শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১ জুন ২০১৯
প্রথম পাতা » জেলার খবর » অন্য জেলার চাল কিনে এনে গাংনী খাদ্যগুদামে বিক্রির প্রতিবাদ করলেন -এমপি সাহিদুজ্জামান
প্রথম পাতা » জেলার খবর » অন্য জেলার চাল কিনে এনে গাংনী খাদ্যগুদামে বিক্রির প্রতিবাদ করলেন -এমপি সাহিদুজ্জামান
৬০১ বার পঠিত
শনিবার, ১ জুন ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অন্য জেলার চাল কিনে এনে গাংনী খাদ্যগুদামে বিক্রির প্রতিবাদ করলেন -এমপি সাহিদুজ্জামান

পক্ষকাল-

ধান কিনতে হবে এলাকার কৃষকদের কাছ থেকে। নিজ মিলে তৈরি করতে হবে চাউল। এতে এলাকার চাষিরা যেমনি ধানের ভালো দাম পাবেন তেমনি রাইস মিল গুলোতে হবে কর্মসংস্থান। অথচ মিলাররা বাইরের জেলার অটো রাইস মিল থেকে চাউল কিনে এনে মেহেরপুরের গাংনী খাদ্য গুদামে বিক্রি করছেন। এতে এলাকার চাষী ও শ্রমিকরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই অটো রাইস মিলের চাউল কিনতে সাময়িক ভাবে নিষেধ করা হয়েছে বলে জানালেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান।

জানা গেছে, মঙ্গলবার এক মিলার অন্য জেলা থেকে অটো রাইস মিলের চাল কিনে এনে গাংনী খাদ্যগুদামে বিক্রি করায় তার প্রতিবাদ করেন এমপি। এতে অটো রাইস মিলের চাউল কেনা বন্ধ করেছে গুদাম কর্তৃপক্ষ। তালিকাভুক্ত মিলারদের ধান তৈরীর সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, ১৪টি রাইস মিল থেকে চাউল ক্রয় করবে খাদ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যে বেশিরভাগের মিল কার্যক্রম নেই। তাদেরকে কিভাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তা নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান এমপি বলেন, চাষিরা যাতে ধানের ভালো দাম পান সে লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার। এরই অংশ হিসেবে মিলাররা নিজ এলাকা থেকে ধান ক্রয় করে চাউল তৈরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। অথচ সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তারা বাইরের জেলা থেকে চাউল কিনে আনছেন। কার বা কাদের স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা জানি না। এখানে কৃষকদের স্বার্থ ক্ষুন্ন হাওয়ায় অটো রাইস মিলের চাউল কিনতে নিষেধ করা হয়েছে।

এলাকার চাষীদের কাছ থেকে ধান কিনে চাল তৈরি করা হলে কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাবেন। সবার আগে কৃষকদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা খলিলুর রহমান বলেন, সরকারী নীতিমালা অনুযায়ী নিজ মিলে চাউল উৎপাদন করে সরকারী গুদামে দিতে হবে। এ বিষয়ে মিলারদের কয়েকজনকে বলা হয়েছে। ১৪ জন মিলারকে বলা হবে। বাইরের কোন মিলের চাউল আমরা নিব না।
প্রসঙ্গত, গাংনী উপজেলার ১৪ জন তালিকাভুক্ত মিলারের কাছ থেকে ৫৭৭ মেট্রিন টন চাউল ক্রয় করবে খাদ্য অধিদপ্তর।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)