শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » আত্মঘাতী নারী জঙ্গি
প্রথম পাতা » অপরাধ | ব্রেকিং নিউজ » আত্মঘাতী নারী জঙ্গি
২৭৬ বার পঠিত
রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আত্মঘাতী নারী জঙ্গি

---পক্ষকাল সংবাদ : নির্মাণাধীন তিনতলা ভবনটির নিচতলার একমাত্র ফ্ল্যাটে ছিল তিন নারী, তিন শিশু ও এক কিশোর। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই পুলিশ সেটি ঘিরে ফেলে। সকালে পুলিশের আহ্বানে আত্মসমর্পণ করেন দুই নারী। সঙ্গে দুই শিশু। ঘণ্টা তিনেক পর বের হন আরেক নারী, এক শিশুকে নিয়ে। কয়েক কদম এগিয়েই তিনি শরীরে বাঁধা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মঘাতী হন। ভেতরে থাকা কিশোরকে বের করে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ঘণ্টা দুয়েক পর দুই পক্ষের গোলাগুলি। নিহত হয় কিশোরটি। এর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় শ্বাসরুদ্ধকর প্রায় ১৬ ঘণ্টার ‘অপারেশন রিপল ২৪’।

তবে কিশোরের মৃতদেহ ভেতরে রেখেই গতকাল শনিবার বিকেলে ফ্ল্যাটটি তালা মেরে বের হয়ে আসে পুলিশ। অভিযান শেষে ঘটনাস্থলে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বাসাটি এখন অন্ধকার। ভেতরে গ্যাস ও বিস্ফোরক রয়েছে। তাই এখনই ভেতরে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আজ রোববার ওই বাড়িতে কাজ করবে। তখন লাশটিও বের করা হবে। তিনি বলেন, ওই বাড়ির অন্য ফ্ল্যাটের লোকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত জঙ্গি ও অবসরপ্রাপ্ত মেজর জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী জেবুন্নাহার (শীলা) ও তাঁদের সাত বছরের মেয়েও আছে। আত্মসমর্পণকারী অন্য নারী হলেন পলাতক ‘জঙ্গি’ মঈনুল ওরফে মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা। তাঁর সঙ্গে চার মাসের মেয়েও আছে। আর বাসার ভেতরে যে কিশোরের দেহটি পড়ে রয়েছে, তার নাম আফিফ কাদরী বলে পুলিশ জানিয়েছে। আফিফ আজিমপুরে নিহত ‘জঙ্গি’ তানভীর কাদরীর যমজ দুই ছেলের একজন। আফিফের ভাই তাহরীম কাদরী ও মা আবেদাতুন ফাতেমা আজিমপুরে গ্রেপ্তার হন। এখন কারাগারে।

আর নিজের শরীরের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত নারী ‘জঙ্গি’ জনৈক সুমন ওরফে সাগরের স্ত্রী বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আহত অবস্থায় উদ্ধার চার বছরের মেয়েশিশুটি হাসপাতালে বলেছে, তার বাবার নাম ইকবাল এবং মায়ের নাম শাকিরা। ইকবালের ব্যাপারে পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

গুলশানের হলি আর্টিজানে ১ জুলাইয়ের হামলার পর গত ছয় মাসে এ নিয়ে আটটি জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসব অভিযানে মোট নিহত হয়েছে ২৮ জন। এরা সবাই ‘নব্য জেএমবি’র সদস্য বলে জানায় পুলিশ। যদিও হলি আর্টিজানে হামলার দায় স্বীকার করে এ দেশে আলোচনায় এসেছিল মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস (ইসলামিক স্টেট)।
গতকাল অভিযানে থাকা পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, তাঁরা কোনো প্রাণহানি ছাড়াই অভিযান শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু কিশোর আফিফ ও আত্মঘাতী নারীর ‘একগুঁয়েমি’ তা হতে দেয়নি। গতকাল বেলা সোয়া তিনটার দিকে ঘটনাস্থলে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। বিকেল পৌনে চারটার দিকে তাঁরা ঘটনাস্থলে সংবাদ ব্রিফিং করে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। তার আগে ঘটনাস্থলে যান ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

