধিকারী, তবুও সাধারণ বন্দিদের জন্য প্রদত্ত মৌলিক সুযোগ-সুবিধাগুলি থেকেও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাকে ২২ মাস ধরে এমন একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে যা একটি পেষণকারীর চেয়ে ভাল কিছু নয়। এদিকে, চোরদের — শরিফ এবং জারদারি — এই দেশে বিলাসবহুল স্যুটের মতো ভিআইপি কক্ষে রাখা হয়।”
জেলের ভিতর থেকে আগের দিনও সুর চড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্তকে করেন তুলোধনা। ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক দ্বন্দ্বে তাঁর ভূমিকার ‘স্বীকৃতি’ হিসাবে গত মঙ্গলবারই জেনারেল মুনিরকে ওই পদে প্রোমোশন দেয় শাহবাজ শরিফ-নেতৃত্বাধীন সরকার। পাকিস্তানের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সেনা আধিকারিক যাকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছে।
পাক সরকারের এই ঘোষণাকে একহাত নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে নিজের প্রতিক্রিয়া জানান ইমরান খান। তিনি লেখেন, “মাসাল্লাহ, জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল করা হয়েছে। সোজা কথা বলতে হলে, যদি তাঁকে ‘রাজা’ উপাধি দেওয়া হত তাহলে আরও সঠিক হত। কারণ, এই মুহূর্তে দেশে জঙ্গলের আইন চলছে। আর জঙ্গলে একজনই রাজা থাকেন।”