
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » » ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বৈঠকে শিবির ইস্যুতে তিন সংগঠনের ওয়াক আউট
ঢাবিতে ছাত্ররাজনীতি নিয়ে বৈঠকে শিবির ইস্যুতে তিন সংগঠনের ওয়াক আউট
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২৫, রাত ১০:৪৭
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্ররাজনীতি নিয়ে আয়োজিত বহুপক্ষীয় বৈঠক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইসলামী ছাত্রশিবিরের উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আমন্ত্রণে ২৩টি সক্রিয় ছাত্রসংগঠন অংশ নিলেও শিবিরকে আমন্ত্রণ জানানোয় প্রতিবাদস্বরূপ বৈঠক থেকে ওয়াক আউট করে তিনটি সংগঠন-সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন এবং জাসদ ছাত্রলীগ।
প্রতিবাদের ভাষা: বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেল তিন সংগঠন
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধী ও সাম্প্রদায়িক সংগঠন নিষিদ্ধের ইতিহাস রয়েছে। অথচ প্রশাসন ৭১-এর গণহত্যাকারী সংগঠন জামায়াতের ছাত্রসংগঠনকে সহযোগিতা করছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।”
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা জানান, “শিবিরকে কেন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। তাদের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। ফলে আমরা বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসেছি।”
ওয়াক আউটের সময় ছাত্রলীগ-বিসিএলের সভাপতি গৌতম শীল, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানসহ অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন, তবে তারা বৈঠকে থেকে যান।
বৈঠকের প্রেক্ষাপট ও বিতর্ক
রোববার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলা বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ছাত্ররাজনীতি থাকা-না থাকার বিষয়ে বিভিন্ন সংগঠন ভিন্ন ভিন্ন প্রস্তাবনা দেয়। ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি শাখার সভাপতি এস এম ফরহাদ বলেন, “হলে ছাত্ররাজনীতি কেমন হবে, তা নিয়ে একটি প্রাথমিক ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করে ই-মেইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ‘হ্যাঁ-না’ ভোটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া উচিত।”
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, “হল ও একাডেমিক এলাকায় কোনো রাজনৈতিক কাঠামো বা কার্যক্রম আমরা চাই না। শিক্ষার্থীরা সেই দাসত্বের জীবন বা গণরুম-গেস্টরুমের যুগে ফিরতে চায় না।”
প্রশাসনের অবস্থান
বৈঠক শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, “দীর্ঘদিনের নেতিবাচক ধারণা, শঙ্কা ও ভীতি দূর করতে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছি। ডাকসু নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজন ও নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা থেকে সরে আসতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”