যেভাবে খুঁজে পাওয়া গেল বাড়িটি
বিমানবন্দরে ঢোকার উল্টো দিকের রাস্তা দিয়ে হজ ক্যাম্প পেরিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার গেলেই আশকোনার পূর্ব পাড়া। রাস্তার দুই পাশে দুটি মসজিদের সুদৃশ্য তোরণ। আল বাছির জামে মসজিদের তোরণ দিয়ে গলিতে ঢুকে তিনটি বাড়ির পর সূর্য ভিলা।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, গুলশান হামলার সঙ্গে যুক্ত এক জঙ্গি মঈনুল ওরফে মুসার খোঁজে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালাচ্ছিল। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে কাউন্টার টেররিজমের ৩০-৩৫ জন সদস্য তিনটি গাড়িতে করে ঘটনাস্থলে যান।
এডিসি ছানোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার রাত ১২টার দিকে তাঁরা নিশ্চিত হন যে সূর্য ভিলা নামের বাড়িটিতে জঙ্গিরা রয়েছে। পরে এর নিচতলাকে কেন্দ্র করে পুরো বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। ভেতরে শিশু ও নারীদের অবস্থান জানতে পেরে অভিযানের কৌশলে পরিবর্তন আনা হয়। গোলাগুলি বাদ দিয়ে কৌশলগত কথাবার্তা বলে তাদের আত্মসমর্পণ করানোর চেষ্টা চলে। শুরু হয় অপেক্ষার প্রহর।

চিরকুট-কথোপকথন
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, মধ্যরাতে আটটি বাড়িতে তল্লাশি শেষ। একটি বাড়িতে তল্লাশি চলছিল। পাশের একটি বাড়ির জানালা দিয়ে শিশু কোলে এক নারীকে (মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা) দেখা যায়। তৃষ্ণা মুখে আঙুল দিয়ে কর্মকর্তাদের কথা না বলতে ইশারা করেন। এর পরে নিচু গলায় বলেন, ‘এটাই জঙ্গিদের আস্তানা। আমাকে এখান থেকে বের করেন। আমি আপনাদের সাহায্য করব।’ অবাক হন কর্মকর্তারা। পুলিশের দুজনকে সেখানে রেখে তাঁরা ওই জায়গা থেকে সরে এসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। ওই বাড়ির তিনতলায় গিয়ে মালিকের কাছে তথ্য নিয়ে কর্মকর্তারা জঙ্গিদের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। বাইরে থেকে জঙ্গিদের ফ্ল্যাটের দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বারবার জানালার কাছে গিয়ে ওই নারীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। পরে ওই নারী বলেন, তিনি কথা বলতে পারবেন না। এরপরে চিরকুট ফেলা শুরু করেন। ওই বাড়িতে কয়জন আছে, কী অস্ত্র আছে ইত্যাদি তথ্য দেন। কিন্তু কর্মকর্তারা ঠিক বিশ্বাস করছিলেন না। বাড়ির ভেতরে আলো জ্বলতে দেখা যাচ্ছিল, অস্ত্র হাতে কাউকে হাঁটতেও দেখা যায়। বিষয়টিকে ফাঁদ হিসেবে ভাবতে শুরু করেন সবাই।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, চিরকুটে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ ও আইনের আওতায় না এনে বাবা-মায়ের কাছে পাঠানোর দাবি করেন তৃষ্ণা।
আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, চিরকুট পাওয়ার পর জঙ্গিদের কাছে একটি মোবাইল ফোন পাঠানো হয়েছিল, যাতে সেটির মাধ্যমে তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়।
যে বাড়িতে অভিযান চলছিল, তার দোতলার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ফজরের আজানের পর পুলিশ মাইকে নিচতলায় জঙ্গিদের উদ্দেশে বলে, “আপনারা বের হয়ে আসেন। আপনাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি করব না। আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব। আপনাদের কাছে যে মোবাইল পাঠানো হয়েছে, সেটা অন করেন।” এরপর পুলিশের মাইকেই কেউ একজন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, “আম্মা, তুমি বের হয়ে আসো। ওরা তোমার কোনো ক্ষতি করবে না। আমরা তোমাকে জীবিত দেখতে চাই।”‘
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, জঙ্গিনেতা মেজর (অব.) জাহিদের স্ত্রী জেবুন্নাহারকে আত্মসমর্পণ করাতে তাঁর মা ও ভাইকে নিয়ে আসা হয়। জেবুন্নাহারের মা তাঁকে কাঁদতে কাঁদতে আত্মসমর্পণের জন্য বলেন।

আত্মঘাতী হলেন নারী
ঘটনার বিবরণ দিয়ে কাউন্টার টেররিজমের কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন বলেন, নানাভাবে বারবার অনুরোধের পর সকাল সাড়ে নয়টার দিকে জেবুন্নাহার ও তৃষ্ণা নামের দুই নারী দুই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন। কিন্তু তখনো ভেতরে শিশুসহ একজন নারী ও এক কিশোর ছিল, তারা বেরিয়ে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। এক থেকে দেড় ঘণ্টার বিরতি দেওয়া হয়, যাতে তারা মত পরিবর্তনের জন্য একটু সময় পায়। তারপর আবার মাইকের মাধ্যমে তাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। শিশুটিকে আগে দিয়ে নারী ও কিশোরকে সারিবদ্ধভাবে বেরিয়ে আসার জন্য বলা হয়। তারা যেন বেরিয়ে আসতে পারে, সে জন্য প্রধান দরজাটিও খুলে দেওয়া হয়।
ছানোয়ার বলেন, বারবার তাদের আশ্বস্ত করা হয় যে তাদের গুলি করা হবে না, তাদের জীবনহানির শঙ্কা নেই, এ অভিযানে কোনো প্রাণহানি হবে না। একপর্যায়ে তাদের বেঁধে দেওয়া সময়ের মাত্র দুই মিনিট বাকি থাকতেই (সাড়ে ১২টার দিকে) একটি শিশুকে নিয়ে এক নারী দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। কর্মকর্তারা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন, দুই হাত ওপরে তুলে আসতে বলেন। কোনো কথা না শুনে ওই নারী হাঁটছিলেন। একপর্যায়ে কোমরে হাত দিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায় ঘটনাটি। বিস্ফোরণের আঘাতে নারী ও শিশুটি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান। তিনি বলেন, দরজার পেছনে যেহেতু আরও একজন সদস্য জীবিত রয়েছে, যার কোমরে একটি সুইসাইডাল ভেস্ট ও আগ্নেয়াস্ত্র আছে, তাই সেখানে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ওই নারীকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে ওই কিশোরকে বের করে আনার জন্য বাসার ভেতরে বিশেষ গ্যাস ছাড়া হয়।
পরে ছানোয়ার বলেন, নিহত নারী জঙ্গি সুমনের স্ত্রী ও আহত শিশুটি আরেকজনের মেয়ে।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৩ মার্চ কুমিল্লায় এমনই এক জঙ্গি আস্তানায় র্যা বের অভিযানের সময় জেএমবির মোল্লা ওমরের স্ত্রী সাইদা নাঈম সুমাইয়া তাঁর দুই শিশুসন্তানকে নিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন।

যেভাবে নিহত হয় আফিফ
বেলা পৌনে একটার দিকে ওই ভবনের ভেতরে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়। তখন এলাকার অনেকটা জুড়ে গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। দেড়টার দিকে একটি গুলির মতো শব্দ শোনা যায়। পরে আড়াইটার দিকে চার-পাঁচটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এরপর ভেতর থেকে কিশোর আফিফ কাদরীর আর কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তখনই সে নিহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা ধারণা করছেন।
গতকাল বিকেলে ওই এলাকা ছাড়েন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াতের সদস্যরা। তবে সেখানে পুলিশ পাহারা রাখা হয়েছে।
বাড়িটির মালিকের বড় মেয়ে জোনাকি রাসেল সাংবাদিকদের বলেন, ১ সেপ্টেম্বর মো. ইমতিয়াজ আহমেদ পরিচয় দিয়ে একজন নিচতলার বাসাটি দেখতে আসেন। তখন ওই ব্যক্তি নিজেকে অনলাইন ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দেন এবং বলেন যে বাসায় তিনি, তাঁর স্ত্রী ও এক বাচ্চা থাকবেন। মাঝেমধ্যে স্ত্রীর বোন এসে থাকবেন। ৩ সেপ্টেম্বর পরিবার নিয়ে তিনি সেখানে ওঠেন। জোনাকি বলেন, ‘ওনারা কখনো বের হতেন না। বাসায় ওঠার সময় বাচ্চার বয়স ছিল ৪০ দিন।’ কেন বের হন না? জানতে চাইলে বলতেন, হিজড়ারা বাচ্চা দেখলে টাকা চায়। সে কারণে বের হন না। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে দুজন নারী ওই বাসায় আসতেন। জিজ্ঞেস করলে বলতেন, মা ও এক আত্মীয়। গ্রামের বাড়ি থেকে এসেছেন।’

আত্মসমর্পণের আগে পরে
শীর্ষ ৩ জঙ্গি
তামিম
নব্য জেএমবির ‘অপারেশনাল কমান্ডার’। গুলশানে হামলার মূল সমন্বয়ক
তানভীর
তামিমের স্থলাভিষিক্ত তানভীর গুলশানের হামলাকারী জঙ্গিদের বাসা ভাড়া করে দেন
জাহিদুল
গুলশানে হামলাকারীদের প্রশিক্ষক। নারায়ণগঞ্জে তামিমের জন্য বাসা ভাড়া করেছিলেন

নারায়ণগঞ্জ
২৭ আগস্ট
এই দিন গুলশান হামলার ‘মূল সমন্বয়ক’ তামিম চৌধুরীসহ তিনজন পুলিশের অভিযানে নিহত হন

রূপনগর
২ সেপ্টেম্বর
ভাড়া বাসায় পুলিশের অভিযানে নিহত হন মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ

আজিমপুর
১০ সেপ্টেম্বর
অাজিমপুরে জঙ্গিদের ভাড়া করা বাসায় পুলিশের অভিযান চলে। নিহত হন তানভীর কাদরী। জাহিদুলের স্ত্রী ও তাঁর মেয়েসহ আগেই সরে পড়েন। তানভীরের স্ত্রী আবেদাতুল ফাতেমা, তাঁর ১৪ বছরের যমজ দুই ছেলের একজন, গুলশান হামলার আরেক সমন্বয়ক মারজানের স্ত্রী আফরিন আক্তার ও জঙ্গি বাশারুজ্জামানের স্ত্রী শায়লা আফরিন গ্রেপ্তার হন। সেখানে তানভীরের আরেক ছেলে ছিল না

আশকোনা
২৪ ডিসেম্বর
রাজধানীর আশকোনায় জঙ্গিদের ভাড়া করা বাসায় অভিযান। জাহিদুলের স্ত্রী ও মেয়েসহ এবং পলাতক ‘জঙ্গি’ মুসার স্ত্রী ও মেয়ের আত্মসমর্পণ। নিজের বোমায় নিহত হন এক নারী ‘জঙ্গি’ ও তানভীরের ছেলে (১৪)



এ পাতার আরও খবর

কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক মাফিয়া  স্বামী-স্ত্রী দুইজন কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক মাফিয়া স্বামী-স্ত্রী দুইজন
সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ
অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে? অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে?
বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র হাতে আলাদিনের চেরাগ কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র হাতে আলাদিনের চেরাগ
সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন
আমার ছেলেকে তার দুইজন সহপাঠী ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো আমার ছেলেকে তার দুইজন সহপাঠী ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো
বেনজির ও মেয়ের নামে থাকা দুবাই এ একটি ফ্লাট দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ বেনজির ও মেয়ের নামে থাকা দুবাই এ একটি ফ্লাট দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতকে সংগঠনগত বিচারের আওতায় আনা উচিত -বাংলাদেশ জাসদ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতকে সংগঠনগত বিচারের আওতায় আনা উচিত -বাংলাদেশ জাসদ
আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)